পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o তাঞ্জুর কণ্ঠে “ভইস” আছে । টেবিল আভাবে বা হাঞ্জের চেটোয় মুষ্টবন্ধ ডানহাত ঠুকিয় সকল প্রসঙ্গেই সে জগদগম্ভাবস্বরে বলিতে পারে—“কেবল থয়েী আর বক্তৃতায় কিছুই হইবে না, প্র্যাকুটিল চাই প্ল্যাক্টস-প্রাক্টকাল ন হইলে অভাগা জাতির কৃষ্ট স্বরাজ-” - লিখক্ষাজিল ফোকুরেট একদিন খামখা রিদেকে | রিয়া বলিয়াছিল –“হ্যারে, সকলকে যে খদ্দর ’লে বেড়াস, তুই নিজে তে কক্ষনো পরিস না ?” | fরলয়াছিল—“কেন-না, আমি ভণ্ডামীকে ঘৃণা করি । ষ্ট্রেপ্রতি যে আমার শ্রদ্ধা আছে, খন্দর প’রে লোককে খয়ে বেড়ানকে আমি -ইt-ভণ্ডামী ও ধৃষ্টতারই iাক ব’লে মনে করি।” নাছোড়বান্দ। ‘রাসকেল’ কট্রে। ক্র বাকাইয়া বলিয়াছিল—“তাহলে ন্যালেনল ੇ (জাতীয় পতাক ) খন্দরের বানিয়ে একটা ক’রে ༣ཊ কংগ্রেস প্যাণ্ডেলে ঢুকলেই তো লোকে ***۔ \চারা গান্ধীকেও তাহলে আর চরকা, ন্তে বাঙালীদের গালাগাল খেতে হয় ੋਂ ক্ষোভ প্রকাশ করিয়া রিদে বলিয়াছিল ক্ট করে করেই তে। দেশটা গেল !—কেবল র থিয়োরী !’ রদে অর্থাৎ হৃদয়বান্ধবও বিপিনের জন্ত ফীল’ ফোকুরের বঙ্গোক্তি, মদনার সভঙ্গিম কবিতাএরং সকলের হাসিতে অতিমাত্র বিরক্ত হইয়া সে গম্ভীর কণ্ঠে কহিল,—“বুঝলে ? তোমরা র্সে বসে ওখানে কবিতাই ওড়াও আর থিয়োরী । সাধ করে কি দেশটার—” ভঙ্গিত রিদের মুষ্টিবদ্ধ হাতখানা সজোরে টেবিলের স্বসিয়া পড়িতে ছুটিল ; কিন্তু হায়, মধ্যপথে -ল্যাম্পটার উত্তপ্ত চিম্নিটা হাতে ঠেকিতেই লিয়া হাতটা সরাইয়া লইবার সঙ্গে সঙ্গেই যুগপৎ কণ্ঠের স্থা ! ই ’ শব্ব ও প্রসারিত হস্তের }ঠলি সত্ত্বেও লাম্পটা গড়াইয়া বানান শব্দে পঞ্জি গেল। মুহূৰ্ত্তে সব অন্ধকার এবং স্তব্ধ! " জ্ঞাৰিতে আনন্দ হইল-দুইটি રર প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ [૭-ન ভাগ, ২য় খণ্ড বিপরীতগামী ট্রেনে যেন কলিসন লাগিয়াছে। একটা প্রচণ্ড শব্বের সঙ্গে সঙ্গে ততোধিক প্রচণ্ড একটা ধাক্কা, সমবেত কণ্ঠের আতঙ্ক রোল, গোলমাল, লণ্ডভণ্ড – তারপর সব অন্ধকার। ...ভাঙা গাড়ীর স্তুপীকৃত লোহালক্কড়ের তলায় একটা বড় সুন্দর মধুভার যেন তাহার কঠলগ্ন হইয়া অtéকণ্ঠে কহিতেছে -- “বিপিন প্রিয়-ত-ম!” বিপিন গদগদকণ্ঠে কহিল—“মিনতি প্রি-য়-ত-মে ! Ե “ওগো, তোমার একখানা কি সরকারী চিঠি এয়েছে দেখ ।” বিপিনের মা বিপিনের পিতা শ্ৰীযুক্ত মহেশচন্দ্রের ঘরে ঢুকিলেন ; আর চুকিল-বিপিনেব দিদি বিপিনের বোন, বিপিনের ভাইঝি—সরযু, অণিমা, খুক । ঢুকিয়া মহেশচন্দ্রকে ঘিরিয়া দাড়াইল । স্ত্রীর হাত হইতে একখানা লম্বা খাম লইয়া তিনি কহিলেন—“এযে দেখচি ‘মঞ্জরী’ আপিস থেকে এসেচে!” খুলিয়া একট। সাদা কাগজ টানিয়া বাহির করিতেই সকলের চোখে পড়িল-নীল পেন্সিলের মোট হরফে লেখা—“স্থানাভা ব” । কাগজটির ভাজ খুলিয়াই তিনি পড়িতে আরম্ভ করিলেন–হিয়া-প্রিয় মধুময়ী মিনতি আমার’— “দূর ছাই, ব্যাটার-” তা বিরক্ত হইবার কথাই । মেয়ে, নাতনী মহেশবাবু বাহির হইয়া গেলেন । তাহার পর ঠাকুম, পিসিমারা সব চিঠিখানার উপর ঝুকিয়া পড়িলেন, দাদাবাবু আবার ঘরে ঢুকিয় পত্রট লইয়া গেলেন, “মিনতি মঞ্জরী আরও কত-কি-সব কথা হইল খুকী ভাল বুঝিতে পারিল না। দ্বিতীয় ভাগটা পৃষ্ঠা থাকার মোট হরফের “স্থানাভাব” কথাট। সে আগেই পড়িয়া লইয়াছিল, এখন পিসীমাদের মুখে একাধিবার তাহার মেঙ্গ-কাকা বিপিনের নামটাও শুনিল ॥/ব্যস, , তাহাই যথেষ্ট! মহানন্দে সে বিপিনের খোজে/বাহির । হইয় গেল / f