পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*::" . . . *。 ક્ષે 8 . . . প্রবাসী-জাখিন, ১se• ৰেঙ্গ ভাগ, ১ম খণ্ড তারা দুজনে একদিকে চ'লে গো-হৰি नैौब्रट्य शभिब ७ट्कबांरब्र नभूरजद्र थांब्र cर्घटन नैफ़िांन । তাদের দিকে তাকিয়ে রইল । o সমুদ্রের ফুংকারে তার দুই পা ভিজে গেল। সে দাড়িয়ে স্থনীতি বললে, “তুইও যা না ওদের সঙ্গে " স্বমিত্রা একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললে, “না " বলেই তাড়াতাড়ি এগিয়ে সে বাবার কাছে গিয়ে দাড়াল। স্থনীতি অবাক হয়ে গেল স্থমিত্রার ভাব-গতিক দেখে, এবং কুমার-বাহাদুর নিজের মনেই একটুখানি মুখ টিপে হাস্লেন।......... পরদিন বৈকালে বাড়ীর সামনের চাতালে বিনয়প্লুদের চায়ের বৈঠক বসেছে। রতন ছাড়া আর সবাই শেখানে উপস্থিত ছিল। কথা হচ্ছিল সমুদ্র-স্বানের এবং কৰে সমুত্র স্বান করতে নেমে কুমার-বাহান্থর একবার একজন জলমগ্ন লোককে গঙায় টেনে তুলেছিলেন, সেই গল্পটা তিনি বেশ রসিয়ে সবিস্তারে বর্ণন করছিলেন। বিনয়-বাৰু বললেন, “লোকটা কতদূর श्रेिरब्रश्लि ?” কুমার-বাহাদুর বললেন, “ঢেউএর ওপারে। একরকম -গুলিয়ে গিয়েছিল বললেই হয়।” জনীতি ৰিস্থিত হয়ে বললে, “ওখানে যেতে আপনার ভয় হোলো না ?” . কুমার-বাহাদুর গৰ্ব্বিতভাবে বললেন, “ভয় ? ভয় কাকে বলে আমি জানি না—বিপদের মুখে যেতে আমার जॉनभा झग्न !” o কুমার-বাহাদুর তার বীরত্ব ও সাহসের নমুনা দেবার জন্তে আর-এক নূতন গল্প ফেদে বসলেন—লাঠি চালিয়ে কবে তিনি একবার বাঘ তাড়িয়েছিলেন, গল্পটা তারই । লেন-গিরী তার বীরত্বে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলেন, সন্তোষ বার বার তাকে তারিফ করতে লাগল, বিনয়বাৰু শুনতে শুনতে চোখ মুদে বেতের চেয়ারের উপরে আড় হয়ে পড়লেন। স্থমিত্রার কিন্তু আর সন্ধ হোলো না, সে আস্তে আস্তে উঠে দাড়াল এবং উৎসাহিত কুমার-বাহন্থের যখন জাবার একটা বাহাদুরির ইতিহাসের গৌরচক্সিকা মুরু করলেন, সেও অমনি সেই ফাকে সকলের অজ্ঞাতসারে সেখান থেকে স’রে পড়ল । 籲 ভেসে দাড়িয়ে খানিকক্ষণ নীলের বুকে চঞ্চল কৃষ্ণবিন্দুর মত জেলে-ভিঞ্জিগুলোর দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর নিজের মনে ঝিনুক কুড়োতে কুড়োতে সমূজের ধার ধরে এগিয়ে চলল। অনেকক্ষণ পরে তার উমাচল যখন নানা আকারের ছোট-বড় কিছুকে ভরে উঠল, তখন সে আবার বাড়ীর দিকে ফিরলে। কিন্তু হঠাৎ দুটি লোককে দেখে সে থমকে দাড়িয়ে পড়ল । তার দিকে পিছন ফিরে, সমূত্রের তীরে বসে বসে গল্প করছে রতন আর পূর্ণিমা। সুমিত্র তাদের ডাকৃতে গেল, কিন্তু কি ভেবে আর না ডেকেই তাড়াতাড়ি - সেখান থেকে চ’লে এল । বাড়ীতে এসে দেখলে, সবাই বেড়াতে চ’লে গেছেন। বাইরের ঘরে ঢুকে, ঝিনুকগুলো একটা টেবিলের উপরে রেখে, সে শ্রান্তভাবে একথান ইজি-চেয়ারের উপরে শুয়ে পড়ল এবং দুই চোখ মুদে চুপ ক’রে রইল ।... ... . প্রায় আধঘণ্টা পরে রতন যখন ফিরে এল, তখন সন্ধ্যা হয়-হয় । স্থমিত্রাকে একৃল৷ ঐ ভাবে শুয়ে থাকৃতে দেখে একটু বিস্মিত হয়ে সে বললে, “এমন সময়ে তুমি শুয়ে যে ”—স্থমিত্রার অনুরোধেই আজকাল সে তাকে আর আপনি’ বলা ছেড়ে দিয়েছে । রতনের গলা পেয়ে সুমিত্রা চোখ খুললে। মৃদুস্বরে স্বধু বললে, “হ ।” —“অীর সবাই কোথায় ?” —“বেড়াতে গেছেন।” , —“তুমি যাও-নি কেন ?” —“আমি আগেই বেড়িয়ে ফিরেচি।” —“একূল ?” —“ছ । দোকুল কোথায় পাব বলুন !” —“তোমার বাবার সঙ্গে যাওনা কেন ?” —“কুমার-বাহাদুর ব’কে ব’কে মাথা ধরিয়ে দেন .।” —“বেশ, এবার থেকে তুমি আমার সঙ্গে বেড়াতে যেও।”