পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છધર প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩৩• [ २8* ভাগ, २ग्न ५७ লাঠিখেলা ও অসিশিক্ষ ( পূর্ব প্রকাশিতের পর ) পাঠারম্ভ প্রথম পাঠগুলি কেবলমাত্র সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের— বিশেষতঃ মন চক্ষু ও হস্তসন্ধিগুলির—জড়ত্ব দূর করিয়া লঘুত্বসাধনের নিমিত্ত ; এবং বিভিন্ন জাতীয় ও বিভিন্ন স্থানীয় আঘাতগুলিকে ক্ষেপণ ( প্রয়োগ করা ), প্রত্যাহরণ (ফিরাইয়া লওয়া ), সংহরণ ( সংযত করিয়া রাখিয় দেওয়া ) সম্পর্কে পূর্ণশিক্ষালাভ ও আয়ত্ত করার নিমিত্ত ; এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষের সৰ্ব্বপ্রকার আঘাতই কৰ্ত্তন করিবার (প্রতিহত কিম্বা নিষ্ফল করিবার ) নিমিত্ত বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে সম্পূর্ণ ক্ষিপ্রকারিত প্রজ্ঞ ও fossia (instinctive intuition ) isos; go चूंक्षिप्ड इडेप्य । প্রথমৃ শিক্ষার্থীগণ যেন কদাচ এরূপ মনে না করেন, যে, প্রকৃত আততায়ীর সঙ্গে প্রকৃত সংঘর্ষ-কালে প্রথমপাঠাকুযায়ী নিয়ম ও ভঙ্গীগুলির অন্তকরণ করিয়াই আততায়ীকে আঘাত প্রতিঘাতাদি করিতে হইবে । এরূপ করিতে গেলে নিতান্তই অপদস্থ হইতে হইবে । আততায়ীর সঙ্গে সংঘর্ষ-কালে আজ্জিত ও সঞ্চিত দিব্যজ্ঞান-প্রভাবে মন চক্ষু হস্ত পদ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রভৃতির বিভিন্ন কৰ্ম্মচেষ্টাগুলি ক্ষিপ্রকারিত সহ আপনা-অ’পনিই যথাযোগ্য স্থানে ও যথাযোগ্য রূপে প্রযুক্ত হইয়া অভীষ্ট ফল সাধন করিয়া থাকে। তবে, সংঘর্ষ-কালে সাধারণতঃ অপেক্ষাকৃত শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিই জয় লাভ করিয়া থাকে। ক্ষিপ্রকারিতা-নিবন্ধন অধিকাংশ স্থলেই প্রয়োগকৰ্ত্তা নিজেই নিজ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমষ্টিভূত কৰ্ম্মচেষ্টাগুলির অনুসরণ করিতে সমর্থ হয় না। এতদনুরূপ দিব্যজ্ঞান লাভে সাহায্য হেতুই বিভিন্ন পাঠগুলি নির্দিষ্ট হইয়াছে। বহু-পরীক্ষার ফলেই পাঠগুলির বিভিন্ন সমাবেশ ও সমন্বয় এরূপ ভাবে নির্দিষ্ট হইয়াছে, যেন শিক্ষীগণ প্রকৃত নিয়ম-পদ্ধতির অনুসরণ করিয়া শিক্ষায় অগ্রসর ' হইতে থাকিলে তাহাদের পূৰ্ব্বোক্ত ক্ষিপ্রকারিতা ও দিব্যজ্ঞ’ন লাভের পথ যথেষ্ট সুগম হইয়া পড়ে । ধৈর্ঘ্যের সহিত প্রথম পাঠগুলি ধীরে ধীরেই অভ্যাস করিতে হইবে। কখন, কি ভাবে, কত পরিমাণে দ্রুত চালনার অভ্যাস আরম্ভ করিতে হইবে তাহ যথাস্থানেই নির্দিষ্ট হইবে। সেই সম্বন্ধে উপযুক্ততা অনুসারেই শিক্ষকগণ যথাসময়ে উপদেশ দিবেন । কিন্তু সৰ্ব্বদাই সমস্ত আঘাত কৰ্ত্তন ( শত্রুর আঘাত আট্‌কান ), দাড়াইবার ভঙ্গী প্রভৃতি সৰ্ব্ব বিষয়েই সম্পূর্ণ বিশুদ্ধতা সম্বন্ধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়কেই সবিশেষ মনোযোগী হইতে হইবে । শিক্ষ-সম্পর্কে বিশুদ্ধতা ও নিষ্ঠ না থাকিলে (বিশেষতঃ প্রাথমিক-শিক্ষা-সম্পর্কে ) শিক্ষার্থীগণ কথন উৎকর্ষ লাভে সমর্থ হয় না । ● প্রতিবারেই ক্রীড়ারম্ভ-কালে ও ক্রীড়া-সমাপ্তিকালে পরম্পর অভিবাদন ( সেলামী ) করিয়া লইতে হইবে । শিক্ষালাভ-কালে যাহারা উভয়ে পরস্পর ক্রীড়া করিতে থাকেন, তাহার কেহই প্রকৃত আততায়ী নহেন ; কিন্তু আঘাত ও প্রতিঘাতদি-সম্পর্কে শিক্ষালাভ-হেতু একে অন্তকে আততায়ী কল্পনা করিয়াই নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আঘাত প্রতিঘাতাদি করিতে হয় ; তাই, যাহাতে নির্দিষ্ট নিয়ম-পদ্ধতির তীব্রতা অনুসরণ কুকুতে যাইয়া সাময়িক ভাবেও প্রকৃত আততায়ী-ভাব না জন্মিতে পারে, সেই হেতুই অস্তরে সখ্য-ভাবের বীজ ও অঙ্কুর স্থায়ী রাখিবার নিমিত্ত ক্রীড়ারম্ভকালে ও ক্রীড়াসমাপ্তিকালে অভিবাদন-প্রথা নির্দিষ্ট হইয়াছে। পাঠ-পৰ্য্যায় মূলতঃ ছয় অঙ্গে বিভক্ত, যথা,—(১) ঘাত, (২) সমঘাত (প্তামঘাত ), (৩) বিষম ঘাত ( মিলবাট), (৪) চতুর্মুখী (চৌমুখী), (৫) মিশ্রঘাত ( বালাদস্তি) ও (৬) নির্ঘাত (ছুট)। “বিনোট” ও “জুজুৎস্বর” যতটুকু অসিশিক্ষা-সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তাহা পরিশিষ্টে বর্ণিত হইবে।