পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] মহাকবি সুরদাস ఫిe :) আৰ্ত্ত হইয়া ভগবানকে ডাকিতে লাগিলাম । সপ্তম দিবলে, অর্থাৎ শেষে স্বয়ং ভগবান আমাকে উদ্ধার করিলেন । দিয়ে চখ, দ্য কহি শিশু শুন মাগ বয় যে চাই । tई कशै। यडू छकूठी कोश्ठ. *क्ल मान शडांश् ॥ তিনি আমার চক্ষু দান করিলেন, ও বলিলেন, “রে শিশু, শুন, আপনার ইচ্ছামত বর চাও।” অথবা তিনি আমাকে জ্ঞান-চক্ষু দান করিলেন ও বর চাহিতে আজ্ঞা করিলেন। আমি বলিলাম, "প্রতু, আমি ভক্তি চাই ও আমার শত্রুনাশ হউক।” মূসরে ন রূপ দেখে দেপি রাধেখাম। শুনত করুণাসিন্ধু ভার্থী, ”এবমস্তু" স্থধাম ॥ “আমি রাধাপ্তাম রূপ দর্শন করিয়া সেই চক্ষে আর অন্য কোন রূপ দেখিতে চাহি না . এই কথা শুনিয়া করুণাসিন্ধু ভগবান আমার ইচ্ছা পূর্ণ করিয়া বলিলেন, *এবমস্তু” । তিনি আমার শত্রুনাশ সম্বন্ধে বলিলেন,~~ প্রবল দচ্ছিন বিগ্রকুল তে শত্ৰু হুইহে নাশ । দক্ষিণ দেশের প্রবল বিপ্রকুলের হাতে তোমার শত্রু নাশ হইবে । [ স্বরদাসের ভ্রাতৃঘাতী শত্রু মোগলরাজবংশ এ ঘটনার ও রচনার বহুকাল পরে দক্ষিণাত্যের বিপ্রফুলোদ্ভব প্রবল পেশোয়াদের হাতে লাঞ্ছিত ও বিধ্বস্ত হইয়াছিল। অথবা, তাহার অজ্ঞান-রূপ শক্ৰ দক্ষিণ-দেশীয় বিপ্রকুলোদ্ভব গুরু বল্লভাচার্য্য নাশ করিয়াছিলেন | ] ভগবান আমাকে বর দিয়া বলিলেন,— অক্ষত বুদ্ধি বিচার বিদ্যা মান মানে সাস ॥ তোমার অক্ষয় বুদ্ধি, বিচার-শক্তি, বিদ্যা ও মান হইবে। তাহার পর নাম রাখে মোর শুরজম্বাস, সুর, স্বাম। আমার নাম রাখিলেন, সুরজদাস ( স্থৰ্য্যদাস ), স্বর, ও মুখাম । তাহার পর তিনি অন্তৰ্দ্ধান করিলেন, আমি ব্ৰজে বাস করিতে লাগিলাম। কিন্তু এই কবিতার সহিত র্তাহার “স্বরসায়াবলী"র অন্ত স্থানের উক্তির [ শিব বিধান তপ করেউ বহুত দিন ] ঠিক সামঞ্জস্ত হয় না। এ কবিতানুসারে তিনি শিশুকাল হইতেই “যদুপতি” উপাসক, বহুত দিন শিব বিধান তপ আর হয় না । এই পদ আবিষ্কৃত হইবার বহুকাল পূৰ্ব্বের একটি প্রবাদ আছে, যে, স্বরদাস বালো চক্ষুহীন ছিলেন না। প্রথম যৌবনে তিনি এক মন্দিরে একটি পরমাসুন্দরী যুবতী পূজারিণীকে দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছিলেন। তিনি তাহাকে অনেকক্ষণ পলকহীন নেত্ৰে দেখিতে লাগিলেন। যখন পূজারিণী মন্দির ত্যাগ করিয়া গৃহে যাইতে লাগিল, সুরদাসও তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইতে লাগিলেন। সে আপনার গৃহের নিকট পৌছিয়া, স্বরদাসের কাছে আসিয়া কঠোরভাবে বলিল, “তুমি ব্রাহ্মণ-কুমার ও বিদ্বান বোধ হইতেছে, কি উদ্দেশে আমার পশ্চাত্রে পশ্চাতে আসিয়াছ ?” সুরদাস লজ্জিত হইয়। বলিলেন, “একটি ভিক্ষা করিতে আসিয়াছি, দিবে কি ?” যুবতী বলিল, “যদি দিবার মত হয়, নিশ্চয় দিব, কি চাও বল ।” সুরদাস বলিলেন, “দেখ, আমার এই দুইটি চক্ষু আমার পরম শত্ৰু, ইহারা আমাকে অধৰ্ম্মের ও নরকের পথে টানিয়া লইয়া যাইতেছে, আমি ভিক্ষ, করিতেছি, তুমি একটি ছুচ আনিয়া আমার চক্ষু দুটি অন্ধ করিয়া দাও।” সেই সময় হইতে তিনি অন্ধ । বিল্বমঙ্গল সম্বন্ধে অনেকট এইরূপ গল্প বাঙ্গালী লেখকর কল্পনা করিয়াছেন। বোধ হয় এরূপ প্রবাদ আরও অন্য সাধু, বিশেষতঃ অন্ধ সাধু সম্বন্ধে আছে। অতএব ইহার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে বলিয়৷ বোধ হয় না, তবে স্বরদাস নামের সহিত অন্ধত্বের এত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ হইয়া গিয়াছে যে যুক্তপ্রদেশে লোকে অন্ধ, বিশেষতঃ অন্ধ গায়ক ও সাধুকে । সে ধনবান হউক বা ভিখারী হউক ] সুরদাস বলিয়া সম্বোধন করিয়া থাকে। যাহা হউক, দিল্লীর নিকট সিহী গ্রামে ব্ৰহ্মভট্ট বা ভাট কুলে সুরদাস জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। অন্য এক প্রবাদ আছে যে, তিনি আগর হইতে নয় ক্রোশ দূরে মথুরার পথে, যমুনাতীরে গউঘাট নামক গ্রামে বাস করিতেন। তিনি জন্মান্ধ হউন বা না হউন, তিনি যে বিদ্বান ছিলেন তাহাতে সন্দেহ নাই। তিনি সংস্কৃতসাহিত্য, ব্যাকরণ, কাব্য, অলঙ্কার জানিতেন, পুরাণে প্তাহার ভাল জ্ঞান ছিল। ইহা ছাড়া তিনি