পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

るb-○ SAMMJAAASAASAASAASAA AAAS পৌছতে । এই ৪০০০ ফিট উঠতে ও নামতে ফু-দিকে কুড়ি মাইল ক’রে রাস্তা তৈরি করতে হয়েছে। এই বানিহালই কাশ্মীর ও জম্মুর সীমান্ত প্রাচীর। রাত্রে বানিহাল ডাকবাংলোতে বিশ্রাম। প্রাতে যাত্রা ক’রে রামবানে চীনাবের সঙ্গে দেখা হয়। প্রায় দশ-বার মাইল রাস্ত চীনাবের তীরে, ঝিলমের গর্জ, মনে পড়িয়ে দেয়। চীনাবের উপত্যক ২৫০০ ফিট লীচে, তার পর আবার চড়াই আরম্ভ। পথে পড়ে বাতোং, ডাকবাংলো আছে, ঘন পাইনের বন, বিশেষ স্বাস্থ্যকর স্থান, কাজেই যক্ষ্মা রোগীর আডিডা ( উচ্চতা ৬০০ ফিট ), প্রায় ৮০০০ ফিট উঠে তারপর উৎরাই শুরু হয়। কুদ ডাকবাংলোতে মধ্যাহ্নের স্বানাহার সমাপন ক’রে তিন-চার ঘণ্টায় জন্ম, পৌছান যায়। বানিহাল প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ SASAMeAAMMAMAJMAMMAMAAA AAAA AAAMAAMJJJMMMJSAMSAS AMAMMAMAMS SSASJJAJAMMAAASAASAASAASAAAS [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড পথের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রাওয়ালপিণ্ডি পথের চেয়ে অনেক বিষয়ে শ্রেষ্ঠ। জম্মুতে একদিন কাটান যেতে পারে। জম্মুতে কতকগুলি স্বনীর মন্দির আছে। দূর হ’তে সন্ধ্যালোকে মনে হয় ষেন আরব্য উপন্যাসের কোন যাদুকরের হাতে তৈরি। জন্ম হতে ওয়াজিরাবাদ ৫২ মাইল । কাশ্মীর সম্বন্ধে দু’খানি গাইড আছে। Dr. Atri's Guide, WfN yle, Neve’s Guide volle, Col. Younghusbandএর বই সাধারণ পাঠকের পক্ষে বিশেষ উপভোগ্য । ত্রিবর্ণ চিত্রে ভরা। কত কবি চিত্রকর যুগে যুগে কাশ্মীরের সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কাশ্মীর চোখে দেখলে মনে হয় তাদের চেষ্টা ব্যর্থই হয়েছে । কাশ্মীর সত্যই ভূ-স্বৰ্গ । রিক্ত রাহী শ্ৰীজ্যোতি সেন একলার জীবন, নিঃসস্থ পথেরই যাত্রা, চলিতে চলিতে চলার আনন্দ ফুরাইয়া যায়, পা দুটি অচল হইয় ওঠে, পথ অীর কাটে না । কিরণেরও ঐ দশা । একলা লোক, একাকীই সংসার পাতে, কিছুতেই জমিয়া ওঠে না , ছড়াইয় পড়িয়া সব ছারখার रुझेब बांग्र । -- নদীতীরে প্রকাণ্ড একটা অশ্বখ গাছের নীচে বাড়ীখানি ; একেবারে নির্জন। সেই জনপ্রাণীহীন বাড়ীতে তার একলার জীবনযাত্র,—কখনো চলে, কখনো যেন থামিয় দাড়ায় । জীবনের স্বচ্ছন্দগতি পঙ্গুর মত খোড়াইতে থাকে। একল লোকের সংসার,–একটা ঘরেই সব। শোওয়া,

  1. =

স্বর, কাজকৰ্ম্ম, মা’কিছু ঐ একটি ঘরে । ঘর আরও আছে, উপরে নীচে সাত আটখানা, কিন্তু থাকিয়াও নাই, খালিই পড়িয়া থাকে । বাড়ীই আছে, নারী ত নাই, কে আর গুছাইয়া সংসার করে ? ঘরখানা দেখিলেই ঘরের লোকটিকে চেন৷ যায় । মেঝেয় উপর এদিক-ওদিক জিনিষপত্রগুলি যে-যার মনে ছড়াইয়া পড়িয়া থাকে, মিল বা মিছিল বলিয়া ঘরের ভিতর কিছু নাই । দরজার পাশেই জোড়-দুই জুতা একপরত ধূলা-কাদা গায়ে যেন চোখ বুজিয়া রহিয়াছে। লোকটিরও সেদিকে চোখ পড়ে না, তক্তাপোষের গা ঘেষিয়া ছাতি, লাঠি ও লণ্ঠন শিয়রের কোণটিতে খাড়া হইয়া আছে—পাহারাই দেয় না কি, অম্নি থাকে। বাসনপত্র বাক্স তোরঙ্গ যে যেখানে ঠাই পাইয়াছে সে সেখানেই রহিয়াছে, দিনের মধ্যে দশবার নড়িরাও ঠিকীয়গায় আসে না।