পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.# ' ২য় সংখ্যা ] ধরণে। একখানা লালপেড়ে শাড়ী এবং একটা লেশবসান পুরাতন সেমিজ ভিন্ন ভাঙ্গার গায়ে কিছুই নাই। সেমিজটা তাহার বহু পূর্বের সম্পত্তি, রেজুন আসিবার সময় সে গ্রামের দোকান হইতে কিনিয়া আনিয়াছিল। নিরঞ্জন বলিলেন, “কোন কালের এক পুরনো বাক্স ওর ড্রেসিং-রুমের কোণে পড়েছিল, সেটাকে টেনে এনেছে। তার ভিতর যত ছেড়া কাপড় ছিল, সব বার করে পরছে। তুই পারিস ত ওকে একটু বোঝা, আমি অপিসের কাজ সেরে আলি ।” ইন্দু মায়ার পাশে বিছানায় বসিয়া বলিল, “মায়া, উঠে তোর খাটে শো দেখি। এটা হাসপাতাল কেন হতে যাবে, এ ত মেজদার বাড়ী ? তোর জন্যে এত ক’রে ঘরদোর সাজিয়েছে, এত কাপড়-জামা করিয়েছে, ই কিছু ব্যবহার করুবি না ?” মায়া মুখ বাকাইয়া বলিল, “আমার প্রবৃত্তি হয় না, সিম, কেমন যেন গ ঘিন ঘিন করতে থাকে। এাবা যে কিছু বোঝেন না । তিনি ধৰ্ম্ম ছেড়েছেন ব’লে সবাই কি তা ছাড়বে ? হিন্দুর মেয়ে আমরা, ধৰ্ম্মই হ’ল আমাদের আসল জিনিষ।” ইন্দুর গায়ে কাটা দিয়া উঠিল। এ যেন পরলোকগত সাবিত্রীষ্ট তাহার কন্যার মুখ দিয়া কথা বলতেছে। নিরঞ্জন তাহদের একমাত্র সন্তানকে বিদেশী সভ্যতার আদর্শে গড়িয়া লিঙে ছিলেন, সাবিত্রী কি লোকান্তরে থাকিয়াই এমনি করিয়া প্রতিশোধ লইতে বসিল ? বহুকাল পূৰ্ব্বে সে মায়াকে যেমন করিয়া বুঝাইতে বসিয়াছিল, আজ আবার তেমনি করিয়া বুঝ ইতে বসিল। বলিল, “তাত বটে, তাই বলে কি बा°-उद्देश्द्र भान रहे निरङ श्रद ? श्मूिद्र ८यरब्रम्न স্বাসল ধৰ্ম্ম ভালবাসার ধৰ্ম্ম । যারা ভালবাসার পাত্র তাদের জন্তে সব করতে পারা উচিত। একটু চালচলন বদলালে তোর বাপ যদি খুসি হন, তা কেন তুই পাবি না ? এটা সত্যি কিছু হাসপাতাল নয়, ঐ সব জিনিষপত্র সব তোর জন্তেই তৈরি কর, কেউ আগে ব্যবহার করেনি। এ সব নিলে, তোর মহামীয়া SAMAMAMAMAAA AAAA AAAA AAAAJASAMAMAAAS ఫిలి) SAMAMMAAASA SAASAASAAAS কোনো আচারের ক্রটি হবে না। আমি ত হিন্দুর ঘরের বিধবা, আমার চেয়ে ত আচার-বিচারের খুটিনাটি তুই ভাল বুকিস না ? আমি বলছি তোর ८काना चछाग्र श्रब म । छूहे थार्टो फेt? cभी ८मथि, আমিও তোর সঙ্গে শোক এখন। খাওয়া-দাওয়া ত তোর বামুনেই জোগাড় করে দেয়, তবে আর মুস্কিলট কি ? অার এ ছেড়া কাপড়খানা ছেড়ে ফেল, আলমারী থেকে ভাল কাপড়-জামা বার করে দিই, প’রে বোস্। চুলগুলো বাধ, এমন করে শরীর নষ্ট করিস নে। বাপের মনে কষ্ট দিয়ে কোনো লাভ আছে কি ?” মায়া খানিকক্ষণ কি যেন চিস্তা করিল, তাহার পর বলিল, “কি জানি পিলিমা, ঠিক কিছু বুঝতে পারি না। বাবার মনে কষ্ট দেওয়া ঠিক না, কিন্তু মাকেই কি ভুলে যাওয়া উচিত ? তিনি কত দুঃখ পেয়ে গেলেন, স্বামীস্বদ্ধ তাকে ত্যাগ করলেন, তবু ত তিনি ধৰ্ম্ম ছাড়েন নি ।” ইন্দু ক্রুদ্ধকণ্ঠে বলিল, “খাম্‌ খাম্, আর ভট্চাযিার মত বকৃত দিতে হবে না। মা ভারি কীৰ্ত্তিই করেছেন। আজন্ম স্বামীকে জালান বুঝি ভারি ভাল ? হিন্দুর মেয়ে, হিন্দুর মেয়ে ক’রে বড় যে ফন্ড্রু ফড়ি করিস, হিন্দুর ছেলেমেয়ে মা-বাপের জন্তে কি না করেছে ? রাজ ছেড়েছে, বনে গেছে। রামের গল্প পড়েছিল, পুরুর গল্প পড়েছিস্ ? একটু খাটে উঠে শোওয়া আর একখানা ফর্সা, কাপড় পরতেই তোদের প্রাণ বেরিয়ে যায় ?” মায়া অশ্রপূর্ণ চোখে ইন্দুর দিকে তাকাইয়া রহিল । তাহার পর বলিল, “আচ্ছা আমি খাটে উঠে শুচ্ছি, কাপড় ছাড়ছি । কিন্তু ওসব সায়া, জ্যাকেট আমি পরব না এথন । একট। সেমিজ জার শাড়ী দাও । কিন্তু আমার মায়ের মামে আমন করে বোলো না । তোমরা তাকে দেখতে পারডে না, কিন্তু তিনি আমার ম! ত ” ইন্দু আলমারী খুলিয়া কাপড়জামা বাহির করিতে করিতে বলিল, “দেখতে পাৱৰ না কেন ? সে কি আমাদের পর ছিল । তবে অস্কায় দেখলে বলব না?