পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] AAMJAMMA AAMAJAMMAMMMAMAA AAAAS --- একেই বলে শিক্ষার জন্ধে দরদ ? আমি তো একজন জমিদার, আমার প্রজাদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্তে কিছু দিয়েও থাকি—আরও দ্বিগুণ তিনগুণ যদি দিতে হয় তো তাও দিতে রাজি আছি, কিন্তু এই কথাটা প্রতিদিন তাদের বুঝিয়ে দেওয়া দরকার হবে যে আমি তাদের আপন লোক, তাদের শিক্ষায় আমারই মঙ্গল, এবং আমিই তাদের দিচ্চি, দিচ্চে না এই রাজ্যশাসকদের সৰ্ব্বোচ্চ থেকে সৰ্ব্বনিম্ন শ্রেণীর একজনও এক পয়সাও । সোভিয়েট রাশিয়ায় জনসাধারণের উন্নতিবিধানের চাপ খুবই বেশি, সেজন্তে আহারে বিহারে লোকে কষ্ট পাচ্চে কম নয়, কিন্তু এই কষ্টের ভাগ উপর থেকে নীচে পৰ্য্যন্ত সকলেই নিমেচে । তেমন কষ্টকে তো কষ্ট বলব না, সে ধে তপস্যা । প্রাথমিক শিক্ষার নামে কণামাত্র শিক্ষা চালিয়ে ভারত-গবমেণ্ট এতদিন পরে দুশো বছরের কলঙ্ক মোচন করতে চান, অথচ তার দাম দেবে তারাই যারা দাম দিতে সকলের চেয়ে অক্ষম, গবমেন্টের প্রশ্রয় লালিবহুবাশী বাহন যারা তারা নয়, তারা আছে গৌরব ভোগ করার জন্তে ! * আমি নিজের চোখে না দেখলে কোনোমতেই বিশ্বাস করতে পারতুম না যে অশিক্ষা ও অবমাননার নিম্নতম তল থেকে আজ কেবলমাত্র দশ বৎসরের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষকে এরা শুধু ক খ গ ঘ শেখায় নি, মনুষ্যত্বে সম্মানিত করেচে। শুধু নিজের জাতকে নয়, অন্ত জাতের জন্তেও এদের সমান চেষ্ট । অথচ সাম্প্রদায়িক ধর্মের মানুষরা এদের অধাৰ্ম্মিক বলে নিন্দ করে । ধৰ্ম্ম কি কেবল পুথির রাশিয়ায় লোকশিক্ষ 〉や>


........................................പാ xبریہ - یھ یہو۔یہاهبرا.

মস্ত্রে, দেবতা কি কেবল মন্দিরের প্রাঙ্গণে ? মানুষকে যার কেবলি ফাকি দেয় দেবতা কি তাদের কোনোথানে আছে ? অনেক কথা বলবার আছে । এ রকম তথ্য সংগ্রহ করে লেখা আমার অভ্যস্ত নয়, কিন্তু ন-লেখা আমার অন্যায় হবে বলে লিখতে বসেচি। রাশিয়ার শিক্ষণবিধি সম্বন্ধে ক্রমে ক্রমে লিখব বলে আমার সঙ্কল্প আছে । কতবার মনে হয়েচে আর কোথাও নয় রাশিয়ায় এসে একবার তোমাদের সব দেখে যাওয়া উচিত। ভারতবর্ষ থেকে অনেক চর সেখানে যায়, বিপ্লবপন্থীরাও আনাগোনা করে, কিন্তু আমার মনে হয় কিছুর জন্য নয়, কেবল শিক্ষা সম্বন্ধে শিক্ষা করতে যাওয়া আমাদের পক্ষে একান্ত দরকার । - যাক, আমার নিজের খবর দিতে উৎসাহ পাইনে। আমি যে আর্টিষ্ট এই অভিমান মনে প্রবল হবার আশঙ্ক! আছে । কিন্তু এ পর্য্যস্ত বাইরে থ্যাতি পেয়েছি, অস্তরে পৌছয় না । কেবলি মনে হয় দৈবগুণে পেয়েছি নিজ গুণে লয় । ভাসচি এখন মাঝ-সমুদ্রে । পারে গিয়ে কপালে কি আছে জানিনে। শরীর ক্লাস্ত, মন অনিচ্ছুক। শূন্ত ভিক্ষাপাত্রের মতো ভারী জিনিষ জগতে আর কিছুই নেই, সেটা জগন্নাথকে শেষ নিবেদন করে দিয়ে কবে আমি ছুটি পাব ? ইতি ৫ই অক্টোবর ১৯৩• ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর