পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧ાન્ડ 哆 வி. —“পূর্ণিমাকে নিয়ে তোমার দাদা আর কুমার-বাহাদুর সহর দেখতে গেছেন।” স্বমিত্র একটু আশ্চর্ঘ্য হয়ে বললে, ”কুমার-বাহাদুর। তিনি এখানেও এসে জুটেচেন নাকি ?” রতন কোন জবাব দিলে না। তারও মনের ভিতরে কেমন একটা বিরক্তির আভাস জেগে উঠ ছিল । কেন, সে কি পূর্ণিমাকে সহর দেখিয়ে আনতে পারত না, কুমার-বাহাদুরের সঙ্গে যাওয়া কেন ? এই কথাই বার বার তার মনে হ’তে লাগল। এদিকে পথ চলতে চলতে স্বমিত্র। তার সঙ্গে অনর্গল কথা কয়ে যাচ্ছে, সে কিন্তু কিছুই শুনছিল না—কেবল মাঝে মাঝে অন্যমনস্কভাবে এক-একটা ই বা না বলছিল মাত্ৰ ! শেষটা তার মনে হোলো, পূর্ণিমার উপরে সে অন্যায় অভিমান কবৃছে ! কুমার-বাহাদুরের সঙ্গে বেড়াতে গেছে ব’লে পূর্ণিমার উপরে তার রাগ করবার কি অধিকার আছে ? পূর্ণিমার সঙ্গে সে বেড়াতে যায় ব’লে স্বমিত্রাও কাল তার উপরে রাগ করেছিল, আর এই লঘুচিত্তত দেখে সে খুব কৌতুকের হাসি হেসেছিল। অথচ আজ কিনা সে নিজেই ঠিক তেমনি ছেলেমান্থীর পরিচয় দিচ্ছে! মানুষ কি যুক্তিহীন জীব । রতন এবার নিজের উপরেই চ’টে গেল ! •রতনের ভাবগতিক দেখে স্বমিত্র। শেষে বললে, “আচ্ছা রতনবাবু, আজ আপনি এমন মুখভার ক’রে আছেন কেন বলুন দৈখি ? আমার সঙ্গে বেড়াতে বুঝি ভালো লাগচে না ?” রতন একটু থতমত খেয়ে বললে, “এ আবার কি কথা! তোমার সঙ্গে বেড়াতে ভালো লাগবে না কেন ?” স্থমিত্র দুই মির হাসি হেসে বললে, “ভালো না লাগবার কারণ আছে রতনবাবু পূর্ণিমা আমাদের সঙ্গে নেই!” স্থমিত্র যে-রকম মুখফোড় মেয়ে, হয়ত এখনি আরো ہاتھ سیکھیے কি ব’লে বসবে, এই ভেবে রতন সে প্রসঙ্গ চাপা দেবার জন্তে তাড়াতাড়ি বললে, “আঃ! আবার পাগলামি স্বরু করলে ?”..... ঐ দেখ, জেলের ডাঞ্জয় জাল তুলেচে ! চল, কি ধরেচে দেখে আসি।” { প্রবাসী-অশ্বিন, ১৩৩e { २थ* छांगं, »न १७ AeSAeAeeAeAeAMAeeMAeeAeeAeSAeAeS AAASASASS জেলেরা হরেক-রকমের সামুজিক মাছ তুলে বাছাই কবৃছিল,—এমন রকম-বেরকমের মাছ স্বমিত্রা আর কখনো চোখেও দেখেনি। এক-একটা মাছের আকার আবার এমুনি বেয়াড় ও অভূত যে, স্বমিত্রার ভারি হাসি পেতে লাগল।... ...একটা রাঙা, পিণ্ডাকার পদার্থ দেখে সে বললে, “এটা কি রতনবাৰু?” —“জেলি ফিস। এরা এখনো স্বষ্টির প্রায় প্রথম স্তরেই আছে। সমুদ্রের ঢেউ ওদের ধেদিকে খুলি ব’য়ে নিয়ে যায়, ওদের নিজেদের মধ্যে গতিশক্তি কিছুই cनई ।” —“ওম, এ আবার কি মাছ—মুখের ডগায় এত-বড় করাত ! —“ও হচ্চে খাড়া-মাছ । আকারে ওরা আরো ঢের বড় হয় আর ঐ খাড়া' দিয়ে শক্রর সঙ্গে লড়াই করে। ওদের দলবদ্ধ আক্রমণে তিমিমাছ পৰ্য্যস্ত ভয় পায় ৷”— বলতে বলতে রতনের চোখ হঠাৎ একটু দূরে আকৃষ্ট হোলো । ag সেখানটা হচ্ছে ইংরেজদের স্বানের জায়গা। রতন দেখলে, তীরের উপরে স্বানের পোষাকে দুইজন শ্বেতাঙ্গ দাড়িয়ে রয়েছে, আর তাদেরই স্বমুখ দিয়ে আসছে আগে আগে পূর্ণিমা, পিছনে কুমার-বাহাদুর ও সন্তোষ । হঠাৎ একজন সাহেব পূর্ণিমার দিকে ফিরে কি যেন বললে— কি বললে রতন তা দূর থেকে শুনতে পেলে না বটে, কিন্তু পূর্ণিমার ভাবভঙ্গি দেখে বেশ বোঝা গেল, কথাটার অর্থ নিশ্চয়ই ভদ্র নয়। - কুমার-বাহাদুরও আপত্ত্বি জানিয়ে কি-একটা কথা বললেন–কিন্তু সাহেব মুখ খিচিয়ে একটা হুমকি দ্বিতেই তিনি ঘাড় ইেটু করে পূর্ণিমাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি এগিয়ে এলেন। সন্তোষ সাহেবটার সামনে গিয়ে বোধ হয় আবার তার ব্যবহারের প্রতিবাদ করলে, সঙ্গে সঙ্গে সাহেবটা পা তুলে তাকে এক লাথি মারলে—সন্তোষ ছ-হাতে পেট চেপে মাটির উপরে বসে পড়ল। রতন আর দাড়াল না—তীরের মত ঘটনাস্থলে ছুটে গেল। তারপর কোন কথা বলবার আগেই যে লোকটা সন্তোষকে পদাঘাত করেছিল, ঠিক তার নাকের উপরে