পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ]_ মায় সিড়ি পর্য্যস্ত দেবকুমারের সঙ্গে সঙ্গে আসিয়া মহাকে বিদায় দিয়া গেল । উপরের ঘরে উঠিয়া আসিয়া দেখিল তাহার আয় কোথা হইতে একথান। ছেড়া মাদুর জোগাড় করিয়া মানিয় কাপেটের উপর বিছাইয়া দিব্য ঘুমাইতেছে। তাহাকে উঠাইয়া দিয়া বলিল, “আমাকে একটু ওভ্যালটিন পরে দে। আমি আর কিছু খাব না।” বুড়ী বক্‌ বক্‌ করিতে করিতে নীচে নামিয়া গেল। মায়। কাপড় গহন। সব খুলিয়। রাখিল । তখনও তাহার শরীর মন প্রকৃতিস্থ হয় নাই । তাড়াতাড়ি শুইয়া পড়িবার জন্য সে মুখ হাত ধুইয়া চুল বাধিতে আরম্ভ করিল। আয় ওভ্যালটিন করিয়া আনিল। মায়া বলিল, "একটু জল দে। আর কিছু দরকার নেই। যাবার সময় সিড়ির আলোট নিভিয়ে দিয়ে যাস।” আয় আলো নিভাইয়া দিয়া চলিয়া গেল । খোল জানলার পথে জ্যোৎস্ব আসিয়া ঘরখানিকে রহস্যময় করিম তুলিল। মায়া থাটের উপর বসিয়া একমনে শুভ জননীর চিন্তা করিতে লাগিল। নিজের হৃদয়ের বাকুল আগ্রহ দিয়া সে যেন লোকান্তরিতাকে সব পুঝাইতে চাহিল । খানিক পরে মাথা তুলিয়া সাবিত্রীর ছবির দিকে সহিয়া দেখিল । ছবিখন যেন দুলিয়া উঠিল । তাহার র কি যে দেখিল সেই-ই শুধু জানে । পতনের শব্দে আয় ছুটিয়া উপরে আসিল । মায়া স্বজ্ঞান হুইয়৷ মেঝের উপর পড়িয়া আছে। নিরঞ্জনও ૭કે সময় আসিয়া পৌছিলেন । زي فيينا কোকাইনের বাড়ীর সে শান্তি চুটিয়া গিয়াছে। গুহকৰ্ত্ত হইতে ঝি চাকর পর্য্যন্ত সবাই শঙ্কিত, শশব্যস্ত । মায়ার এখনও ভাল করিয়া জ্ঞান হয় নাই, দুই-তিনবার চোখ খুলিয়া তাকাইয়াছে "ত্রি। নিরঞ্জন শহরের যত ডাক্তার ছিল, সব জোগাড় করিয়া আনিয়াছেন, কেহই বিশেষ কিছু করিতে পারিতেছে না, ব্যাপার কি তাহাই ভাল করিয়া বুঝিতে পরিতেছে কি না সন্দেহ। $8 মহামায়া S ఇt مجید ۔۔ . . নিরঞ্জন জালিয়াই মায়াকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখেন । তখনি ডাক্তার আনিতে পাঠান, কিন্ঠ ডাকরি আসিয়াও বিশেষ কিছু করিতে পারেন নাই। তবে এখনই কোনো বিপদের সম্ভাবন নাই বলিয়া নিরঞ্জনকে নিশ্চিস্ত করিবার চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন । ঝি চাকর কেহই ভাল করিয়া কিছু বলিতে পারে নাই। ছোকর বলিয়াছে দিদিমণিকে ব্যারিল্পর সাহেবের সঙ্গে সে ফিরিতে দেখিয়াছে, কিন্তু তথন জাহাঙ্কে বিদুমাত্রও অস্বস্থ দেখা নাই । ব্যারিষ্টার সাহেব যখন চলিয়া যান, তখনও সে দিদিমণিকে সিড়ির কাছে দাড়াইয়া হাসিতে দেখিয়াছে । বুড়ী আয়ু বলিল, দিদিমণিকে সে ওভ্যালটিন করিয়া দিয়া নীচে চলিয়। আসিয়াছিল, পরে কি হইয়াছে তাহ সে কিছুই জানে না। আর কেহ কিছু ৰলিতে পারিল না। সকাল হইবার আগে আর কিছু করা অসম্ভব। নিরঞ্জন সমস্ত রাত কন্যার শয়নকক্ষে বসিয়াই কাটাইয়। দিলেন । ভোর হইতেই তিনি দেবকুমারের *g. গাড়ী পাঠাইয়া দিলেন । বিশেষ প্রয়োজন, সে যে একবার নিশ্চয় আসে । মায়াকে সজ্ঞান অবস্থায় সে-ই কালরাত্রে দেখিয়া গিয়াছে, তাহার নিকট হইতে কোনো খোজ মিলিলেও মিলিতে পারে। সকালের দিকে আবার ডাক্তার আসিয়া পৌছিলেন। মায়। একবার চোখ খুলিয়া চারিদিকে ভাকাইল । কিন্তু তাহর দৃষ্ট শিশুর দৃষ্টির মত অর্থশূন্ত। কোনো কথ সে বলিল না, কাহাকেও চিনিতে পারিতেছে বলিয়াও বোধ হইল না। নিরঞ্জন জিজ্ঞাসা করিলেন, "এপন কেমন আছ মায় ?” মায়া কোনো উত্তর দিল না। খানিকক্ষণ পরে আবার চোখ বুজিল। ডাক্তার বলিলেন, “থাক তড়িড়ে করে দরকার নেই। এখনও শক’-এর এফেক্ট কাটনি, আস্তে আস্তে আবার নরম্যাল অবস্থার আসবেন। ওঁকে যেন কোনো রকমে ভিস্টার্ব না করা হয়। একজন নাস আনতে পাঠান, সেই-ই চার্জ নিয়ে থাকবে। চাকর-বাকর ক্রমাগত চুকে যেন গোলমাল না করে ” : * *