পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ-Ես প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড AM MMM AM MeM MMM MMMM MMS AAAAA AAAA MM Se AM SMSM SAS SSAS SSAS SSASAMM MMMMMMMM MMM AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA ASASASA AAAAAS AAAAAS عمحم. عجمی معیائے.معیی. محمد اسم - রতন বললে, “তাতে দুঃখ কিছুই ছিল না। মান রাখতে না হয় প্রাণটাই যেত।” বিনয়বাবু বললেন, “কিন্তু আমি যে এখনো ব্যাপারটা শুনিনি।” সন্তোষ বললে, “আমরা ওখান দিয়ে আসছিলুম— আমাদের সঙ্গে ছিলেন পূর্ণিমা। একটা সায়েব পূর্ণিমাকে লক্ষ্য ক’রে অভদ্র ঠাট্ট করে। কুমার-বাহাদুর আর আমি প্রতিবাদ করতেই সায়েবটা হঠাৎ আমাকে লাথি মারে, আমি প’ড়ে যাই । রতনবাবু কোথায় ছিলেন জানি না, কিন্তু তিনি এই ব্যাপার দেখে ছুটে এসে দুটো সায়েবকে একৃলাই মেরে একেবারে মাটিতে শুইয়ে দিলেন।” বিনয়বাবু বিম্মিতশ্বরে বললেন, “স্ত্র্যাঃ, রতনের গায়ে যে এত জোর, আমি তো তা জানতুম না!" সত্তোষ উচ্ছ্বসিতকণ্ঠে বললে, “জোর ব’লে জোর, তুমি দেখলে অবাক হয়ে যেতে বাবা! তার পর দশ বারোটা সায়েব এসে রতনবাবুকে আক্রমণ ক’রেও সহজে কাবু করতে পারেনি। তিনিও মার খাচ্ছিলেন বটে, কিন্তু যাকে একবার ধরছিলেন, তাকেই তুলে আছাড় না দিয়ে ছাড়েননি। আমার বোধ হয় উনি বক্সিংও জানেন, যুযুৎস্থও জানেন। কেমন, নয় কি রতনবাবু?" স্বতুন মৃদ্ধস্বরে বললে, “ভালো জানি না, তবে কিছু কিছু শিখেচি বটে।" সন্তোষ বললে, রতনবাবু যে-রকম আশ্চৰ্য্য কায়দায় বার বার তাদের মীর এড়িয়ে স’রে আসছিলেন, সে এক দেখ বার ব্যাপার। কিন্তু অতগুলো লোকের সঙ্গে একটা মানুষ আর কতক্ষণ যুঝতে পারে! রতনবাবু ক্রমেই কাহিল হ’য়ে পড়তে লাগলেন, তিনি তখন পালালেও কেউ তাকে নিন্দে করতে পারত না,–কিন্তু তবু তিনি পালালেন না, দাড়িয়ে দাড়িয়ে মার খেতে লাগলেন ।” বিনয়বাবু অসন্তুষ্ট হ’য়ে বললেন, “তুমি কেন তখন ল্পতনকে সাহায্য করলে না ? তোমাকে বাচাতে গিয়েই তে রতনের এই বিপদ!” সস্তোষ বললে, “বাবা, সায়েবটা আমার পেটে লাথি মেরেছিল, পেটের ব্যথায় আমি তখন উঠত্বে পারছিলুম না!” —”কুমার-বাহাদুর ?” —“তিনি কোথায় ছিলেন আমি দেখিনি ৷” কুমার-বাহাদুর এতক্ষণ চুপচাপ বসে বসে সব শুনছিলেন। এখন নিজের মুখরক্ষার জন্তে তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, “আমার সঙ্গে ছিলেন পূর্ণিমা, সে-সময়ে আমি তাকে একৃলা ফেলে এগিয়ে যাওয়া উচিত মনে করিনি !” - বিনয়বাবু সে-কথা কানে না তুলে বললেন, “আচ্ছা সন্তোষ, তার পর কি হোলো ?” —“যে সায়েবটার জন্যে এই বিপদ, সে হঠাৎ সমুদ্রের ধার থেকে জেলে-ডিঙির একখানা দাড় তুলে এনে রতন বাবুর মাথার ওপরে মারলে—সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পড়ে গেলেন। সায়েবগুলে। তৃখনি বোধ হয় রতনবাবুকে মেরে ফেলত—কেবল পূর্ণিমার জন্যে তা পারলে না।” সবিস্ময়ে বিনয়বাবু বললেন, “পূর্ণিমার জন্তে ?” “হঁ্যা। রতনবাৰু পড়ে যাব৷ মাত্র সায়েবগুলো তার ওপরে ঝাপিয়ে পড়ল। এমন সময়ে পূর্ণিমা বিদ্যুতের মত ছুটে এসে দু-হাতে রতনবাবুর দেহ আগলে ধরলে— ইংরেজীতে চেচিয়ে বললে, “তোমরা এমন কাপুরুষ যে, এতজনে মিলে’ একজনকে মার্চ ? একটা সায়েব পূর্ণিমাকে হাত ধ’রে টেনে সরিয়ে দিতে গেল। মুলিয়ার এতক্ষণ দাড়িয়ে দাড়িয়ে সব দেখছিল। কিন্তু পূর্ণিমাকে ধ’রে টানটানি করুবামাত্র তারা সবাই ছুটে গিয়ে বাধী দিলে। তারপরেই তোমরা গিয়ে পড়লে ।” বিনয়বাবু বললেন, “রতন আর পূর্ণিমার সাহস ধন্ত ! কিন্তু এই সায়েবগুলো কি কাপুৰ্ব্বষ ! বাস্তবিক, এদের লজ্জা হোলো না ?” n - রতন বললে, “বিনয়বাবু, বিশ-পচিশজন মানুষ মিলে একটা মাত্র বন্ত জন্তু মারাও সঙ্গত ব'লে মনে করে। সায়েবদের চোখে আমরা-কালা আদমির বুনো পশু । ছাড়া আর কিছু নই। তাই মামুষে মানুষে প্রতি ‘যোগিতায় সভ্যসমাজে যে বিধি-নিষেধ বাধা আছে, সামান্য পশু' বধের সময়ে শ্বেতাঙ্গর সে-সব মান কিছুমাত্র দরকার মনে করে নাম থববের কাগজে বিলিতী মনস্তত্বের এমনি দৃষ্টান্ত হমেসাই দেখবেন।”