পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ఫిసి প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড সত্যই লক্ষ্মীছাড়া হইয়া পড়িয়াছে । কিন্তু মানুষ লক্ষ্মীছাড়া হয় কেন ? কে করে ? ' নারী ? নারী না হইলেই কি পুরুষের চলে না ? চলে না বোধ হয় । কিন্তু কোনও বিশেষ একটি নারী না হক্টলেই যে কোনো নরের জীবন অচল হইয়া থাকে,তাহাও হয়ত নয় । স্বধাদা’র কথাটা ৭ এই ৷ বামুন-ঠাকুরাণীও ইহাই বলিত । কিরণ বুঝিতে পারে। মমতাকে ভুলিতে চেষ্টা করে, কিন্তু ভোলা সহজ নয়। রাত্রির অন্ধকারে মমত। যেন তার মনে মূৰ্ত্তিমতী হইয় ওঠে। রাত্রিগুলিই স্বপ্নময়ী, স্বপ্ন লইয় আসে । এক একটা রাত্রি কিরণের সম্মুখে এক একটা যুগের বিরহজর্জরিত বেদনা লইয়া উপস্থিত হয় । - সন্ধ্যা হইলেই বিশ্রী লাগিতে থাকে, যতক্ষণ ঘুম না আসে, ততক্ষণ সেই এক আচ্ছন্নতা । বিছানায় শুইয়া লণ্ঠনের আলোতে পড়ে, পড়িতে পড়িতে অন্যমনস্ক হইয়া স্বধাদা’র কথাটা ভাবে। একটি নারীর জন্য একটা পুরুষের জীবন ব্যর্থ হয় না। কিংবা একটি পুরুষের জন্তও একটি নারী নিঃস্ব হইয় পড়ে না। জীবনের যাত্রাপথে নরনারী প্রেমের উপাদান কুড়াইয়া চলে, কোনটা রাখে, কোনটা-বা ফেলিয়া যায়। স্বধাদা'র কথাগুলিতে লোজাম্বজি কোন সাম্বন না থাকিলেও সত্যের আশ্বাস-বাণী আছে। ভাল লাগে । তার কাছে গিয়াই বসে । গ্রীষ্মকাল । দিনের অসহ উত্তাপ রীত্রির গায়েও উষ্ণতা রাখিয়া যায়। ঘরে শোয় যায় না, বাহিরে শুইতে হয় । কিরণ সেই খোলা ছাদে অশ্বখগাছের শাখাটার নীচে একটা মাদুর পাতিয়া বালিশ মাথায় দিয়া শুইয়া পড়ে। অশ্বখের শাখায় একটু একটু হাওয়া লাগে, পঞ্জিগুলি সেই হওয়াটুকু কুড়াইয়া লইয়া কিরণের গায় কোথায় কে যেন হতভাগ্যের জন্য এতটুকু স্নেহ বুকে করিয়া আছে, অসহায় মানব-সস্তানটিকে সে হয়ত অবজ্ঞা করে না । - কিন্তু তামসী রাত্রির দুঃস্বপ্নময় আচ্ছন্নতা কোথা হইতে আসে, কল্পিত সংসারের দুয়ারে রিক্ত মানুষটিকে লইয়া মায়া স্বষ্টি করিয়া খেলিতে থাকে। সেদিনও সেই খেলাই চলিয়াছে । এই কল্পনায় মমতার অঁাচল ওড়ে না। অস্তরের অজানা আলয়ে যে-নারীর অচেনা মুখ মাঝে মাঝে মানুষকেও আনমনা করিয়া ফেলে,—সেই নারীটি যেন বাহির হইয়া আসিয় তাহার সঙ্গে ভাব করে, ভালবাসা দেয়, আর বাস্তব নারীর জন্য মনটাকে লুদ্ধ করিয়া তোলে । চোখে ঘুম নাই । পাশের বাড়ীতেও বুঝি বা সেই অবস্থা। খোলা জানালার ভিতর দিয়া একটি নারীমুক্তি দেখা গেল, বোধ হয় জানালার ধারেই চুপ করিয়া বসিয়া আছে। ভিতরে যেন লণ্ঠনও একটা জলিতেছে, তারই আলো নারীটির দেহের ও মুখের একপাশে পড়িয়াছে, ওদিকট। রাত্রির অন্ধকারে ঢাকা । অস্পষ্ট, তবু চেনা যায়। কেন জাগিয়া আছে ? উত্তরট। মনে মনেই খোজে। হয়ত কাহারও প্রতীক্ষায় । বিরহ ? হইবেও বা । কত অন্ধকার রাত্রিই কত নরনারী একত্রে অনন্ত বিরহ বেদনায় জাগিয়া থাকে,-কে কার খোজ রাখে ? অকারণেই যেন কিরণের মনে একটা পুলক দেখা দিল-কবেকার পুরোনো একটা বিরহের স্থর মনের মধ্যে সঞ্চরণ করিতে লাগিল, তাহারই গুঞ্জনধ্বনি গান হইয়৷ কণ্ঠ হইতে নামিয়া আসিল । , গানটি থামিতেই কিরণ শুনিতে পাইল নারীটি চাপকণ্ঠে গুনগুন করিয়া গাহিতেছে— গানের কথাগুলি ভারি করুণ,— --তোমার কণ্ঠে ওকি বেদনার স্বয়,-হে বিরহী, cठीभांब्र ग्रंथ cशन कन्सन झहेंब्री चांभांब्र अछब्रहक