পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eछे ग९थn ] হিন্দু করিবার প্রায়শ্চিত্তবিধি আছে। অবশু একথা ঠিক, যে, কয়েক মাস হইতে যেরূপ দলে দলে মালকান রাজপুতদিগকে পুনর্বার “শুদ্ধি" দ্বারা তাহাদের সাবেক রাজপুত সমাজে লওয়া হইতেছে, গত বৎসরও তাহা হয় নাই। কিন্তু মনে রাখিতে হুইবে, যে, গ্রামকে গ্রাম খৃষ্টিয়ান করিবার ও দেশকে দেশ বা জাতিকে জাতি মুসলমান করিবার দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল নহে । প্রাচীন ভারতে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষের সমষ্টি বহু অনাৰ্য্য জাতিকে হিন্দুসমাজভূক্ত করা হইয়াছিল । তা ছাড়া খৃষ্টিয়ান মুসলমান প্রভৃতি সম্প্রদায় যুগপৎ বা কত সময়ের মধ্যে কত লোককে নিজ নিজ দলে গ্রহণ করিবেন, যখন তাহার কোন সীমা নির্দিষ্ট নাই, তথন হিন্দুদের বেলাই বা কেন তাহ নির্দিষ্ট থাকিবে ? এক ধৰ্ম্ম হইতে মানুষকে অন্য ধৰ্ম্মে লইয়। যাইবার উপায় সম্বন্ধেও কিছু বলা দরকার , শ্রেষ্ঠ ও বৈধ উপায় ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় উপদেশ ও যুক্তিপ্রয়োগ। মালকানা রাজপুতদের “শুদ্ধি” সম্বন্ধে কোন কোন মুসলমান ইহা বলিয়াছেন বটে, যে, জোর করিয়া বা অন্য অবৈধ উপায়ে কোন কোন স্থলে তাহীদের “শুদ্ধি” হইতেছে। তাহ। হইয়া থাকিলে উহা অবশুই অত্যন্ত গৰ্হিত ও নিন্দনীয়। কিন্তু প্রধানতঃ, “শুদ্ধি” যে মালকানাদের স্বেচ্ছা ও সম্মতিঅহসারে হইতেছে, তাহা মৌলবী আজাদ স্থভানী এবং বাবু পুরুষোত্তমদাস টাগুনের রিপোর্টে স্বীকৃত হইয়াছে। তা ছাড়া, ইহা সকলেই জানেন, যে, সামাজিক ব। আর্থিক কারণে অনেকে পৃষ্টিয়ান বা মুসলমান হয়, এবং, অতীত কালে মুসলমানের প্রাণবধের ভয় দেখাইয়া কাহাকেও মুসলমান করিয়াছিলেন কি না সে তর্কে প্রবৃত্ত না হইয়া, ইহা বলা যাইতে পারে, যে, কিছু দিন আগে মোপ লারা ঠিক ঐ উপায়ে অনেককে মুসলমান করিয়াছিল । কোন সম্প্রদায়ের কোন কোন লোক একটা খারাপ কাজ করিলে অপরের কৃত ভদ্রপ খারাপ কাজ छांण इहेब्रा बांग्न न, देश भूरुहे म७) क्षl । क्रूि देशe সত্য, যে, নিজের সম্প্রদায়ের সমুচিত শাসন ও সংশোধনের পূৰ্ব্বে অপরের কৃত তদ্রুপ খারাপ কাজের উল্লেখ করিলে লোকে হাসিয়া থাকে। > str-> * বিবিধ প্রসঙ্গ-মহাসভার শারীরিক লক্ষ্য ъфа এখন ভারতবর্ষে খুষ্টিয়ানের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত, এবং যুক্ত-প্রদেশের আগ্রা ও মথুরায় যুদ্ধও চলিতেছে না। এখন মালকানা রাজপুতদিগকে কেহ প্রাণের ভয় বা অস্ত ভয় দেখাইয়া হিন্দু করিতে চাহিলে খৃষ্টয়ান ইংরেজ তাহাকে রেহাই দিবে, ইহা অবিশ্বাস্ত । ইংরেজ আর কাহারও বন্ধু বটে কি না, জানি না ; কিন্তু হিন্দুর পক্ষপাতী নিশ্চয়ই নছে । বস্তুত:, ইংরেজ যাহা যাহা বলিয়া ভারতে নিজের প্রভুত্বের আবশ্বকতা প্রতিপাদন ও সমর্থন করিয়া থাকে, তাহার মধ্যে একট। প্রধান যুক্তি এই, যে, “আমি না থাকিলে তোমরা হিন্দুমুসলমান মারামারি কাটাকাটি করিয়া মরিবে, মধ্যস্থ ও শান্তিরক্ষক-রূপে আমার থাকা দরকার ।” 9. মালকানার পূরা মুসলমান নহেও । তাহা আগেকার একমাসের প্রবাসীতে দেখাইয়াছি। তাহাদিগকে. পুরা মুসলমান না করিয়া অৰ্দ্ধহিন্দু অবস্থায় রাখিয়া দিবার জন্ম মুসলমানেরাই দায়ী। এখন মুসলমানেরা তাহাদিগকে পূব মুসলমান করিবার চেষ্ট করুন, তাহার্তে কেহ বাধা দিবে না। হিন্দুরাও তাহাদিগকে এতদিন আধাহিন্দু আধামুসলমান অবস্থায় থাকিতে দিয়া অপরাধী হুইয়াছেন। সেই দোষ সংশোধন করিবার অধিকার তাহীদেরও আছে । অহিন্দু কেহ যদি মনে করেন, যে, “হিন্দুর আগে প্রধানতঃ বর্জন করিতেই জানিত ; তাহাতে আমাদের এই ' সুবিধা ছিল, যে, আমরা নিজের দল পুষ্ট করিতে পারিতাম। এখন তাহারা বর্জিতকে পুনগ্রহণ এবং বাহিরের নূতন মাকুযকেও নিজের দলে গ্রহণ করিতে চাহিতেছে । ইহাতে আমাদের অস্থবিধ হইবে।”, তাহা হইলে তাঁহাদের আশঙ্কায় সমবেদন প্রকাশ করিতে পারিতেছি না। আমরা প্রত্যেকে যে অধিকার মূল্যবান ও আবশ্বক বলিয়া মনে করি, অপরকে তাহা হইতে বঞ্চিত কাথিবীর ইচ্ছা করাও গর্হিত । মহাসভার শারীরিক লক্ষ্য মহাসভার কার্য্য-বিবরণে দেখা যায়, যে, বালক ও বালিকাদিগকে কয়েক বৎসর পর্য্যস্ত অবিবাহিত রাখিয়৷