পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&b-8 প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ [ ७०* छां★, २ई थ७ পাঠশাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল থাকিবার সময় ক্রমান যতীন্দ্রনাথ তাহার ছাত্র ছিলেন । তিনি বুদ্ধিমান ছাত্র ছিলেন, লিখিবার ক্ষমতাও তাহার ছিল ; কিন্তু পরীক্ষার জন্ত পঠনীয়ু পুস্তক পাঠে তেমন মনোযোগী তিনি ছিলেন না । কলেজ ছাড়িয় যাইবার পর তাহার জীবনের সকল ঘটনা অবগত মহি । তিনি কিছু কাল বড়োদ রাজ্যের সৈনিক বিভাগে কাজ করিয়ছিলেন এবং আধুনিক রণকৌশল অনেকটা আয়ত্ত করিয়াছিলেন। তিনি যখন বড়োদায় ছিলেন, তখন শ্রযুক্ত অরবিন্দ ঘোষ তথাকার শিক্ষবিভাগে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। কথিত আছে, শ্ৰীযুক্ত অরবিন্দ ঘোষ যতীন্দ্রনাথের নিকট হইতে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা মন্ত্র লাভ করেন। অরবিন্দ, তাহার ভ্রাতা বারীন্দ্র, উল্লাসকর দত্ত, প্রভৃতি যখন আলিপুরে রাজদ্রোহের ষড়যন্ত্র আদি অভিযোগে অভিযুক্ত হন, তখন যতীন্দ্রনাথ ও অভিযুক্ত হইয়াছিলেন । তাচার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ না থাকায় তাহাকে ছাড়িয় দেওয়া হয় । নিরালম্ব স্বামী শেষ জীবনে শ্যামাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে সোহহম স্বামীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন । তিনি আফগানি মান, তিব্বত এবং নিকটবৰ্ত্তী অন্সান্য দেশে ভ্ৰমণ করিয়াছিলেন। তিনি দীর্ঘাকৃতি নিৰ্ভীক পুরুষ ছিলেন । প্রবণসীতে কয়েকটি প্রবন্ধ লিথিয়ছিলেন । ১৩১২ সালে প্রয়াগে যে কুম্ভমেল হয়, সেঈ সময় তিনি প্রবাসী-সম্পাদকের কোটা প্রাচরি বাসায় থাকিতেন । দিবসের অধিকাংশ সময় নিজের কামরায় দরজা বন্ধ করিয়া থাকিতেন। নিজের গৈরিক বসন এবং একটি কি দুটি কম্বল র্তাহার একমাত্র সম্বল ছিল। তিনি সন্ন্যাসী বলিয়া সন্ন্যাসীদের ব্যবহৃত নানা কথা তাহার জানা ছিল । সন্ন্যাসী বলিয়াই তাহার সঙ্গে গেলে কুম্ভমেলার সমুদয় আখড়া আদি দেখিবার সুবিধা হইবে বলিয়া একদিন আমরা তাহার সঙ্গে মেলা দেখিতে গেলাম । নৌ-চালনায় তিনি দক্ষ ছিলেন। মাঝিকে বিশ্রাম দিয়৷ নিজেই একটা নৌকা চালাইয়া আমাদিগকে কোন কোন জায়গায় লইয়া গেলেন । সন্ন্যাসী হইলেও সাংসারিক বৃহৎ ব্যাপার সম্বন্ধে তিনি মনটাকে নিলিপ্ত করেন নাই । তাহার দেশভক্তি প্রবল ছিল যত সাধু সম্প্রদায়ের আখড়ায় তিনি আমাদিগকে লষ্টয় যাইতেছিলেন, সৰ্ব্বত্রই মোহস্ত বা অন্য প্রধান সাধুদিগকে জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন, তাহাদের গ্রন্থাদিতে এবং সাধুসস্তদিগের বাণীতে ভারতবর্য কখন স্বাধীন হইবে সে বিষয়ে কিছু উক্ত আছে কি না । প্রায় সকলেই উত্তর দেন, ওরূপ সাংসারিক বিষয় সম্বন্ধে তাহার। উদাসীন এবং কিছু জানেন না। কেবল গরীবদাসী সম্প্রদায়ের একজন প্রৌঢ় সাধু, সন্ন্যাসী যতীন্দ্রনাথ নিৰ্ব্বন্ধতিশয় প্রকাশ করায়, বলিলেন, “আমাদের একখানি গ্রন্থে [ বা একটি সন্তবাণীতে, ঠিক কিসে বলিয়াছিলেন, এখন মনে নাই ] আছে, ভারতবর্ষ আটাশ বৎসর পরে স্বাধীন হইবে।” সন ১৩১২ হইতে আটাশ বংসর ১৩৪০ সনে পূর্ণ হয়। ভবিষ্যদ্বাণীর সম্ভাব্যতা ও সত্যতায় র্যাহার বিশ্বাস করেন না, মনের মত ভবিষ্যদ্বাণীতে র্তাহাদেরও কতকটা গুপ্ত বিশ্বাস থাকিতে পারে। স্বতরাং বলা বাহুল্য, সাধুটির কথা শ্রোতাদের ভাল লাগিয়াছিল । নিরালম্ব স্বামীর আশ্রম তাহার জন্ম গ্রাম চন্নাতেই অবস্থিত ছিল । গত ১৯শে ভাদ্র তিনি দেহরক্ষ। করেন । শান্তিনিকেতনে জুজুৎস্থ শিক্ষা শান্তিনিকেতনে শ্ৰীযুক্ত এম্‌ তাকাগাকি জাপানী বায়াম গু কুস্তি জ্ব জুংস্ত্র শিক্ষা দিয়া থাকেন । জাপানে এই বায়াম শিক্ষা দিবার যত খুব বিখ্যাত শিক্ষক আছেন, তিনি তাকার মধ্যে একজন । শাস্তিনিকেতনে অনেক ছাত্র ও ছাত্রী এবং অন্য কোন কোন ব্যক্তি তাহার নিকট হইতে এই বিদ্যা শিক্ষা করেন । বালিক ও বালকদের মধ্যে অনেকে ইতিমধ্যেই জুজুৎসু শিক্ষায় অনেক দূর অগ্রসর হইয়াছে । গত সেপ্টেম্বর মাসে জাপানী শিক্ষকের ছাত্রছাত্রীরা এই বিদ্যা কিরূপ আয়ত্ত করিয়াছে তাহ দেখাইবার জন্য নানা প্রকার কৌশল প্রদর্শন করা হয়। জাপানী শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত তাকাগাকির দুই জন জাপানী বন্ধুও কুস্তিতে যোগদান করেন। তাহারাও এ বিষয়ে ওস্তাদ । যথানিয়মে জজুংমু আভাস করিলে স্বাস্থোর উন্নতি হয়, ও শরীর বলিষ্ট হয়, এবং আততায়ীর কোন কোন প্রকার আক্রমণ হইতে জুজুৎস্থ দ্বারা বেশ আত্মরক্ষ করা যায়। এই জন্য যাহারা জুজুৎস্থ জানে তাহদের সাহস ও মনের স্থৈৰ্য্য বুদ্ধি পায় । আমাদের দেশের পালোয়ান ও কুস্তিগীরর যে-প্রকার মল্লযুদ্ধ করে এবং যত প্রকার প্যাচ জানে ও ব্যবহার করে, তাহার সহিত জুজুৎস্থর নানা প্যাচের কিরূপ সাদৃশু ও প্রভেদ . আছে তাহ। কোন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চর্চা করিলে বলিতে