পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] - SAMSMSMSMMMMMSMMMMAM AAASAASAASAASAAAS বিবিধ প্রসঙ্গ—ভারতবর্ষের সরকারী ঋণ 38q প্রধান মন্ত্র স্বাক:মাণ্ড শ':হুব তাহ অপেক্ষ কম কিছু লইতে আমেরিকাকে রাজী করিতে চেষ্টা করিতেছেন। সুতরাং কোন গবষ্মেণ্ট কোন দেশের নামে কিছু ধার করিলেই সেই দেশের লোক তাহা পুরুষানুক্রমে স্বদে আসলে শোধ করিতে বাধ্য, বিধাতার এমন কোন বিধান নাই। যদি সেই দেশের গবষ্মেন্টের উপর সেই দেশের লোকদের কোন কর্তৃত্ব না থাকে, তাহা হইলে ত বিশেষ বিশেষ সরকারী . ঋণের পরিশোধনীয়তা সম্বন্ধে প্রশ্ন উঠিতেই পারে । ভারতবর্ষের সরকারী ঋণ ইংরেজ আমলের আগে ভারতবষের কোন সরকারী ঋণ ছিল না। রাজা-মহারাজা নবাব-বাদশাহদের কাহারও কাহারও ঋণ অবশ্যই ছিল। কিন্তু প্রজাসমষ্টি তাহা শোধ করিতে বাধ্য ছিল না। অবশু নৃপতি তাহাদের সম্পতি লুটপাট করিয়া ঋণশোধ করিবার চেষ্টা করিতে পারিতেন । সে কথা স্বতন্ত্র । ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলেই প্রথম ভারতবর্ষের উপর সরকারী ঋণ চাপান হয়। এগুলা সমস্তই.কোম্পানী নিজের রাজ্য ও প্রভুত্ব বৃদ্ধির জন্য যুদ্ধের ব্যয়নিৰ্ব্বাহার্থ করিয়াছিলেন । প্রজাদের হিতের সহিত ইহার কোন সম্পর্ক ছিল না । ১৭৯২ খৃষ্টাব্দে এইরূপ ঋণের পরিমাণ ছিল ৭০ লক্ষ পাউণ্ড। ১৮৫৮ সালে ইহার পরিমাণ হয় ছয় কোটি পচানব্বই লক্ষ পাউণ্ড। সিপাহী বিদ্রোহ দমন করিবার খরচ ইহার অন্তর্গত নহে। তাহ আলাদা । এই সমস্ত ব্যয় কোম্পানীর নিজের বহন করা উচিত ছিল । সিপাহীদের সঙ্গে যুদ্ধের ব্যয়ও ভারতবর্ষের ঘাড়ে চাপান হয়। তাছাতে ভারতের সরকারী ঋণ দশ কোটি পাউণ্ডের উপর হইয়া যায়। ঋণ যেমন যেমন বাড়িতে থাকে, প্রত্যেক ঋণের উল্লেখ করিয়া তাহার বোঝা ভারতবর্ষের উপর চাপাইবার স্তাষ্যত অস্কাৰ্য্যতার বিচার করির না। পাঠকের স্বয়ং তাহা বুঝিতে পরিবেন। সিপাহী যুদ্ধের অবসানে ভারতবর্ষে কোম্পানীর ৭াজত্বের অবসান হয় এবং এই দেশে ইংলণ্ডের রাজার রাজত্ব স্থাপিত হয়। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী এই সম্পত্তি হস্তাস্তুর করিয়া দিবার সময় ক্ষতিপূরণ-স্বরূপ এককোটি কুড়ি লক্ষ পাউণ্ড প্রাপ্ত হন। এই এক কোটি কুড়ি লক্ষ পাউণ্ড কোম্পানীকে দিয়া ইংলণ্ডেশ্বর অথবা ব্রিটিশ জাতি ভারতবর্ষের রাজত্ব পাইলেন ; কিন্তু টাকাটা ঋণস্বরূপ ভারতবর্ষের ঘাড়ে চাপান হইল। সম্পত্তির মালিক যিনি বা যাহার হইলেন র্তাহারা মূল্য দিলেন না, মূল্য দিল ভারতবর্ষ । এই দেশ কোম্পানীর অধীনতার বিনিময়ে ইংলণ্ডেশ্বরের অধীনতা পাইল এক কোটি কুড়ি লক্ষ পাউণ্ড দিয়া । আবিসৗনীয় ও চীন যুদ্ধগুলার খরচও ভারতবর্ষকে ঋণ করিয়া বহন করিতে হয়, যদিও ইহাতে ভারতের কোন স্বার্থ ছিল না । এইসব খরচ সরকারী রেলওয়ে ও খাল নিৰ্ম্মাণের ব্যয়, ফুর্ভিক্ষে সাহায্যদানের ব্যয় প্রভৃতিতে উনবিংশ শতাব্দীর শেষে মোট ঋণ একুশ কোটি কুড়ি লক্ষ পাউও হয়। বৰ্ত্তমান বৎসরের ৩১শে মার্চ পর্য্যস্ত ঋণের পরিমাণ দাড়ায় পচাশি কোটি পাউণ্ড । পাউণ্ড ও টাকার বর্তমান বিনিময়ের হারে ইহা ১,১৩২ ( এগার শত বত্রিশ ) কোটি টাকার সমান । ঋণ এত বাড়িয়া যাইবার একটা প্রধান কারণ গত মহাযুদ্ধ । ভারতবর্ষ ইংলণ্ডের অধীন বলিয়া ইংলণ্ড ভারতবর্ষকেও এই যুদ্ধে টানিয়া ছিল । নতুবা জামেনী ও ভারতবর্ষের মধ্যে কোন শত্রুত ছিল না । ঋণ বাড়িল দুই প্রকারে । যুদ্ধের কয়েক বৎসর সামরিক বিভাগের খরচ খুব বাড়িয়া যায়। বাধিক চলিত রাজস্ব হইতে তাহা সম্পূর্ণ নিৰ্ব্বাহ করিবার সম্ভাবনা না থাকায় ঋণ করিয়া তাহার অধিকাংশ নিৰ্বাহিত হয় । তম্ভিয়, যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট ভারতবর্ষের নিকট হইতে থোক দেড়শত কোটি টাকা “স্বেচ্ছাকৃত” দান রূপে গ্রহণ করেন। যুদ্ধ শেষ হইবার পরবর্তী দশ বৎসরে ঋণ মোটামুটি কুড়ি কোটি পাউণ্ড অর্থাৎ প্রায় তিনশত কোটি টাকা বাড়িয়াছে। ইহার কারণ, সামরিক ও অসামরিক ব্যয় যত বাড়িয়াছে, রাজস্ব তদস্থঙ্কশ্ব বাড়ে নাই, কুতরাং কতক খরচ ঋণ করিয়া চালাইতে ইয়াছে। ভারতবর্ষের সরকারী সব খ৭ই জ-লাভজনক এবং অন্যায় করিয়া ভারতবর্ষের ঘাড়ে চাগান হইছে, এরূপ