পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] : - ാ--ഫ്.---------J.-- লেখকগণের প্রতি অন্যান্য পুরাতন মাসিক পত্রিকার মত প্রবাসীর কাৰ্য্যালয়ে অনেক প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, প্রতিবাদ প্রভৃতি আসিয়া থাকে। র্যাহার এই সকল লেখা পাঠান, তাহার ভtহীর সঙ্গেই দয়া করিয়া লিথিয়া দিবেন, যে, রচনাটি মনোনীত বা প্রকাশিত না হইলে তাহ ফেরত চান কিনা ; যদি ফেরত চান তাহা হইলে রচনাটির সঙ্গেই যথেষ্ট ডাকটিকিট দিবেন, নতুবা অমনোনীত হইলে উহ। নষ্ট হইবে। কোন কোন লেখক লেথেন, লেখাটি অমনোনীত হইবার সংবাদ তাহাকে জানাইলে তিনি উহ ফেরত পাঠাইবার জন্য ডাকমাশুল পাঠাইবেন । সংবাদ দিবীর ব্যবস্থা আমাদের নাই । এইরূপ সত্যগ্রহে নারীদের স্থান বোম্বাই-লাটের একটি অভিযোগ এই, যে, সত্যাগ্ৰহ প্রচেষ্টার নানা কাজে মহিলাদিগকে পুরোভাগে স্থান দেওয়া হয় । মহাত্মা গান্ধী প্রথম প্রথম নারীদিগকে এই বিপংসঙ্কল অভিধানে যোগ দিতে দেন নাই । তাহার। নিজেই স্বাধীনতার আহবানে, দেশভক্তির প্রেরণায়, স্বেচ্ছায় এই প্রচেষ্টায় যোগ দিয়াছেন। পাশ্চাত্য অনেক লোকের ধারণ আছে, যে, নারীর সম্মান করিতে তাহারাই জানে। ইহা ভ্রান্ত ধারণা। ভারতবর্ষে যে সমাজে নারীর সন্মানিত স্থান আছে, তাহা আমরা ত জানিই, এক শতাব্দীরও পূৰ্ব্বে অভিজ্ঞ ইংরেজ রাজপুরুষেরা তাহা লক্ষ্য করিয়াছিলেন। ১৮১৩ খৃষ্টাব্দে পালেমেণ্টের সম্মুখে সাক্ষ্য দিবার সময় স্তার (তখন কর্ণেল ) টমাস মনরো বলিয়াছিলেন :–

  1. * if a good system of agriculture, unrivalled banufacturing skill, a capacity to produce whatever ban contribute to convenience or luxury: schools established in every village for teaching reading writing. and arithmetic : the general practice of hospitality and charity among each other ; and above all a treatment of the female sex, full of confidence, respect and delicacy, are among the ខ្ញា which denote a civilized people, then the ‘Hindus are not inferior to the nations of Europe;...”

বিবিধ প্রসঙ্গ—পুলিসের নামে দোষারোপ ミb-a অন্যান্য দেশের মত এদেশেও নারীদের অসন্মান কখন কখন হুইয়া থাকে ; কিন্তু যদি কোন কাজে পুরুষ ও নারী উভয়েই যোগ দেন, তখন নারীদিগকে সম্মানিত স্থান দেওয়াই সুনিয়ম। তদ্ভিন্ন যদি তাহাদিগকে, সামনে না রাখিয়৷ অন্যত্র রাখা হয়, তাহা হইলে কি ইংরেজ সরকার র্তাহাদিগকে শাস্তি দিতে বিরত থাকেন ? পিকেটিং প্রভৃতি মহাত্ম। গান্ধী বিশেষ করিয়া নারীদের জন্যই নির্দেশ করিয়া দিয়াছেন এই জন্য, যে, তাহা হইলে পিকেটাররা উপদ্রব ভয় প্রদর্শন মারপিট করিতেছে এই মিথ্য। অভিযোগের স্থ(?)যোগ পুলিস কম পাইবে ? ইংরেজরা কি বলিবে না বলিবে, অবশু আমরা তাহা মনে রাথিয়াই কাজ করি না । কিন্তু মহিলারা যদি সত্যাগ্রহে যোগ না দিতেন, তাহ হইলে ভারতবর্ষকে সেই কারণেও স্বরাজের অযোগ্য বলা হইত-বলা হইত, ভারতবর্ষ এরূপ অশিক্ষিতের ও অসভোর দেশ যে, মুষ্টিমেয় বাবুর লম্বকৰ্ম্ম করেন বটে, কিন্তু তাহাদের গুহের মধ্যে অন্ধকার । আমরা সকলেই খুব উন্নত, বলিতেছি না ; কিন্তু স্বাধীনতালাভের চেষ্টায় ভারতীয় মহিলারা যাহা করিয়াছেন, তাহা অনেক ভারতীয় পুরুষকেও বিস্মিত করিয়াছে। এখন কাহারও কোন সন্দেহই থাকিতে পারে না, যে, সুযোগ পাইলে ভারতীয় মহিলার জাতীয় ও সামাজিক জীবনের প্রত্যেক কাৰ্য্যক্ষেত্রে সেইরূপ উচ্চ স্থান লাভ করিবেন পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে যেরূপ উচ্চ স্থান তাহার। বহুযুগ ধরিয়া অধিকার করিয়া আছেন। ammw পুলিসের নামে দোষারোপ গবন্মেন্ট পুলিসের চোখ দিয়া দেখেন । বৰ্ত্তমানে পুলিস-রাজত্ব চলিতেছে! কলিকাতা হাইকোর্টের এক জন জজ র্তাহার একটি রায়ে এমন কথাও বলিয়াছেন, যে, পুলিসের প্রতি অবজ্ঞা বা বিদ্বেষ যাহাতে উৎপন্ন হয় এরূপ কিছু বলিলে গবষ্মেণ্টের প্রতিই অবজ্ঞা বা বিদ্বেষ উৎপন্ন করা হয়। সুতরাং পুলিসের প্রতি দোষারোপ করা বিপৎসস্কুল ব্যাপার। তাহা সত্ত্বেও