পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা] রিক্ত রাহী సిసి) খাতায় একেবারে ডুবিয়া গিয়াছেন । কেহই কথা বলে না। ঘণ্টা-দুই এভাবেই কাটিল । কিরণের মনটা অবসাদে ও দুশ্চিন্তায় একেবারে যেন শুইয়। পড়িল । তারপর হঠাৎ মমতার বাবা তার সেই চিঠিখান! বাহির করিয়া রুক্ষ কণ্ঠে কহিলেন,—তোমাকে ভাল ব’লেই জানতুম ; কিন্তু তুমি যে এমন হবে, বুঝতে পারিনি। তোমার ব্যবহারে মমতা ভারি ক্ষুন্ন হয়েচে, অপমানিত বোধ করেচে। কে তোমাকে চিঠি লিখবার অধিকার দিলে ? এই নাও, ফেরৎ নিয়ে যাও তোমার চিঠি । চিঠি সে পড়েও নি। বজ্রপাত হইলে যেমন হয়, হয়ত তাই হইল। কিরণের মুখে কথা নাই। কথা বলিবার ক্ষমতা কি করিয়া যেন লুপ্ত হইল, বলিতে গিয়াও মুখে আসিল না। অন্যায় ? হয়ত তাই— তিনি আবার কহিলেন—তোমার চিঠি পেয়ে কেঁদেকেটে সে থায়নি-ঘৃণায় তোমার কাছে বেরুতে পারে না । তারপর আরও অনেক কথা, মামুষের দুৰ্ব্বলতা সম্বন্ধে কত কি,— কিন্তু শুনিবার অবস্থা সে নয়। সবই শুনিয়াছে, একটা কথাও তার ভিতরে পৌছে নাই। কি করিয়া যে সে মেয়েটির অপমান করিল, তাহা কোন রকমেই বুঝিতে পারিতেছিল না। অপমান যদি হইয়া থাকে, তবে অপরাধ ত নিশ্চয়ই । সমস্ত ঘরখানা সহসা যেন ঝাপসা হইয়া উঠিল, কি বলিতে গিয়া কি বলিল তাহারও ঠিক নাই। মুখ দিয়া শুধু এই কথাগুলিই বাহির হইল,—আমার ভুল হয়েচে, অপমান করা হবে বুঝলে কখনও লিখতাম না, মার্জন করবেন।—বলিয়া গায়ের চাদরটা কুড়াইয়া লইয়া টলিতে টলিতে পথে নামিয়া পড়িল । পাথরের রাস্তাটা বার-বার পায়ে আঘাত করিতে লাগিল, তারও যেন কত বড় আক্রোশ, মার্জনা করিতে পারে না । কিরণ শতবার নিজেকে ধিক্কার দিল। কেন তার এ ছদ্ধতি হইল ? কেনই বা অকারণ ওই মেয়েটিকে মৰ্ম্মপীড়া দিল ? সত্যি, এ অঞ্চায়ের মার্জন নাই । নিজের মুখখানি দেখিবার স্বশায় নিজের মনেই ছোট হইয় পড়ে। ৰেশ হইয়াছে। ইহাই তার শাস্তি ৷ দেনপাওনার কথা আর মনে আসিবে না । ভালবাসা ? তুচ্ছ এ জিনিষ। কে চায় ? ঘরে আসিয়া বসিল । অপমানের যন্ত্রণা বুকের ভিতর পীড়া দিতেছিল, হতাশায় চোখের জল গড়াইয়া দুই পাশ দিয়া ঝর বাবু করিয়া পড়িতে লাগিল । - মাঘ মাস। খুব শীত পড়িয়াছে। শীতের বেলা দেখিতে-ন-দেখিতে বাড়িয়া যায়, কিরণ লেপ মুড়ি দিয়া গুড়িগুড়ি মারিয়া তখনও ৰিছানাতে পড়িয়াছিল। বামুন-ঠাকুরাণী আসিয়া বালিশের নীচ হুইতে টাকা লইয়া গিয়া বাজার করিয়া ফিরিল, রান্না চড়াইল, তার পর তার রান্নাও প্রায় শেষ হইয়া আসে, কিরণ তথাপি উঠে না । ইচ্ছাও যেন নাই। কিছুদিন যাবৎ এই রকম চলিয়াছে। কোন ব্যাপারেই যেন ইচ্ছা বা উৎসাহ দেখা যায় না । বামুন-ঠাকুরাগী রান্নাঘর হইতে আসিয়া দুই ফ্লুিবার ডাকিয়া গিয়াছে, এবার লেপটা টানিয়া মুখের উপর হইতে সরাইয়া দিয়া কহিল—আজ কি ৰিছনায়ই পড়ে থাকৃবে ? . ( কিরণ বিরক্ত হইয়া চোখমুখ বিকৃতি করিয়া একটা ধমক দিল-ওকি, সবটাতেই বাড়াবাড়ি । ভারি আম্পন্ধা । —ওঠে, বিছনা তুলি। —আপনার তুলতে হবে না, ধান, বলিয়া কিরণ বিছানায় উঠিয়া বসিল । বামুন-ঠাকুরাণী হাসিল । কিরণ বিরক্তিভরে জোর করিম্বাই cश्न उि भूत्रॆ ধুইতে কলতলায় চলিয়া গেল। বামুন-ঠাকুরাণী বিছানাট বাড়িয়া উটাই রাখিয়া আবার রামাৰেজুৰিল। জানাল দিয়া ঘরের ভিতর ৰোদ জালিয়াছে, কিরণ भू& भूहेब्बी भांगिग्न घट्द्रग्न ङिउद्धं चामांजद्धि कारइ cब्राप्त नि? निम्नां बनिज । * - - -