পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] গ্রহণ করিয়াছেন। তিনি বিখ্যাত সম্বাস্ত ধনী পারসী পরিবারের কন্যা। ইস্মাইল দেশাইয়ের মত অনেক লোককে ভূত্য রাখিবার সঙ্গতি তাহদের আছে। সীণ্ডিকেট ও ছাত্রপ্রহারের প্রতিকার আশুতোষ ইমারতে অনধিকার ও অকারণ প্রবেশ করিয়৷ কলিকাতা পুলিসের কতকগুলা লোক নিরপরাধ ছাত্রদিগকে যে প্রহার করিয়াছিল, সে সম্বন্ধে কলিকাভ বিশ্ববিদ্যালয়ের সীণ্ডিকেট তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছিলেন। তাহার পর র্তাহারা কি করিলেন ? বঙ্গের গবর্ণর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যন্সেলার। তাহার মানইজত রক্ষা এবং ছাত্রদিগকে রক্ষা করা র্তাহার কৰ্ত্তব্য। তিনি সহাহভূতির সহিত এই বিষয়টি বিবেচনা করিবেন বলিয়াছিলেন। তিনিই বা কি করিলেন ? আমাদের বিবেচনায়, সাণ্ডিকেট যখনই বুঝিলেন, যে, নির্দোব ছাত্রের প্রহৃত হইয়াছে, তখনই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিকার না হইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস বন্ধ থাকিবে এইরূপ প্রতিজ্ঞ তাহাদের করা উচিত ছিল, এবং প্রতিকার এখনও না হওয়ায় সব ক্লাস বন্ধ করিয়া দেওয়া উচিত ছিল। সমুদয় ছাত্রদেরও দলবদ্ধ হইয়া ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করা উচিত ছিল । মান ও প্রাণ হাতে লইয়। ক্লাসে না গেলেও মানুষ বাচিয়া থাকে, যেমন রাস্তার দিনমজুরের বাচিয়া আছে। বার-বার বেশী মুদে ঋণগ্রহণ ভারত-গবন্মেণ্ট বার-বার বেশী কুদে ইংলণ্ডে খণ এবণ কুরিতেছেন। ঋণগ্রহণের একট। কারণ, রাজস্ব যত আদায় হইতেছে, তাহাতে সরকারের চলতি খরচও চলিতেছে না ; তাহার উপর পুরাতন কোন কোন ঋণ শোধের সময় আসায় নূতন ঋণ করিয়া তাহা শোধ করিতে হইতেছে। ইংলণ্ডে ঋণগ্রহণের কারণ একাধিক। একটা কারণ এই হইতে পারে, যে, গবন্মেটি এদেশে যথেষ্ট টাকা ধার পাইবেন কি বিবিধ প্রসঙ্গ—বার-বার বেশী স্থদে ঋণগ্রহণ কিনা সে বিষয়ে রাজপুরুষদের সন্দেহ আছে। উহার সভ্য জগৎকে জানাইতেছেন বটে, যে, ভারতবর্গের অধিকাংশ লোক গবন্মেণ্ট-ভক্ত আছে, বিশেষতঃ সম্পত্তিশালী লোকেরা । কিন্তু সম্পত্তিশালী লোকদের যদি গবন্মেন্টের উপর বিশ্বাস ও তাহার প্রতি অনুরাগ থাকে, তাহ হইলে তাহার। গবন্মেণ্টকে টাকা ধার দিবে না কেন ? ভারতের অধিকাংশ লোক খুব গরীব হইলেও, ৪০৫০ কোটি টাকা ধার দিবার মত ধনী-সমষ্টি এদেশে আছে। তাহারা যদি যথেষ্ট ধার না দেয়, তাহা হইলে গবন্মেন্টের বাজার-সন্ত্রম ও রাজনৈতিক প্রতিপত্তি নষ্ট হইবে, হয়ত এই ভয়ে এদেশে ধার লইবার চেষ্টা হয় নাই। বিলাতে টাকা ধার করিবার আর এক অতুমিত কারণ, ইংরেজ-সরকারের স্বদেশবাসীরা যাহাতে স্বদের টাকাটা পায় । সেখানে ভারতবর্ষের চেয়ে বেশী ধর্মী লোক ও ধন আছে, সুতরাং তথা হইতে ধার পাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। বেশী স্বদ দিবার কারণ, যাহাতে নিশ্চয়ই ধার পাওয়া যায় । কেননা, ধার না পাওয়া গেলে অসুবিধা ত ছিলই, অধিক স্তু গবন্মেন্টের রাজনৈতিক প্রতিপত্তি এবং বাজার-সন্ত্রমও নষ্ট হইত। স্বদ যে অতিরিক্ত দেওয়া হইয়াছে, তাহার প্রমাণ, ঋণের কাগজের মূল্য প্রকৃত মুল্য অপেক্ষা বেশী হইয়া গিয়াছে। ঋণ হণ করা উচিত কিংবা অঙ্কুচিত, আবশুক কিংবা অনাবশ্বক, ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনার জন্য ঋণগ্রহণের প্রস্তাব ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সম্মুখে স্থাপিত করা হয় নাই। অথচ এই সব ঋণের জন্য ভারতীয়দিগকেই দায়ী করা হইবে। আমাদিগকে জিজ্ঞাসা না করিয়া তোমাদের ইচ্ছা ও সুবিধা মত তোমরা নিজের দেশে ধার করিবে, এবং তাঁহা স্বদে আসলে শোধ করিতে বাধ্য থাকিব আমরা-ইহা অতি স্ববন্দোবস্ত । কংগ্রেস যে বলিয়াছেন, গবন্মেন্টের কোন ঋণ ন্যায্য ও আমাদের পরিশোধ্য, তাহা কোনও নিরপেক্ষ স্বাধীন পক্ষ দ্বারা নিৰ্দ্ধারিত হওয়া উচিত, তাহ অত্যন্ত অযৌক্তি ক কথা !