পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] মহাকবি সুরদাস సిసి রাম-উপাসক বৈষ্ণবদের এখনও শাসন করিতেছেন । রাম-উপাসকদের কবি যেমন তুলসীদাস, কৃষ্ণ-উপাসক বৈষ্ণবদের সেইরূপ, বা তদপেক্ষী উচ্চশ্রেণীর কবি সুরদাস । তুলসীদাস যেমন বাল্মীকীয় রামায়ণ হইতে । মূল বিষয় লইয়া আপনার ইচ্ছামত "রামচরিতমানস” ইত্যাদি পাচখানি গ্রন্থ স্বজন করিয়াছেন, সুরদাস সেইরূপ ভাগবতের ছায়া অবলম্বন করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণের জীবনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা তাহার “সুরসাগরের” পূদে করিয়াছেন । শ্ৰীকৃষ্ণের শৈশবের ঘটনাগুলি এমন হৃদয়গ্রাহী মধুর ও স্বাভাবিকভাবে বর্ণনা করিয়াছেন যে সেগুলি পড়িতে বসিলে মনে আনন্দের ঢেউ থেলিতে থাকে, এবং ঘটনাগুলি যেন চক্ষের সম্মুখে দেখিতে পাওয়া যায় । সুরদাস স্বর-সারাবলীর একস্থানে লিখিয়াছেন, “শিব বিধান তপ করেউ বহুত দিন, তউ পার নহি লীন।” ইহাতে বোধ হয় তিনি প্রথম বয়সে শৈব ছিলেন ও শৈবমতে বহুকাল তপস্যা করিয়াছিলেন । পরে, বল্লভাচার্য্যের প্রভাবে কৃষ্ণ-উপাসনা আরম্ভ করিয়াছিলেন। বিটঠলনাথ আপনার পিতার চারজন ভক্ত শিষ্য ও কবি স্বরদাস, কুস্তনদাস, পরমানন্দ দাস, ও কুষ্ণ দাস, এবং আপনার চারজন ঐরুপ শিষ্য ছীত স্বামী, গোবিন্দ স্বামী, চতুভূজ দাস ও নন্দ দাসকে লইয়া এক কবি-সঙ্ঘ স্থাপন করিয়াছিলেন । হুরদাস বলিয়াছেন,— থাপি গোসাঞি করি মেরি মাঠ মধ্যে ছাপ অর্থাৎ গোসাঞি কবিদের “অষ্ট ছাপ’ স্থাপন করিয়া আমাকে তাহার মধ্যে রাখিলেন । এই অষ্ট ছাপের কবিমধ্যে প্রধানতম কবি সুরদাস ছিলেন । বিটুঠলনাথ তাহাকে “সাগর” উপাধি দিয়ছিলেন অথবা আদর করিয়া সাগর বলিয়া ডাকিতেন, সেইজন্য তিনি এই নামেও প্রসিদ্ধ হইয়াছেন । মহাকবি সুরদাস সম্বন্ধে পরবর্তী কালের কোনো সমালোচক বলিয়াছেন,— হুর সুর, ভুলসীপশি, উড়গণ কেশবদাস। अब ८क कदि क्षएमााष्ठनभ, कईि रुझैि कम्रै;ो अकाल ! অর্থাৎ কবিদের মধ্যে সুরদাস সূৰ্য্যসম, তুলসীদাস চন্দ্রসম ও কেশবদাস তারাসম। এখনকার অন্ত কবির খদ্যোৎ সম, মধ্যে মধ্যে বা কোথাও কোথাও একটু উজ্জল হইয়৷ ওঠেন আবার নিবিয়া যান। স্বরদাসের জীবন সম্বন্ধে বেশী কথা জানা নাই, কেননা আমাদের দেশে কৰিদের জীবনী সংগ্রহ করার নিয়ম কোনকালে ছিল না। কবির কবিতা পড়িয়া তাহার ভাবে মুগ্ধ হইয়াই ভারতবাসীরা তৃপ্ত, কবির জীবনী জানা প্রয়োজনীয় মনে করে না। কবির চরিত্র পূত কি দূষিত, ভারতবাসী তাহার বিচারে প্রবৃত্ত হয় না, সে কেবলমাত্র তাহার অমৃতময় বাণী শুনিতে চাহে । পাশ্চাত্য প্রথানুসারে অঞ্জিকাল কবিদের জীবনের খুঁটিনাটি ঘটনা লেখা হইতেছে, কিন্তু আমাদের প্রাচীন কবি সম্বন্ধে আমরা নাম ছাড়া বেশী কিছু জানি না । সংস্কৃত-সাহিত্যে এমন অনেক কবিতা আছে যাহার রচয়িতার নামও জানা নাই । . কবি কালিদাসের নাম পৃথিবীর সকল সভ্য ও শিক্ষিত সম্প্রদায়ের সকলে শুনিয়াছে, তাহার কাব্যের রসগ্রহণও অনেকে করিয়াছেন, কিন্তু তিনি কোন দেশবাসী ও কোনকালে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন তাহাও নিশ্চয়রূপে জানা নাই । ইহা ছাড়া সুরদাস বৈষ্ণব-ভক্ত ছিলেন ও বৈষ্ণবদের মত বিনয়ী ছিলেন, তিনি স্বয়ং কখনও আপনার কীৰ্ত্তি বা যশ প্রকাশ করিতে ইচ্ছুক হন নাই, অন্ত ভক্ত লেখকরাও সে-সকল কথা লেখেন নাই বা লেখা প্রয়োজনীয় মনে করেন নাই। তবে, এ প্রদেশে সুরদাস সম্বন্ধে নানা প্রবাদ এখনও মুখে মুখে শুনিতে পাওয়া যায়, সেগুলি ঐতিহাসিক না হইলেও একেবারে ভিত্তিশূন্ত নহে । সুরদাসের সমস্ত পদগুলি আজ পর্য্যস্ত একত্র হর নাই । যাহা সংগ্রহ করা হইয়াছে তাহাতে একখানি প্রকাণ্ড পুস্তক হইয়াছে। এখনও এ অঞ্চলের সাহিত্যিকর। সংগ্ৰহ করিবার চেষ্টা করিতেছেন । তাহার জীবনী সম্বন্ধে নিশ্চয়রূপে অতি অল্প কথাই জানা গিয়াছে। ভিন্ন ভিন্ন সাহিত্যিকর স্বপ্নদাসের জীবনী ংগ্ৰহ করিবার চেষ্টা করিয়াছেল, কিন্তু প্রায় দেখা যায় যে, সারস্বত ব্রাহ্মণ সংগ্রহকারী উীহাকে সারস্বত ব্রাহ্মণ,