পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা 1. এমন এক প্রচণ্ড ঘুসি বসিয়ে দিলে যে, গোড়া-কাটা কলাগাছের মত সে মাটির উপরে সটান লম্বা হোলো । দ্বিতীয় সাহেবটা পিছন থেকে রতনকে চেপে ধরলে । রতন কিন্তু এত সহজে কাবু হবার ছেলে নয়—সেও চোখের নিমেষে নিজের পিছনে দুই হাত চালিয়ে লোকটার ঘাড় ও মাথা সজোরে চেপে ধরে, হঠাৎ এক হ্যাচ কা দিয়ে সামনের দিকে এমন কৌশলে ইেট হোলো যে, সাহেবের দেহটা রতনের দেহের উপরে শূন্তে ডিগ বাজী (ಇಡ್ಲ, পিছন থেকে একেবারে সামনে এসে ধপাস ক’রে মাটির উপরে গিয়ে পড়ল । मभूम-उँौ८ङ्ग भश &श् ६छ श्रृं'एफ़ cश्रृंज ! श्रां८ब्रl छन দশ-বারো সাহেব জলে নেমে স্বান করছিল—তারা বেগে ডাঙার দিকে উঠে আসতে লাগল। সুমিত্রাও এই-ব্যাপারটা এতক্ষণ আড়ষ্টভাবে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিল। কিন্তু যখন সে দেখলে জলের সাহেবরাও ডাঙার দিকে আসচে, তখন সে বুঝলে এখনি একটা ভয়ানক খুনোখুনি কাও বাধ বে। তাদের বাড়ী এখান থেকে খুব কাছে—সে বিদ্যুতের মতন বাড়ীর দিকে ছুটুল। বিনয়বাবু স্ত্রী ও স্বনীতিকে নিয়ে বেরুবার উদ্যোগ করছেন, এমন সময়ে সুমিত্রা ছুটতে ছুটুতে এসে বললে, “বাবা, বাবা—শীগগির চাকর-দরোয়ান নিয়ে আমার সঙ্গে এস *ি —“কেন, কেন, কি হয়েচে ?" —“পরে সব শুনে—শীগগির চল, শীগগির ! নইলে সায়েবরা দাদা আর রতনবাবুকে এখনি মেরে ফেলবে! এই ! দরোয়ান—দরোয়ান ।” সেন-গিল্পী হাউমাউ ক’রে কেঁদে উঠলেন-বাড়ীতে । প্রায় বারো-চৌদ্ধ জন দ্বারবান ও চাকর ছিল, তারা সবাই তখনি বিনয়বাবুর হুকুমে লাঠিসোটা নিয়ে সমুত্রের ধারে ঘটুল—সঙ্গে সঙ্গে বিনয়বাবু, স্বমিত্রা ও স্বনীতি ! সেন-গিল্পী ধপাস ক’রে সেইখানেই বসে পড়ে বারংবার হাতজোড় বলতে লাগলেন— “হে বাবা জগন্নাথ, রক্ষে কর— তোমাকে পাঁচশো টাকার পূজো দেব, হে বাবা জগন্নাথ !” আজ বহু— ¢वन-छठी ASMMMAeeAeMAeAAASAAAAS AAAAA AAAA AAAAM MA AMAeM AM AM AAAA S AAAAA AAAA AAAA AAAAM MAeMAeMeMMAeMAAAASASASS اة نواة বহু বৎসর পরে সেন-গিয়ী দেবতাকে পূজার লোভ দেখালেন—অন্তত: প্রকাশ্যে ! এদিকে প্রাণপণে ছুটে গিয়ে খানিক তফাৎ থেকেই বিনয়বাবু দেখলেন, সমুদ্রের ধারে বিষম জনতা ! একদিকে একদল সাহেব দাড়িয়ে আছে, আর তাদের সামনে ভিড় ক’রে আছে প্রায় ত্রিণ চল্লিশ জন 'হলিয়া' । সাহেবরা এগিয়ে আসতে চাইছে, কিন্তু চুলিয়ারা তাদের বাধা দিচ্ছে । লাঠিসোট। নিয়ে হঠাৎ এতগুলো লোককে ছুটে আসতে দেখে, সাহেবরা বেগতিক বুঝে হঠাৎ অন্তহিত হোলো । ভিড়ের ভিতরে গিয়ে বিনয়বাবু দেখ লেন, বালির উপরে রক্তাক্ত দেহে রতন বসে আছে, আর তার দুই পাশে সন্তোষ ও পূর্ণিমা। রতনের মাথা ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে, সন্তোষ ও পূর্ণিমা সেই রক্ত বন্ধ করবার চেষ্টা করছে ! বিনয়বাবু, ইপিাতে হাপাতে জিজ্ঞাসা করলেন, “রতন, একি কাণ্ড ! দেখি, কোথায় লেগেচে ?” ” রতন হেসে বললে, “ন, এমন কিছু লাগেনি। একটা সায়েব নেীকোর দাড় দিয়ে আমাকে মেরেছিল, তাইতেই কু-এক জায়গায় একটু কেটে গিয়েচে !” বিনয়বাবু বললেন, “কেন এমন ব্যাপার হোলে.” . রতন বললে, “সে-সব বাড়ীতে গিয়ে শুনবেন অখন। চারদিকে ক্রমেই ভিড় বেড়ে উঠচে, এখানে আর ব’লে থাকৃবার দরকার নেই ।” বিনয়ুবাবু বললেন, “ই্য, আগে তোমার কাটা জায়গাগুলো দেখতে হবে, তার পর অন্ত কথা। ওরে, তোরা রতনকে কোলে ক’রে বাড়ীতে নিয়ে চল্ তো।” . বিনয়বাবুর লোকজনরা এগিয়ে এল। কিন্তু রতন মাথা নেড়ে বললে, “ন, ন, আমি এখনো এতট। কাবু হয়ে পড়িনি ! চলুন, আমি নিজেই হেঁটে যেতে পারব” এই ব’লে সে উঠে দাড়াল। সকলে বাড়ীর দিকে এগুলেন । রতনের মাথা ও নাকে ওষুধ ও ব্যাণ্ডেজ ক'রে দিয়ে, বিলয়বাৰু বললেন, “তুমি খুব বেঁচে গেছ রতন ! মাথার চোটটা আর একটু হ’লেই সাংঘাতিক হ’ত ।”