পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ৷ কলম ধরা ছাড়া আর লব বিষয়ে আমাদের ছেলেদের হাত দুটে থাকে আড়ষ্ট, সৰ্ব্বদা কল নাড়াচাড়া করে এইটে ঘোচানো চাই । সমবায় প্রণালীর তত্ত্ব ওদের শিক্ষার প্রধান অঙ্গ করতে হবে , তারপরে শারীর বিজ্ঞান । এখানকার ছেলেদের মধ্যে বিভাগ করে কৰ্ম্মের ভার দেওয়া হয়েচে দেখলুম, ওদের আবাসের ব্যবস্থা সম্বন্ধে একদল স্বাস্থা, একদল ভাণ্ডার ইত্যাদি নানা রকম তদারকের দায়িত্ব নেয়, কর্তৃত্ব লবই ওদের হাতে কেবল একজন পরিদর্শক থাকে । শাস্তিনিকেতনে আমি চিরকাল এই সমস্ত নিয়ম প্রবর্তন করতে চেষ্টা করেচি—কেবলি নিয়মাবলী রচনা হয়েচে, কোনো কাজ হয়নি । তার অন্যতম কারণ হচ্চে, স্বভাবতই পাঠবিভাগের চরম লক্ষ্য হয়েচে পরীক্ষায় পাস করা, আর সবকিছুই উপলক্ষ্য ; অর্থাৎ হলে ভালোই, না হলেও ক্ষতি নেই- আমাদের অলস মন জবরদস্ত দায়িত্বের বাইরে কাজ বাড়াতে অনিচ্ছুক। তা ছাড়া শিশুকাল থেকেই আমরা পুথিমুখস্থ বিদীতেই অভ্যস্ত। নিয়মাবলী রচনা করে কোনো লাভ নেই—নিয়ামকদের পক্ষে যেটা আন্তরিক নয় সেটা উপেক্ষিত না হয়ে থাকতে পারে না । গ্রামের কাজ ও শিক্ষণবিধি সম্বন্ধে আমি যে সব কথা এতকাল ভেবেচি এখানে তার বেশী কিছু নেই, কেবল আছে শক্তি, আছে উদ্যম, আর কার্য্যকৰ্ত্তাদের ব্যবস্থাবুদ্ধি। আমার মনে হয় অনেকটাই নির্ভর করে গায়ের জোরের উপর— ম্যালেরিয়ায় জীর্ণ অপরিপুষ্ট দেহ নিয়ে সম্পূর্ণ বেগে কাজ করা দুঃসাধ্য—এখানকার শীতের দেশের লোকের হাড় শক্ত বলেই কাজ এমন করে সহজে এগোয়—মাথা গুণতি করে আমাদের দেশের কৰ্ম্মীদের সংখ্যা নির্ণয় করা ঠিক নয়--তারা পূরে একখানা মাতুয নয়।“ ইতি ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( & ) હૈ “ব্রেমেন" জাহাজ কল্যাণীয়েযু নন্দলাল, আমাদের দেশে পলিটিক্সকে যারা নিছক রাশিয়ায় লোকশিক্ষা &వి SJJJSJSAAAAASA SSASAS SSMSJSAAAAAA AAAA SAAAA S SJSAS SSAS SSAS পালোয়ানি বলে জানে সব রকম ললিতকলাকে তারা পৌরুষের বিরোধী বলে ধরে রেখেচে । এ সম্বন্ধে স্নরেনকে আমি আগেই লিখেচি। রাশিয়ার জার ছিল একদিন দশাননের মতো সম্রাটু, তার সাম্রাজ্য পৃথিবীর অনেকখানিকেই অজগর সাপের মত গিলে ফেলেছিল, ল্যাজের পাকে যাকে সে জড়িয়েচে তার হাড়গোড় দিয়েচে পিষে। প্রায় বছর তের হ’ল এরই প্রতাপের সঙ্গে বিপ্লবীদের ঝুটোপুটি বেধে গিয়েছিল। সম্রাট যখন গুষ্ঠিমৃদ্ধ গেল সরে তখনো তার সাঙ্গোপাঙ্গর দাপিয়ে বেড়াতে লাগল, তাদের অস্ত্র এবং উৎসাহ জোগালে অপর সাম্রাজ্যভোগীরা । বুঝতেই পারচ ব্যাপারখান। সহজ ছিল না। একদা যারা ছিল সম্রাটের উপগ্রহ, ধনীর দল, চাষীদের পরে যাদের ছিল অসীম প্রভূত্ব, তাদের সর্বনাশ বেধে গেল । লুটপাট কাড়াকড়ি চলল, তাদের বহুমূল্য ভোগের সামগ্রী ছারখার করবার জন্তে প্রজারা হনো হয়ে উঠেছে। এত বড়ে উচ্ছম্বল উৎপাতের সময় বিপ্লবী নেতাদের কাছ থেকে কড়া হুকুম এসেচে–আর্ট সামগ্রীকে কোনোমতে যেন নষ্ট হতে দেওয়া না হয় । ধনীদের পরিত্যক্ত প্রাসাদ থেকে ছাত্রর অধ্যাপকেরা অৰ্দ্ধ-অভূক্ত শীতক্লিষ্ট অবস্থায় দল বেঁধে যা-কিছু রক্ষণযোগ্য জিনিব সমস্ত উদ্ধার করে য়ুনিভার্সিটির মুজিয়মে সংগ্রহ করতে লাগল। মনে আছে আমরা যখন চীনে গিয়েছিলুম কি দেখেছিলুম। য়ুরোপের সাম্রাজ্যভোগীরা পিকিনের বসস্ত-প্রাসাদকে কি রকম ধূলিসাৎ করে দিয়েছে, বহু যুগের অমূল্য শিল্পসামগ্রী কি রকম লুটেপুটে ছেড়ে ভেঙে দিয়েচে উড়িয়ে পুড়িয়ে । তেমন সব জিনিয জগতে আর কোনোদিন তৈরি হতেই পারবে না । সোভিয়েটর। ব্যক্তিগতভাবে ধনীকে বঞ্চিত করেচে, কিন্তু যে-ঐশ্বৰ্য্যে সমস্ত মানুষের চিরদিনের অধিকার, যর্বরের মতো তাকে নষ্ট হতে দেয় নি। এতদিন যার পরের ভোগের জন্তে জমি চাষ করে এসেচে এরা তাদের যে কেবল জমির স্বত্ব দিয়েচে তা নয়, জ্ঞানের জন্যে আনন্দের জন্যে মানবজীবনে যা-কিছু মূল্যবান সমস্ত তাদের দিতে চেয়েচে । শুধু পেটের ভাত পশুর