পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—নিরালম্ব স্বামী نسریخ স্বশাসক ডোমীনিয়নের এক একটা জাতীয় পতাকা আছে, এবং ভারতসচিব ওয়েজউচ বেনের মতে গত দশ বৎসর ভারতবর্ষ কাৰ্য্যতঃ ডোমীনিয়নত্ব ভোগ করিতেছে। তাহা হইলে ভারতবর্ষের লোকদের একটি জাতীয় পতাকা কেন থাকিবে না ? যাহা ভারতবর্গের জাতীয় পতাকা বলিয়। অহিংস আইনলঙ্ঘন প্রচেষ্টার আগে হইতেই ভারতবর্যের সব প্রদেশে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে, এ পৰ্য্যস্ত তাহ আইনবিরুদ্ধ বলিয়া কোন আইনে অর্ডিন্যান্সে বা হাইকোর্টের রায়ে ঘোষিত হয় নাই । সুতরাং তাহ কড়িয়া লইবার আইনসঙ্গত অধিকার পুলিদের নাই । আইনসঙ্গত অধিকারের কথা বলিতেছি এই জন্য, যে, বোম্বাই লাট স্বয়ং আইনের মর্য্যাদা রক্ষার কথা তুলিয়াহেম } তাহার পর মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া ও ধস্তাধস্তি করা । আগেই বলিয়াছি, জাতীয় পতাকা কাড়িয়া লইবার অধিকার পুলিসের নাই । মহিলারা পতাক! গুলি নিজেদের হতে রাখিবার যে চেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহ। সম্পূর্ণ আইনসঙ্গত । কেহ তাহীদের বসনভূষণ কড়িয়া লক্ট বার চেষ্ট করিলে তণ রক্ষণ করিবার অধিকার যেমন র্তাহীদের আছে, নিজ নিজ হস্তস্থিত জাতীয় পতাকা রেক্ষণ র অধিকার গু তেমনি আছে । মহিলার অন্য দেশে আইন ভঙ্গ করিলে পুলিস আবও অধিক কঠোর ব্যবহার কবিয়াছে, বোম্বাই লাট বলিয়াছেন। কিন্তু পাশ্চাত্য নারীরা—যেমন ইংলণ্ডের ভোটল ভাথিনা সাফ্র জেট মহিলারা--যে আইনলঙ্ঘন করিয়ছিলেন তাহা নিরুপদ্রবীভাবে নহে, এবং তা হাদিগকে পুলিস গ্রেপ্তার করিতে গেলে তাহাতে তাহারা বাধা দিয়াছেন । সুতরাং তঁহাদের সম্বন্ধে গায়ের জোর খাটনি চলিয়াছিল বলিয়া ভারতবর্ষের নিরুপদ্রব সত্যগৃহিণীদের প্রতিও বল প্রযুক্ত হইতে পারে, ইহা যুক্তি ( সঙ্গত নহে। বোম্বাই-লাট আর একটা কথ। ভুলিয়া যাইতেছেন । ভারতবর্ষের মহিলাদের ও পাশ্চাতা মহিলাদের অঙ্গস্পর্শ সম্বন্ধে সংস্কার সম্পূর্ণ পৃথক্ । পাশ্চাত্য দেশে যে-কোন পরিচিত পুরুষের সহিত ভদ্র মহিলাদেরও হাত পূরিয়া অঙ্গ স্পর্শ করিয়া নৃত্য করা চলিত রীতি। আমাদের দেশে পুরুষদের সহিত শেক্ হা গু ( করকম্পন ) করাও ভদ্রমহিলাদের চলিত রীতি স্বতরাং এ দেশে মহিলাদিগকে ঠেলাঠেলি করা গুরুতর অশিষ্টত । হে । বামনদাস বস্থ পুজার ছুটির জন্য কাৰ্ত্তিকের প্রবাসী কাৰ্বিক মাস আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বেই প্রকাশিত হইয়াছিল। এইজন্স আমরা যথাসময়ে প্রয়াগনিবাসী শ্ৰীযুক্ত বামনদাস বহু মহাশয়ের মৃত্যু-সংবাদ প্রবাসীতে মুদ্রিত করিতে পারি নাই। র্তাহার মত বিদ্বান, চরিত্রবান, কৃতী ও দেশভক্ত ব্যক্তির মৃত্যুতে প্রবাসী বাঙালী সমাজের মুকুটমণি খসিয়া পড়িয়াছে, ভারত-আকাশের অন্যতম জ্যোতিষ্ক অস্তমিত হইয়াছে । মেজর বস্তু মহোদয়ের সম্বন্ধে পৌষের প্রবাসীতে একটি সচিত্র প্রবন্ধ প্রকাশিত হইবে । এইজন্য এখন আর কিছু লিখিলাম না । নিরালম্ব স্বামী গৃহস্থাশ্রমে নিরালম্ব স্বামীর নাম ছিল ঐযতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় । বৰ্দ্ধমান জেলার চন্না নামক গ্রামে তাহার নিরালম্ব স্বামী জন্ম হয়। মৃত্যুকালে তাহার বয়স প্রায় তিয়ার বংসর হইয়াছিল। প্রবাসীর সম্পাদক এলাহাবাদের কায়স্থ