পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

総b* .--l.ജ-l.--്. আসিতেও পারে। কিন্তু না আসাও ত কিছু বিচিত্র নয়। একদিন একটা তুচ্ছ ঘটনাতেই ত একত্র হইয়াছিল, তারপর ঘনিষ্ঠত ! কি সে দুনিবার আকর্ষণ, দেখা না হইলেই দিন কাটিত না । ভালবাসা ছাড়া আর কি ! কিন্তু কোথা হইতে সুধীর আসিল, সুধীর আসিয়া আঙিনার আলোটুকু আড়াল করিয়াছে। কোন এক সময়ে আলোটুক ও মুছিয়া যাইবে,—তার হয়ত দেরিও নাই । একখানি গৃহের পরিকল্পনা, এতদিনের পরিচয় আগাগোড়াই দুঃস্বপ্নের মত মনে হয় । বিবাহে আর উৎসাহ থাকে না। বামুন-ঠাকুরাণীরই যেন মাথাব্যথা, কিরণ উৎসাহ না দিলেও তার উৎসাহের সীমা নাই । বলে,—বিয়ে তোমাকে কন্তেই হবে। কথায়ই আছে—ম বউ স্নেহ, তারে বলে গেহ। মা নেই, বউ নেই—এমনিভাবে মানুষ বঁাচে । মা ত আর পাবে না, বউ একটি নিয়ে’স । কিরণ চুপ করিয়াই থাকে। সেদিন দুপুরে গাইতে বসিলে বামুন-ঠাকুরাণী পুরাতন প্রসঙ্গটি উত্থাপন করিল। বিয়ে যদি কর ত বল, মেয়ে দেপি ।” কিরণ হাসিয়া বলিল,—দেখুন না, দেথতে দেয কি ? আছে না কি মেয়ে ? বামুন-ঠাকুরাণার গাল-ভাঙা মুখে পুলকের বান ডাকিল। বলিল,—মেয়ের আবার অভাব ? পথে ঘাটে,—তুলে আনলেই হয়— কিরণ কহিল,—কই আমার চোখে ত পড়ে না। কি জানি, আমারই হয় ত চোখ নেই। তা বেশ ত পথ থেকেই না হয় একটা কুড়িয়ে নিয়ে আসা যাবেকি বলেন ? ... কথাটা একটা পরিহাস বুঝিতে পারিয়া বামুন-ঠাকুরাণী গম্ভীর হইয়া বলিল,—তুমি ঠাট্টা করচ, কিন্তু ঠাট্টার কথা 国窗领1 প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ സ്സസ്.സ.....................സഹ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড না-ও হইতে পারে। কিরণ চুপ করিয়া রহিল। এই নীরবতাও বামুন-ঠাকুরাণীর সহ্য হয় না, বলিল,— তুমি মনে করেছ আমি কিছু জানিনে বা বুঝিনে। . সব খবরই রাখি । — রাখেন না কি ? তা’ত আর জানি না, তা’ বেশ ত গোপন করবারও কিছু নেই।—বলিয়া কিরণ মুখ বাকাইয়া হাসিল । বামুন-ঠাকুরাণী কহিল, ওরা যে বেম্ম, বেম্মদের কি আবার—বলিতে গিয়া বামুন-ঠাকুরাণী সীমা ছাড়াইয়া যা তা বলিতে লাগিল । স্পৰ্দ্ধা বটে। কিরণের মুখখানি মুহূৰ্বে অন্ধকার হইয়া উঠিল, রাগে মুখ দিয়া তার কথা আসিল না। ভালবাসার কাছে যে জাতিবিচার নাই বামুন-ঠাকুরাণী তার কি বুঝিবে ? কিরণের রাগট। কিছুতেই তার সমীচীন মনে হইল না, বলিল, তুমি মিছে রাগ করচ, আমি কি এমন অন্যায় কথা বললুম ? কিরণ আর কথা কহিল না । কথা বলিবার রুচি আর থাকে কি ? কিন্তু ৪ ঘে বেচারা,---উচ্চার উপর রাগ করিয়া লা ভ নাই । নিঃশব্দে খাইয় উঠিয়া নীরবে নতমুখে এক কোণে বসিয়া থাকে । কিন্তু মনের চাঞ্চল্য লইয়া বসিয়া থাকা ও যায় না। ঘরের ভিতর পায়চারী করিতে শুরু করে । বেড়াইতে বেড়াইতে ভাবে । ভাবনার কি অস্ত আছে ? জীবনের শূন্ততার ফাক দিয়া ভাবনা গুলিই বার-বার উকি মারিতে থাকে, মনের ভিতর জীবনের যত-রকম প্রশ্ন ও দুশ্চিস্ত। সদর রাস্তার ভিড়ের মত জড় হইয়া মনটাকে ভারাক্রাস্ত করিয়া তোলে। মমতার কথাই মনে পড়ে। মমতার জগং স্বধীরকে লইয়া হয়ত গড়িয়া উঠিতেছে । আর তার জগং ? সে জগৎ মমতার ছায়ায় আচ্ছন্ন হইয়া আছে, সে নাই। বেলা পড়িলে কিরণ ছাদে গিয়া বসিল । খোলা ছাদ । অশ্বখ গাছের ডালগুলি আসিয়া ছাদের উপর ঝু কিয় পড়িরছে। অশ্বথ-ডালের ফাক দিয়া গঙ্গার জল আর বালুচর দেখা যায়। বালুচর