পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$6:b ঘনকাল চটষ্ণহীন রং-এ অল্প রিলিফে কাজ পোরসেলিন-এর মত শুঞ্জ জমির উপর অতি সুমার দেখায় । রচনায় মধ্যে কাল্পনিক বেথাচিত্র, ফুল পাতা এবং কচিৎ চিত্রিত লিপি দেখা যায়। ইহাই সাধারণতঃ ইসলামীয় রচনার ধারা। এই শিল্পের সব চেয়ে অভিনব এবং বিশিষ্ট রচনা লতাপাতার ছবিকে একটা কৃত্রিম ভঙ্গিতে সাজাইরা একটি অপুর্থ প্যাটার্ণ স্বষ্টি করা। জলের ফুল গোলাপ, পিঙ্ক, এবং দেবদার গাছ এই গুলি এই আর্টে খুব বেশী প্রচলিত। মানুষ, পশুপক্ষী প্রভৃতি এ আর্টে প্রায় বর্জিতই বলা যাইতে পারে । পায়ী বাদনগুলি তুকী হইতে বেশী পুরাতন । ত্রয়োদশ শতাব্দীতে পারস্যের মোগল বিজয়ের পর হইতে এই শিল্প অবনতির পথে প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড চলে । সুলতানাবাদ এবং বেগেস এই দুইটি জায়গাই এ শিল্পের প্রধান কেন্দ্র, পারসোর নির্মাণপদ্ধতি তুরস্ক হইতে খুব বেশী বিভিন্ন নয়, তবে ডিজাইমের দিক হইতে যথেষ্টই তারতম্য দেখা যায় । বেগেসের বাসনগুলিতে সোমালি এবং অন্তান্ত রঙ্গে অতি নিপুণBBB BBD D DDB B DBB DBB S BBHD DBB BBBS BBBS BB BBBS BBB BBB BBBBB S BBBBS BBS সম্প্রদায় ভূক্ত। তাই তাম্বাদের সঞ্জীৰ প্রাণীর ছবি আঁকিতে কোন বাধা ছিল না। কতকগুলি বাসনে অতি সুন্দর জালির কাজ করা হুইয়াছে । জালির র্যাকগুলি সাদা অনেক রঙ্গীন স্বচ্ছ রঙ্গ দিয়া ভরিয়া দেওয়া হইয়াছে, এই গুলিকে পারসী শিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বলা যাইতে পারে। মানের দায়ঞ্জ ঐস্বৰ্ণলতা চৌধুরী স্পেনদেশে টলিডে নামক একটি শহর আছে । চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ডন এন্‌রিক ডি ট্রাষ্টীমার টলিডে অবরোধ করেন। কিন্তু নগরের অধিবাসীরা বিশেষ সাহসের সহিত এই আক্রমণে বাধা দিতে লাগিলেন । শত্রুসৈন্য টেগস্ নদীর অপর পারে সিগারেলস্ নামক স্বন্দর স্থানে তাবু গাড়িয়াছিল । নগরের সহিত এই প্রাস্তর সান মার্টিনের সেতুর দ্বারা সংযুক্ত। নগরবাসীরা প্রায়ই এই সেতু অতিক্রম করিয়া ডন এনরিকের সৈন্যদলের উপর গিয়া পড়িত এবং তাহাদিগকে বিধ্বস্ত করিয়া ফিরিয়া আসিত । টলিডে শহর সুন্দর প্রাসাদ, তোরণ প্রভৃতির জন্য বিখ্যাত, তাহারও মধ্যে এই সেতুটি সৌন্দর্ঘ্যের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। সিগারেলস্ প্রাস্তরটিতে বহুসংখ্যক ফুল ও ফলের বাগান, বাগান-বাড়ী, প্রমোদোদ্যান প্রভৃতি ছিল। ইহার সৌন্দর্যো মুগ্ধ হইয়া অনেক কবি ইহার বিষয়ে সঙ্গীত ও কবিতা রচনা করিয়াছেন । ডন এনরিক টলিডোবাসীদের আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হইয়া অবশেষে স্থির করিলেন যে, তিনি সান্‌ মার্টিন সেতুটি ধ্বংস করিয়া ফেলিবেন । মশালিগনাইতে অন্ধকার রাত্রে তাহার সৈন্যের প্রাস্তরের শোভাবৰ্দ্ধনকারী গাছগুলি কাটিয়া ফেলিয়া সেতুর উপর স্ত,পাকারে সাজাইয়া দিল। প্রভাত হইতে না-হইতে সেতুর উপর ভীষণভাবে আগুন জলিতে আরম্ভ করিল। উহ! ক্রমেই বাড়িয়া চলিল, এবং উহার ভয়াবহ আলোকে শত্রুসৈন্যদল, টেগস নদীর জল, রাজপ্রাসাদ প্রভৃতি সব আলোকিত উঠিল। বিবিধ কারুকার্য্যখচিত খিলান ও স্তম্ভগুলি যখন মড়মড় করিয়া উঠিল, তখন বোধ হইতে লাগিল, কলালক্ষ্মীই যেন বৰ্ব্বরের অত্যাচারে আৰ্ত্তনাদ করিতেছেন। হইয়া এই ভীষণ দৃশ্ব দেখিয়া নগরবাসীরা দৌড়িয়া নদীতীরে গিয়া সমবেত হইল, যদিই কোনো উপায়ে ঐ সুন্দর সেতুটিকে ধ্বংসের হাড হইতে রক্ষা করা যায়। কিন্তু তাহাদের সকল চেষ্টাই বিফল হইল। ঘোররবে সেতুটি ভাঙিয়া পড়িয়া নদীগর্ভে অদৃপ্ত হইয়া গেল। স্বৰ্য্যালোকে যখন রাজধানীর হুৰ্ম্মরাঙ্গি উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল, তখন নগরের অধিবাসিনীর কলস লইয়া নদীতীরে জল আনিতে গিয়া উপস্থিত হইল। কিন্তু নদীর জল আর পূর্বের মত স্বচ্ছ ও নিৰ্ম্মল নাই, ঘোলা ও পঙ্কিল হইয়া উঠিয়াছে এবং সেতুর ধ্বংসাবশেষে জলরাশি