পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

His/ #. تحصی o -- : o عشی - - リ নাবিকহীন নৌকা— পোর্টস্মাধের নৌবহর প্রদর্শনীতে বিরাটকায় যুদ্ধের জাহাজগুলি যখন নিশ্চল হইয়া দাড়াইয়া আছে, তখন এই ৩৫ ফুট মোটরবোটখানি নাবিকহীন হইয়াও ভূতচালিতের মত চলাফির স্বর করিল। চারিটি মাস্তুল দেখিয়া অবশ্ব অনেকেই আন্দাজ করিল যে অদৃষ্ঠ হস্তধানি বেতার-বাৰ্ত্তার। কেবল এই নৌকাথানিই নয়, ইতিপূৰ্ব্বে এরোপ্লেন, মোটরকার এবং ট্যাঙ্ক প্রভৃতিও বেতারে চালিত হইয়াছে। যুদ্ধের সময় এই রকম একটি নৌকাকে বিস্ফোরকে বোঝাই করিয়া শত্রুর মধে ছাড়িয দিলে একপক্ষ মেঘনাদের মত আড়ালে থাকিয়া অন্য পক্ষের অনেক সৰ্ব্বনাশ করিতে পারিবে । W কৃত্রিম সমুদ্রের স্বষ্টি, এবং একটি যন্ত্রও আবিষ্কৃত হইয়াছে যাহ। নাকে মুখে লাগাইয়া জলের ভিতর দিয়া উপরে উঠা সম্ভব হইবে। সমুদ্র স্বষ্টি করা হইয়াছে এই বিরাট মিনারটির মধ্যে । ইহা প্রায় তের তালার সমান উচু এবং ব্যাসে ১৮ ফিট। ইহা সমুদ্রের লোণী জলে ভত্তি। সাবমেরিণের নাবিকদের কৃত্রিম ফুসফুস নাকে দিয়৷ ইহার মধো নামাইয়া দেওয়া হয়। ইহার নীচে সাবমেরিণের মত অবিকল একটি কুঠুরী আছে, সেই কুঠুরী হইতে তাহারা উপরে উঠা অভ্যাস করে । প্রথম একটা দড়ি বাধা বিয়া ছাড়িয়া দেয়, তারপর সেই ‘বয়া'র দড়ি ধরিয়া উপরে উঠতে থাকে । বেতার টেলিগ্রাফের সাহায্যে চালিত নাবিকহীন নৌক৷ কৃত্রিম সমুদ্ৰ— বিগত যুদ্ধের পর আজ পর্য্যস্ত এগারটি সাবমেরিণ দুর্ঘটনা ঘটয়াছে। তাহাতে ৪৬৮ লোক প্রাণ হারাইয়াছে। দুর্ঘটনার কারণ এই যে, জলের নীচ দিয়া চলিবার সময় কোন রকম যন্ত্র বিকল হওয়াতে জলের উপর উঠা সাবমেরিণের পক্ষে সম্ভব হয় নাই । সুতরাং বাতাসের অভাবে কিছুকালের মধ্যে লোকদের প্রাণনাশ ঘটয়াছে। এই রকম দুর্ঘটনার সময় যাহাতে লোকগুলি সাবমেরিন জুইতে বাহির হইয়া উপরে উঠতে পারে, সেই রকম শিক্ষা দিবার জন্ম r এই মিনারটি তৈরী করিতে খরচ পড়িয়াছে এক লক্ষ কুড়ি হাজার ডলার। ইহা ষ্টিলের তৈরী। বাহিরে এলুমিনিয়াম রং দেওয়া। ভিতর অালো দিবার জন্য এবং জল গরম রাখিবার জন্য ব্যবস্থ৷ আছে। বাহিরেও ইহাকে আলোকিত করা হয় এবং এরোপ্লেনের পথনির্দেশের জঙ্ক এখান হইতে ‘বীক্ষন’ লাইট ফেলা হয়।