পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. lso সংখ্যা } সাইমন কমিশনের কবুল ২২৫ : h যেটা আত্মার সাধন । রাষ্ট্রক আর্থিক নানা গালমালে যখন মনটা আবিল হয়ে ওঠে তখন ষ্ঠাকে স্পষ্ট দেখতে পাই নে বলেই তার জোর কমে बाब আমার মধ্যে সে বিপদ আছে, সেইজন্তেই আলী জিনিষকে অঁাকড়ে ধরতে চাই । কেউ বা আমাকে উপহাস করে, কেউ বা আমার উপর রাগ করে, তাদের নিজের পথেই আমাকে টেনে নিতে চায়। কিন্তু কোথা থেকে জানিনে আমি এসেচি এই পৃথিবীর তীর্থে, আমার পথ আমার তীর্থ-দেবতার বেঙ্গীর কাছে। মাতুষের দেবতাকে স্বীকার ক’রে এবং প্রণাম ক’রে যাব আমার জীবন-দেবতা আমাকে সেই মন্ত্র দিয়েচেন । যখন আমি সেই দেবতার নিৰ্ম্মাল্য ললাটে প’রে যাই তখন সব জাতের লোকই আমাকে ডেকে আসন দেয়, আমার কথ! মন দিয়ে শোনে। যখন ভারতবর্ষীয়ের মুখোস পরে দাড়াই তখন বাধা বিস্তর। যখন আমাকে এর মাহুষরূপে দেখে, তখনি এরা অামাকে ভারতবর্ষীয় রূপেই শ্রদ্ধা করে ; যখন নিছক ভারতবর্ষীয় রূপে দেখা দিতে চাই তখন এরা আমাকে মানুষরূপে সমাদর করতে পারে না। আমার স্বধৰ্ম্ম পালন করতে গিয়ে আমার চলবার পথ ভুল বোঝার দ্বারা বন্ধুর হয়ে ওঠে । আমার পৃথিবীর মেয়াদ সঙ্কীর্ণ হয়ে এসেছে ; অতএব আমাকে সত্য হবার চেষ্টা করতে হবে, প্রিয় হবার নয় । আমার এখানকার খবর সত্য মিথ্যা নানাভাবে দেশে গিয়ে পৌছয় । সে সম্বন্ধে সব সময় উদাসীন থাকতে পারিনে ব’লে নিজের উপর ধিক্কার জন্মে । বার-বার মনে হঃ, বাণ প্রস্থের বয়সে সমাজস্থের মতো ব্যবহার করতে গেলে বিপদে পড়তে হয় । ইতি ২৬ আগষ্ট, ১৯৩০ [ শ্রীরামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত ] مساحت اعت تحت تجات تجمجتمام مسمی সাইমন কমিশনের কবুল [ প্রবাসী-সম্পাদককে লিখিত একখানি চিঠি ] শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অতলাস্তিক মহাসাগর শ্রদ্ধাস্পদেষু রাশিয়া থেকে ফিরে এসেচি, চলেচি আমেরিকার পথে । রাশিয়া-যাত্রায় আমার একটিমাত্র উদ্বেশ্ব ছিল— ওখানে জনসাধারণের শিক্ষাবিস্তারের কাজ কি রকম চলচে অfর ওরা তার ফল কি রকম পাচ্চে সেইটে অল্পসময়ের মধ্যে দেখে নিতে চেয়েছিলুম। আমার মত এই যে, ভারতবর্যের বুকের উপর যত কিছু দুঃখ আজ অভ্ৰভেদী হয়ে দাড়িয়ে আছে তার একটি মাত্র ভিত্তি হচ্চে অশিক্ষা । জাতিভেদ, ধর্শ্ববিরোধ, কৰ্ম্মজড়ত, আধিক দৌৰ্ব্বল্য—সমস্তই অঁাকড়ে আছে এই শিক্ষার অভাবকে। সাইমন কমিশনে ভারতবর্ষের সমস্ত অপরাধে করে ব্রিটিশ শাসনের কেবল একটি করেচে। সে হচ্চে যথেষ্ট পরিমাণে কিন্তু আর কিছু বলবার দরকার ি যদি বলা হয়, গৃহস্থ সাবধান হতে শে আর এক ঘরে যেতে চৌকাঠে হু চট থেয়ে পড়ে, জিনিষপত্র কেবলি হারা পায় না, ছায়া দেখলে তাকে জুজু বলে ভাইকে দেখে চোর এসেচে ব’লৈ ল যায়—কেবলি বিছানা আঁকড়ে পড়ে বেড়াবার সাহসই নেই, ক্ষিধে পায় বি ۲۹۰ می \ \

  • তাহাও স্পষ্ট তাৰায় নহে –