পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ ও ভেরীনাগ তাদের স্বক্ষ সৌন্দৰ্য্যবোধের পরিচয় দেয়। কাশ্মীর পাঠানদের হস্তগত হ’লে আবার অত্যাচার স্বরু হয়। ১৮১৯ সালে শিখেদের হাতে আসে। শিখরাজত্বেও প্রজাদের দুর্গতির অন্ত ছিল না । ১৮৪৮ সালে দ্বিতীয় শিখযুদ্ধে ব্রিটিশ-রাজ ক্ষতি মানসবল হ্রদ পূরণ দাবী করায় ডোগর রাজপুতবংশীয় জম্মুর রাজা গুলাব সিং ক্ষতিপূরণ-স্বরূপ দেড় ক্রের টাকা দেওয়ায় ব্রিটিশ রাজ কাশ্মীর বিক্রয় করেন । উপস্থিত মহারাজ হরি সিং জম্মু ও কাশ্মীরের অধীশ্বর । অতীত ও বর্তমানের আলোচনা এবং তুলনা করলে মাত্র এই সত্যটুকু বলা যায় যে, কাশ্মীরের ভাগে এমন স্বশাসন আর কখনও হয়নি । কাশ্মীর ও জম্মুর আয়তন প্রায় লোকসংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ । কাশ্মীরে শতকরা ৯৩ জন মুসলমান, ৭জন হিন্দু। কাশ্মীর ও জম্মু মিলিয়ে শতকরা ২৭জন হিন্দু, ৭৩জন মুসলমান । নিজামের সঙ্গে বদল করলে মন হয় না । কারণ তা’তে সমধৰ্ম্মার রাজত্ব হয়। কাশ্মীরের ভবিষ্যং খুবই উজল । বৰ্ত্তমান আয় পৌনে তিন ক্রের। কাশ্মীরে কয়ল, পেট্রোলিয়ম, নীলকfস্তমণি এগেট সোনা রূপা প্রভৃতি প্রায় সব খনিজ পদার্থই পাওয়া যায় । এই সব ভাজিন ফীল্ড হতে যেদিন তাহীদের অমূল্য সম্পদ উদঘাটিত হবে, আশা করা যায় সেদিন কাশ্মীরের আয় নিজাম -8,૦૦૦ હરૂિ ! প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ কোনো সুসঙ্গতি ও সৌষ্ঠব নেই। [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড রাজ্যের আয়কেও ছাড়িয়ে যাবে। উপযুক্ত মন্ত্রীর পরিচালনায় উপর এই রাজ্যের কল্যাণ নির্ভর করছে। বহুকালের অত্যাচারে জর্জরিত কাশ্মীরীর মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। ১৮৩৬ সালে মেকলে বাঙালী চরিত্রের উপর যে তীব্র মন্তব্য প্রয়োগ করেন, আজ কাশ্মীরীদের সম্বন্ধেও সেই কথাই খাটে। অথচ এমন স্বত্র এবং এত তীক্ষুবুদ্ধি মানুষ ভারতে আর নেই। কিন্তু পাঞ্জাবী দোকানদার বলে “আমাদের এক দাম, আমরা পাঞ্জাবী, কাশ্মীরী নই।” কাশ্মীরীদের আদবকায়দা ও ব্যবহার বিশেষ মোলায়েম, তবে এদের কথায় ও কাজে তফাৎ বড় বেশী। অবখ্য শিক্ষিত সম্প্রদায়ের কথা স্বতন্ত্র । দারিদ্র্য দূর হ'লে এবং শিক্ষিত হ’লে এরাই আদেশ মানুষ হ’য়ে উঠবে। সাপ্র ও নেহরুর নাম ত আজ জগতে ছড়িয়ে পড়েছে। এদের শরীরের গঠন, মুখশ্ৰী, নাসিকার গঠন এবং গায়ের রং অনবদ্য বললেও অত্যুক্তি হয় না। সাধারণত: মুসলমানদের চেয়ে হিন্দুদের রং ফরসা । চেনা যায় কাশ্মীরী পণ্ডিতের কপালের ফোটায় এবং কাশ্মীরী পণ্ডিতানীদের কোমরবন্ধে । সাধারণ মুসলমানদের অবরোধ নেই। কাশ্মীরী ব্রাহ্মণমেয়েরা অস্তঃপুরবদ্ধ হওয়ায় তাদের রং ফ্যাকাশে শাদা, এবং গঠন কেমন আলগ ব’লে মনে হয়। লালচে আভা নেই । মুসলমানমেয়েদের খোলা হাওয়ায় কৰ্ম্মঠ জীবন যাপন করায় দেহ বেশ মুগঠিত এবং মুখে লালচে আভা দেখা যায়। চোখ কতকটা ইরাণীদের মত। তবে এদের পরিচ্ছদে স্ত্রী-পুরুষ উভয়েই টিল অঙ্গরাখ! ব্যবহার করে । এ রকম পরিচ্ছদেরও বিশেষ প্রয়োজন আছে। দারিদ্র্য বড় বেশী, শীতের দেশ, উপযুক্ত গরম কাপড় সংগ্রহ করার সামর্থ নেই। একমাত্র সরল কাংড়ী। একটা মাটির গামল উইলে ( বেতের মত ) দিয়ে ঢাকা । তাতে একটা