পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>R প্রবাসী-কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড AAAAAA AAAASSSS S SS MMMAAASAASAASAAAS কবীরের প্রভাব তার সমসাময়িক ও পরবত্তীর্ণ বহু সাধু ভক্তের জীবনের উপর পড়েছে দেখা যায়। আহমদাবাদের দাদু কবীরের ভাবে অনুপ্রাপিত হয়ে এক কবীরপন্থীর শিষ্য হয়েছিলেন। কাশীনিবাসী তুলসীদাসের উপরও তার প্রভাব পড়েছিল, কিন্তু তুলসীদাস অধিক হিলুভাবাপন্ন ছিলেন। কবীরের মিত্র ছিলেন ভক্ত সাধু রইদাস চামার। বুলবনবাসিনী মারা বাঈ কবীরের ভক্তির কথা শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন । গুরু নানক দেশপৰ্য্যটনে বাহির হয়ে কাশীতে এসে কবীরের অমৃতময়ী বাণ শ্রবণ করেন। শিখ গ্রন্থসাহেব কীত্বের বাণীতে পুর্ণ। গুরু নানকের প্রচারিত শিখ ধৰ্ম্মকে কবীরের প্রচারিত ধর্মের ছায়া ও শাখা বলা যেতে পারে। ঐ দুই মহাপুরুষের উদেষ্ঠ ছিল হিন্দু ও মুসলমানের ধৰ্ম্মসমন্বয় ও উভয়কে একই ভূমিকায় মিলিত করা এবং একেশ্বরবাদ ও সৰ্ব্ব মানবের একজাতিত্ব প্রচার। অযোধ্যার জগজীবন দাস কবীরের ভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে সৎনামী সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। মালব দেশের বাবালাল বাবালালী সম্প্রদায়, বীরভান সাধুসম্প্রদায়, গাজীপুরের শিবনারায়ণ শিবনারায়ণী সম্প্রদায়, আলোয়ারের চরণদাস চরণদাসী সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করে কবীরের উদেষ্ঠ অনেক পরিমাণে সিদ্ধ করে গেছেন । এদের সকলের উপদেশের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান-ধর্মের সমম্বর হয়েছে দেখা যায়। এই সব সাধু মহাত্মাদের চেষ্টাতে উত্তর-ভারতের হিন্দু-মুসলমানের গোড়ামি ও অন্ধ কুসংস্কায় যে কত কমেছে তা দক্ষিণাত্যের ছিন্দুদের সঙ্গে তুলনা করলে বুঝতে পারা যায়।” মনকে নিৰ্ম্মল পবিত্র ঈশ্বয়পরায়ণ না করে কেবল বাঙ্ক অমুঠ পালনকে কবীর নিন্দ করেছেন। '. ব্ৰাহ্মণ ভ} তে ক্য। তথা গলে লপটে মত। ভক্তি বিক মরমন জানে র্যায়সা জঙ্গলী ভূত। ; তো কি হলে, কেবল গলায় স্থতাই লেপটাল ببيلا ভক্তি-ভাবের মৰ্ম্ম সে জানে না, এমনি সে জঙ্গলী ভূত ••• উীরথ-মে তো সব পানী হৈ, হোবৈ নহী কছু হায় দেখা । প্রতিমা সকল তো জড় হৈ, বোলে লহি বোলায় দেথা । তীর্থ তো কেবল জল, আমি স্নান করে দেখেছি তাতে কোনো ফল হয় না। প্রতিমা সকল তো জড় মাত্র, ডেকে দেখেছি সাড়া দেয় না। পুরান কোরান সব বাত হৈ য়া ঘটকা পরদ খোল দেথা । অনুভব কী বাত কবীর কহৈঁ য়হ সব হৈ কুঠী পোল দেখ ॥ পুরাণ কোরান সব তো কেবল মাত্র কথা, তাদের পর্দা খুলে আমি তাদের আসল রূপটি দেখে নিয়েছি । কবীর কেবল অনুভব-করা কথা বলছেন—আর সব মিথ্য ভুল, তা তো অনুসন্ধান করে দেখা গেছে ... মুসলমানের কবীরের ব্যঙ্গবিদ্রুপে বিব্রত ও ক্রুদ্ধ হয়ে রাজার কাছে নালিশ করলে। তখন দিল্লীর সম্রাট ছিলেন সিকদের শী লোদী ( ১৪৮৮-১৪১৭ )। ১৪৯৫ সালে সিকন্দর শা কবীরকে গেরেপ্তার করিয়ে জেমপুরে দরবারে হাজির করলেন। কবীর সেখানে উপস্থিত হলেন, কিন্তু রাজাকে সেলাম করলেন না। তোষামোদকারী সভাসদের বললে-আরে কাফের, রাজ শ্রেষ্ঠ পীর, উাকে সেলাম করছ লা কেন ? छथम कबैौब्र बन्प्लन् কবীর তেই পীর হ্যায়, ড়ে জানে পর-পীর . জে পর-পর ন জান হাঁ, তে কাফের বে-পীর ॥ . . . . " : - * হে কবীর, তিনিই পীর যিনি পরের পীড়া বা বেদন অনুভব করেন; যে ব্যথিত-বেদন অনুভব করতে পারে না সে ব্যক্তি কাফের। তখন বাদশাহ, কবীরকে প্রশ্ন করলেন—তুমি হিন্দু ন মুসলমান ? কবীর উত্তর দিলেন-- হিন্দু কষ্ট তে। ম্যায় নহী, মুসলমান উী নাহি । পাচ তত্ত্বক পুতলা গৈবী খেলে মাহি ॥ আমি হিন্দুও নই, মুসলমানও নই। পঞ্চভূতাত্মক পুত্তলিকা আমার মধ্যে অদৃষ্ঠ রহস্তের খেলা চলেছে। হিন্দু ধ্যাবৈ দেহর, মুসলমান স্থ মঙ্গীত । দাস কবীর তহঁ৷ ধ্যাবহী জহঁ। দোনকী পৰ্বতীত । হিন্দু মন্দিরে ঈশ্বরের ধ্যান করে, মুসলমান মসজিদে। দাস কবীর সেইখানে ধ্যান করে যেখানে ভুজনেরই প্রতীতি ।... সিকলার লোদী শিক্ষিত বুদ্ধিমান লোক ছিলেন, তিনি কবীরকে সসম্মানে বিদায় দিলেন ।... মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রে গৃহস্থের লক্ষণ দেওয়া হয়েছে— ব্রহ্মনিষ্ঠে গৃহস্থঃ স্তাৎ তত্ত্বজ্ঞানপরায়ণঃ। যদ যদু কৰ্ম্ম প্রকুবীত তৎ ব্রহ্মণি সমৰ্পয়েৎ ॥ কীর এই লক্ষণাম্বিত গৃহস্থ সন্ন্যাসী ছিলেন। কবীরের স্ত্রীর নাম ছিল লোঙ্গ : তিনি ছিলেন ধনথওঁ। বৈরাগীর পালিত কস্তা। তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা ছিলেন।. কবীর হাটে কাপড় বেচে বাড়ী আসূছিলেন। সন্ন্যাসী কবীরের ছেলে হয়েছে শুনে তার প্রতি বিরক্ত ব্ৰাহ্মণ মোল্লা সবাই মিলে হাটেপ্প পর্থে এগিয়ে গিয়ে বিক্রপ করে কবীরকে বলুলে—কবীর, তোমার ছেলে হয়েছে। তার ভেবেছিল কবীর এই সংবাদে লজ্জা পাবেন, কিন্তু কবীর ক্ষণকাল স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে থেকে প্রসন্ন মুখে এই সুন্দর বাণী উচ্চারণ করলেন— অনহদ মুসাফির পছন। আয় ধরে মঙ্গল থার। ঘর-আংগন-কী কদর অঙ্গ হৈ রাহ, হ গুলজার ॥ অসীম পথের পথিক অতিথি হয়ে এসেছেন, মঙ্গল-থাল ধরে তাকে বরণ করি। আজ আমার ঘর ও অঙ্গনের আদর বাড়ল, আজ পথ হলো ফুলের বাগানের মতন উজ্জ্বল শোভাময় । জনম-মরণ-মে কদম তুমহারা অবস তরা হে কাল । মেরা ঘর-মে ডেরা লগায়। পায় হৈ হম্ কমাল । হে অসীমের মহাযাত্রী আমার পুত্র, জন্ম-মরণে ক্রমান্বয়ে তোমার দুই পদক্ষেপ চলেছে, মহাকাল অবশ হয়ে ক্ষণকালের জন্ম তোমাকে স্থির করেছে। তুমি আমার ঘরে ক্ষণিকের আশ্রয় নিয়েছ । আমি কমাল বা পরিপূর্ণতাকে পেয়েছি ... কমাল পিতার সাধনার ধারা নিজের সাধুঞ্জীবনে বহন করে অগ্রসর করে দিয়ে গেছেন। এখন কবীরপন্থীদের সংখ্যা ৪০। • হাজারের কম নয় । কমালের পরে কবীরের একটি কথা জন্মে । কবীর উtয় নাম রাখেন কমালী | কমালী একদিন কূপ থেকে জল আনতে গিয়েছিলেন। এক ব্রাহ্মণের জলের কলসীতে কমলীির হাতের জলের ছিট। লাগে । ব্রাহ্মণের কলসী দুৎ হয়ে যায় এবং ক্র ঙ্ক ব্রাহ্মণ এসে কলীরের কাছে নালিশ করে। কবীর সেই ব্রাহ্মণকে উপদেশ দিলেন