পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩০ নাওয়া-খাওয়া দেখবার জন্যে কে বসে থাকে ? কতদিন ত না খেয়েই কেটে যায় ।” ইন্দু বলিল, “সেখানে কাটে ব’লে কি এখানেও কাটুবে ? যাও, এখন হাতমুখ ধোও গিয়ে । ও কি দাদা, তুমি আবার এখনি বেরবে না কি ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “আমায় একটু আপিসে যেতে হবে, শীগগিরই ফিরে আসব। চল, একবার উপরে স্বায়াকে দেখে আসবি ।” ইন্দু বলিল, “ওমা সতি, যার জন্যে এলাম, তার সঙ্গে খোজ নেই, নীচে দাড়িয়ে বাজে বকৃছি । চল, চল ।” প্রভাস তাহার নির্দিষ্ট কক্ষে চলিয়া গেল, নিরঞ্জন ইন্দুকে লইয়া মায়ার কাছে চলিলেন । মায়ার শয়নকক্ষের বাহিরে বুড়ী আয় বসিয়াছিল। সে কাছে গেলে মায়া এখন চটিয় ওঠে, কাজেই ঘরের ভিতর সে বড় একটা যায় না । কিন্তু একজন স্ত্রীলোক রোগিণীর কাছাকাছি থাকা দরকার, সুতরাং বেশীর ভাগ সময় সে ঘরের বাহিরে বসিয়া থাকে । ঘরের সাজসজ্জা প্রায় আগের মতই আছে ; তফাতের মধ্যে এককোণে মেঝের উপর একটা সাদাসিদা বিছানা পাত, তাহার উপর মায়া শুইয়া আছে। ইন্দু ব্যস্ত হইয়া বলিল, “গুম, মাটির উপর শুয়ে কেন ? অসুখ শরীরে আবার ঠাণ্ড-টাগু লেগে একখানা কাণ্ড করুক। খাটে শোয়াওনি কেন ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “কিছুতেই ওকে শেয়ান যায় না। কি যে সব বলতে আরম্ভ করে, অৰ্দ্ধেক কথা বোঝাই যায় মা । ওর কোনে। কারণে ধারণ হয়েচে, এটা হাসপাতাল, তাই সব তাতেই তার ভয় আর আপত্তি । তুই ব’লে দেখ না একবার, যদি কথা শোনে।” ইন্দু ডাকিল, “মায়া, মায়া!” মায়। ঘুমায় নাই, এমনিই চোখ বুজিয়া পড়িয়াছিল। ইন্দুর ডাকে চোখ মেলিয়া চাহিয়৷ বলিল, “ৰেগী ? কেন ডাকছ ?” - ইক্ষু বলিল, "ওম, অামায় চিনতে পারছিস না ? পিসীয়াকে এরই মধ্যে ভুলে গেলি ?” মায়। তাড়াতাড়ি উঠিয়া বসিল। ইলুকে ভাল করিয়া প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড দেখিয়া লইয়া বলিল, “তাই ত, পিসীমাই ত ! কি করে এখানে এক্ষে ?” ইন্দু বলিল, “তোব অস্থখ শুনে দেশ থেকে এলাম দেখতে । এখন কেমন আছিল ?” মায়া বলিল, “আছি ত ভালই এক রকম। কিন্তু এখানে সব তাতে বড় অসুবিধে। সব ছোয়া-নেপা করে একাকার করে রাখে, বড় ঘেন্না করে । এত জায়গা থাকতে হাসপাতালে কেন যে আমাকে নিয়ে এল, এখানে কি হিন্দুর মেয়ে টিকতে পারে ?” ইন্দু অবাক হইয় তাহরে দিকে চাহিয়া রহিল। এ যেন সেই সাত-আট বৎসর পূর্বের মায়, যাহাকে লাইয়া সে প্রথমে রেঙ্গুনে আসিয়াছিল। সব তাতেই তাহার ভয়, সব তাতেই তাহার বিতৃষ্ণ । জীবনের মাঝখান হইতে আটটা বৎসর তাহার কেমন করিয়া মুছিয়া গিয়াছে। শিক্ষিত বাকপটু মায় আর নাই, তাহার স্থলে পল্লীগ্রামের অশিক্ষিতা, কুসংস্কারাপন্ন বালিকা আবার ফিরিয়া আসিয়াছে । নিরঞ্জন বলিলেন, “সারাক্ষণই এই ধরণের কথা বলে । কি যে ব্যাপার ভাল ক’রে বুঝতেই পাপছি না । এখানকার ডাক্তাররাও কেউ কিছু বলতে পারছে না । ডাঃ মিত্র এলে কিছু যদি বলতে পারেন।” নিরঞ্জন যদিও কথাগুলি ইন্দুকে লক্ষ্য করিয়াই বলিতেছিলেন, তথাপি মায় তাহ শুনিতে পাইল । খানিকটা যেন বিরক্ত হইয়। বলিল, “বাবার এক কথা । নিজে দেশ ছেড়ে, ধৰ্ম্ম ছেড়ে সাহেব হয়েছেন ব’লে সবাই তাই হবে না কি ? আমাকে স্থদ্ধ কোথায় এনে তুললেন দেখ না ! যত-সব মেচ্ছ কারধান । এ খাটে কত মানুষ শুয়ে গেছে তার ঠিকান নেই। আর রাপরাশ যত ফিরিঙ্গী-মানার কাপড়-চোপড়। এসব অন্যের পরা জিনিষ আমি কেন পরব ? এতে কি আচার থাকে ? কত কষ্টে আমার বাক্সটা খুঞ্জে ব্যর করেছি জান না। আমার যা কাপড় আমি তাই পবৃছি।” हेन्नू जका कब्रिग्री cनशिश, गाग्राद्र कशाहे ठेिक । শুধু যে সে মাটিতে বিছানা করিয়া শুইয়া জাছে তাহা নয়, কাপড়-চোপড়ও পরিয়াছে পাড়াগায়ের.