পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>"b" তিনি বলিলেন,--আর বলেন কেন মশায়,—ভাইটির আমার মাথায় একটু ছিট আছে । অবত আগে খুব ভালই ছিল। বৌমাটি মারা যাওয়ার পর থেকেই এই অবস্থা । বেীমা ! তবে কি রসময় বিবাহিত ? সেই ছাদের প্রাস্তে রোমান্সের রমণীয় কাহিনী—ত্রিতলের পাঠকক্ষ, ঘুড়ির কথা,ঝুনা নারিকেলের তথ্য—সমস্তই গত কল্যকার বৃষ্টির মত কয়েক ঘণ্টার মায়া-রহস্ত ! ভদ্রলোক বলিতে লাগিলেন,—অবশ্ব বেশী দিনের কথা নয়, বৌমাটি আমার মারা গেছেন—গেল পৌষমাসে, অর্থাৎ মাস দুই হ’ল। ম আমার বড়ই শাস্তশিষ্ট ছিলেন। আহা ! ন’দশ বছরের বেলায় এসেছিলেন আমাদের বাড়ীতে ...ভাইয়ের অবস্থা দেখে আমরা মাঘ মাসেই বিয়ের সব ঠিক করি । কিন্তু দেনা-পা গুনার সামান্য গণ্ডগোলে সে জায়গার সম্বন্ধ গেল ভেঙে । এই আর কি, ওর হ’ল রাগ । ফাল্গুনের প্রথমেই বাড়ী ছেড়ে মেসে এসে উঠেছে । কত জায়গায় না খুজেছি, কিন্তু কোথাও সন্ধান পাইলি । శ్రి সকলের চোখে চোখে কৌতুক-হাস্য পেলিয়া গেল । প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড ভদ্রলোক বলিলেন,—ম ত ছেলের জন্য কাদার্কাটি করতে লাগলেন। অবশেষে আমরা দুভায়ে বাছাবাছি না করে একটি সম্বন্ধ স্থির করে ফেলেছি। তাকে কদিন ধরে খুজছি- কাল কলেজে সন্ধান পেয়েছি। ইচ্ছে আছে ফাগুনের শেষেই বিয়েট দেব। সে কোথায় একবার ডেকে দিন না । জন-চারেক ছোকৃর লাফাইতে লাফাইতে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল এবং পরমুহূৰ্ত্তেই ফিরিয়া আসিয়া কহিল,—ন, সে ত মেসে নেই । ঠাকুর বললে, এই মাত্র তিনি বেরিয়ে গেলেন । আপনাদের ঘরের কাছে চুপ করে দাড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে কি শুনলেন, পরে ছুটতে ছুটতে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেলেন । ভদ্রলোক যুক্ত করে সকলকে অভিবাদন శ్రి করিয়া বলিলেন,--যাক, আর ভাবনা নেই। সে যখন বিয়ের কথা শুনেছে, তখন ঠিক বাড়ী গিয়েই হাজির হবে । বড় উপকার করলেন—নমস্কার —বলিয়া তিনি হাসিমুপে বাহির হইয়া গেলেন । সেইদিন হইতে রসময়কে আর কেহ এ মেসে খুজিয়া ভূপেন গম্ভীরভারে বলিল,— তারপর ? পায় নাই । কাশ্মীরের কথা শ্ৰীসুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য, এম-এ ( ર ) জল বরফ গলা, স্ফটিকস্বচ্ছ, তারের জল লালচে, মটন্‌ থেকে কিছুদূর গেলেই বামে লিদার নদীর অপূৰ্ব্ব যেন লালপাড় প্রবাহিণী শাড়ী। সৌন্দর্য্য নয়ন-মন এক নিমেযেই অভিভূত করে, মটন হ’তে ১১ মাইল দূরে আইশ মুখম জনপদ– স্বল্পতোয়া কলনদিনীর উচ্ছল গতিবেগে মনে পড়ে । “আমি ভাঙিব পাষাণকার । আমি ঢাঠি ব করুণ। ধারা। আমি জগং প্লাবিয়া বেড়াব গাহিয়া, আকুল পাগল পার। " নদীর মাঝে উইলো গাছ, তীরে চীনার, নদীর মাঝের পৰ্ব্বতগাত্রে যেন সাজিয়ে রাখা হ’য়েছে । এই স্থান হ’তে দেখা যায় মাত্তগু ক্যানাল। আইশ মুখম হতে পাহালগাম পৰ্য্যস্ত পথের পাশে এই স্রোতস্বিনীর লীলা যে কি মধুর তাহা বোঝান যায় না। এই ক্যানাল লিদার হাতে বাহির হ’য়ে মাৰ্কণ্ড মন্দিরের পাশ দিয়ে গিয়ে মিশেছে ঝিলমে । কাশ্মীরের জল-সরবরাহ সহজ ও স্বাভাবিক, চারিপাশ্বেই