পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و نهرين and order নিয়ে না ভরে পেট না ভরে মন । অথচ তার দাম দিতে গিয়ে সর্বস্ব বিকিয়ে গেল । আধুনিক ভারতবর্ষের আবহাওয়ায় আমি মানুষ, তাই এতকাল আমার মনে দৃঢ় ধারণা ছিল, প্রায় তেত্রিশ কোটি মুখকে বিদ্যাদান করা অসম্ভব বললেই হয়, এজন্য আমাদের মন্দ ভাগ্য ছাড়া আর কাউকে বুঝি দোষ দেওয়া চলে না। যখন শুনেছিলুম এখানে চাষী ও কৰ্ম্মীদের মধ্যে শিক্ষা তুহু করে এগিয়ে চলেছে আমি ভেবেছিলুম সে শিক্ষা বুঝি সামান্য একটুখানি পড়া ও লেখা ও অন্ধকষ—কেবলমাত্র মাথা গুনতিতেই তার গৌরব । সেও কম কথা নয় । আমাদের দেশে তাই হলেই রাজাকে আশীৰ্ব্বাদ করে বাড়ি চলে যে তুম । কিন্তু এখানে দেখলুম, বেশ পাকারকমের শিক্ষা, মানুষ করে তোলবার উপযুক্ত, নোট মুখস্থ করে এম-এ পাশ করবার মতন নয় । কিন্তু এসব কথা আর একটু বিস্তারিত করে পরে লিখব, আজ আর সময় নেই। আজই সন্ধ্যাবেলায় বালিন অভিমুখে যাত্রা করব। তার পরে ৩রা অক্টোবর আটলাণ্টিক পাড়ি দেব—কতদিনের মেয়াদ আজও নিশ্চিত করে বলতে পাচ্চিনে । কিন্তু শরীর মন কিছুতে সায় দিচ্চে না—তবু এবারকার সুযোগ ছাড়তে সাহস হয় না - যদি কিছু কুড়িয়ে আনতে পারি তা হলেই বাকি যে কয়টা দিন বাচি বিশ্রাম করতে পারব । নইলে দিনে দিনে মূলধন খুইয়ে দিয়ে অবশেষে বাতি নিবিয়ে দিয়ে বিদায় নেওয়া সেও মন্দ প্ল্যান নয়— সামান্ত কিছু উচ্ছিষ্ট ছড়িয়ে রেখে গেলে জিনিষটা নোংরা হয়ে উঠবে। সম্বল যতই কমে আসতে থাকে মানুষের আস্তরিক দুৰ্ব্বলত। ততই ধরা পড়ে—ততই শৈথিল্য ঝগড়াঝাটি পরস্পরের বিরুদ্ধে কানাকানি । ঔদার্য্য, ভর’-উদরের উপরে অনেকটা নির্ভর করে । কিন্তু যেখানেই যথার্থ সিদ্ধির একটি চেহারা দেখতে পাই সেখানেই দেখা যায় সেটা কেবলমাত্র টাকা দিয়ে হাটে কেনবার নয়-দারিদ্র্যের জমিতেই সে সোনার ফসল ফলায় । এখানকার শিক্ষ:ংiবস্থায় যে অক্লাস্ত উদ্যম, সাহস, বুদ্ধিশক্তি, যে আত্মোৎসর্গ দেখলুম তার অতি অল্প প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড JSJAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA ASASASA AJAAAS পরিমাণ থাকলেও কৃতাৰ্থ হতুম। আন্তরিক শক্তি ও অকৃত্রিম উৎসাহ যত কম থাকে টাকা খুজতে হয় ততই বেশী করে। একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। এখানে আমার ছবির আদর অন্য জায়গার চেয়ে বেশি বই কম হয়নি। এদের গ্যালারির জন্যে চারখানা ছবি কিনবে বলে এরা যথেষ্ট চেষ্টা कब्रप्लू-किरू এদের অর্থাভাব প্রায় আমাদের বিশ্বভারতীরই মতো—তবু কোনো রকম করে জোগাড় করবার জন্তে উঠে পড়ে লেগেছে। ইতি ২৫শে সেপ্টেম্বর ১৯৩০ | [ শ্ৰীযুক্ত প্রশাস্তচন্দ্র মহলানবীসকে লিখিত ] 衔 কল্যাণীয়েষ্ণু— বালন প্রশাস্ত, মস্কে থেকে তোমাকে একটা বড়ে চিঠিতে রাশিয়া সম্বন্ধে আমার ধারণা লিখেছিলুম। সে চিঠি যদি পাও তো রাশিয়া সম্বন্ধে কিছু খবর পাবে। এখানে চাষীদের সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য কতটা কাজ করা হচ্চে তারই বিবরণ রাণীকে কিছু দিয়েচি। আমাদের দেশে যে শ্রেণীর লোক মুক, মূঢ়, জীবনের সকল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হ’য়ে যাদের মন অস্তর বাহিরের দৈন্তের তলায় চাপা পড়ে গেছে এখানে সেই শ্রেণীর লোকের সঙ্গে যখন আমার পরিচয় হ’ল তখন বুঝতে পারলুম সমাজের অনাদরে মানুষের চিত্ত-সম্পদ কত প্রভূত পরিমাণে অবলুপ্ত হয়ে থাকে— কি অসীম তার অপব্যয়, কি নিষ্ঠুর তার অবিচার। মস্কেীতে একটি কৃষিভবন দেখতে গিয়েছিলুম। এট। ওদের ক্লাবের মতো। রাশিয়ার সমস্ত ছোটে বড়ে সহরে এবং গ্রামে এরকম আবাস ছড়ানে। আছে । এসব জায়গায় কৃষিবিদ্যা সমাজতত্ত্ব প্রভৃতি সম্বন্ধে উপদেশ দেবার ব্যবস্থা আছে ; যার নিরক্ষর তাদের পড়াশুনা শেখানোর উপায় করেছে, এখানে বিশেষ বিশেষ ক্লাসে বৈজ্ঞানিক রীতিতে চাষ করার ব্যবস্থা কুষাণদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এই রকম প্রত্যেক বাড়িতে প্রাকৃতিক সামাজিক সকল প্রকার