পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাকবি সুরদাস ঐঅমৃতলাল শীল পৃথিবীব্যাপী ধৰ্ম্মসংস্কারের মহাযুগে যখন সমস্ত ভারতে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের নানাপ্রকার সংস্কার হইতেছিল, এবং ভারতের হিন্দুদের মধ্যে জ্ঞানমার্গকে পদদলিত করিয়া ভক্তি ও প্রেমমার্গ আপনার আধিপত্য স্থাপন”করিতেছিল, সেই সময়ে প্রেমের অবতার চৈতন্তদেবের আবির্ভাবের সহিত বঙ্গদেশে বৈষ্ণব পদাবলী রচনার খণ্ডযুগ আরম্ভ হইয়াছিল ও পদাবলীর সাহায্যে সাহিত্যের উন্নতি হইয়াছিল। সে সময়ে যে কেবল বঙ্গদেশেই এরূপ হইয়াছিল তাহা নহে, যুক্ত-প্রদেশেও ভক্তি ও বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের প্রবল বন্যা আসতে অনেকগুলি লব্ধপ্রতিষ্ঠ কবির উদয় হইয়াছিল। চৈতন্যদেব [ ১৪৮৬ হইতে ১৫৩৪ ঈশাব্দ ] যখন পুরীতে বসিয়া মধুর রসের প্রেম বিলাইতেছিলেন, তখন তাহার সমসাময়িক তৈলঙ্গী বিপ্রকুলোদ্ভব বল্লভাচার্য্য [১৪৭৯ হইতে ১৫৩০ ঈশব্দ ] পূতসলিলা গঙ্গা-যমুনা সঙ্গমে বসিয়া বাংলগ্য রসের ভাণ্ডার উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছিলেন। বঙ্গদেশে ও উড়িষ্যাতে যেমন "মহাপ্রভু’ শব্দে চৈতন্যদেবকে বুঝায়, সেইরূপ এ অঞ্চলে “মহাপ্রভু’ শব্দে বল্লভাচার্য্যকেই বুঝায়। বল্লভাচায্যের মৃত্যুর পর তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র গোপীনাথ তাহার উত্তরাধিকারী হইলেন, কিন্তু অতি অল্প কাল মধ্যেই ( ১৫৩২ ঈ ) তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হইলে আচার্য্যের কনিষ্ঠপুত্র বিটুঠলনাথ [ জন্ম ১৫১৫, মৃত্যু ১৫৭৬ ঈ ) সম্প্রদায় শাসন করিতে লাগিলেন । স্বল্লভাচার্য্য প্রয়াগের বেণীতীরে অর্যাল « গ্রামে স্বাস করিতেন, এখনও সেখানে গঙ্গা ও যমুনার স্কটের কাছে তাহার আশ্রম আছে। চৈতন্যদেব যখন বৃন্দাবনের ফেরৎ প্রয়াগে দশ দিবস (জানুয়ারি :৪১৬, সৌর মাঘ ২০ হইতে ২৯শে ) বাসকালে রূপ

  1. Tव्छच्छब्रिडामृष्ठ श्शब नाब cवाद शबक्ङ्गम चाब्जी नशी

গোসাঞিকে শিক্ষা দিতেছিলেন, তখন তাহাকে বল্লভাচার্য্য এক দিবস নিমন্ত্রণ করিয়৷ এই আশ্রমে ভিক্ষা দিয়াছিলেন। এখন ঐ আশ্রম “মহাপ্রভূর গদী” নামে প্রসিদ্ধ। তিনি শেষ বয়সে কাশীতে বসিয়া প্রচার করিয়াছিলেন । তাহার পুত্র বিটুঠলনাথ গুজরাট, কচ্ছ, রাজপুতানা ইত্যাদি দেশ পর্য্যটন করিয়৷ ১৫৬৪ ঈশাদ হইতে বৃন্দাবনের কাছে গোকুলে বাস করিয়াছিলেন, ও তাহার প্রধান গদী স্থাপন করিয়াছিলেন। সেইজন্য র্তাহার বংশজরা এখনও “গোকুলে গোসাঞি" নামে প্রসিদ্ধ । বল্লভাচার্য্য ও বিটুঠলনাথ উভয়েই বৈষ্ণব পদ রচনা করিতে কবিদের উৎসাহিত করিতেন । তাহার পূৰ্ব্বেই গুরু রামানন্দ রাম নামে উপাসনা ও বৈষ্ণব ভক্তিধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন। তিনিই সৰ্ব্বপ্রথমে ভক্তিমাগ হইতে স্ত্রী-পুরুষ ও জাতি-বিচার তুলিয়া দিয়া সকল জাতীয় শিষ্য করিয়াছিলেন । তিনি বলিতেন : - জাত পাত পুছে নহি কোই। হরিকো ভজে,সো হরি কা হোই । র্তাহার বার জন প্রধান শিষ্যমধ্যে একজন মুসলমান, একজন চৰ্ম্মকার, একজন রাজপুত, একজন জাট, একজন নাপিত, দুইজন স্ত্রীলোক ও পাচজন বিপ্র ছিলেন। ইহার মধ্যে মুসলমান বৈষ্ণব কবীর ও চর্মকার রবিদাস [ রইদাস, রুইদাস, রুহিদাস ] আপনাদের স্বতন্ত্র “পন্থ” স্থাপন করিয়াছিলেন । সে সময়ে তাহার জাতিবিচার অমান্ত করিবার প্রভাব এত বেশী হইয়াছিল যে, রাজপুতকুলগৌরব, মারবার নলিনী, মেবার বধূ, রাজমহিষী স্বনামখ্যাত ভক্তকবি মীরাবাঈ চৰ্ম্মকার-নন্দন রবিদাসকে আপনার শিক্ষাদাতা গুরু বলিয়া স্বীকার করিডে দ্বিধাবোধ করেন নাই । রামানী সম্প্রদায়ের মুখপাত্র কবি তুলসীদাস র্তাহার অমর গ্রন্থ সাহায্যে সমস্ত ভারতের হিনীভাষী