পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] রাশিয়ায় সকল মানুষের উন্নতির চেষ্টা లిe . শিক্ষণীয় বিষয়ের স্বনিয়ম, তা ছাড়া চাষীদের সকল প্রকার প্রয়োজনের উপযোগী পরামর্শ দেবার সুযোগ ক’রে দেওয়া হয়েচে । চাষীরা কোনো উপলক্ষ্যে গ্রাম থেকে যখন শহরে আসে তখন খুব কম খরচে অন্তত তিন-সপ্তাহ এই রকম বাড়িতে থাকতে পারে । এই বহুব্যাপক প্রতিষ্ঠানের দ্বারা সোভিয়েট গভর্ণমেণ্ট এককালের নিরক্ষর চাষীদের চিত্তকে উদ্বোধিত ক’রে সমাজব্যাপী নবজীবন প্রতিষ্ঠার প্রশস্ততম ভিত্তি স্থাপন করেচে। বাড়িতে ঢুকে দেখি খাবার ঘরে কেউ কেউ বসে খাচ্চে, পড়বার ঘরে একদল খবরের কাগজ পড়তে প্রবৃত্ত। উপরে একটা বড়ো ঘরে আমি এসে বসলুম —সেখানে সবাই এসে জমা হ’ল । তার নানাস্থানের লোক, কেউ বা অনেক দূর প্রদেশ থেকে এসেচে । বেশ সহজ ওদের ভাবগতিক ; কোনো রকম সঙ্কোচ মেই । প্রথম অভ্যর্থন ও পরিচয় উপলক্ষ্যে বাড়ির পরিদর্শক কিছু বললে, আমিও কিছু বললুম। তারপরে ৪রা আমাকে প্রশ্ন করতে আরম্ভ করলে । প্রথমেই ওদের মধ্যে আমাকে একজন জিজ্ঞাসা করলে, ভারতবর্ষে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ঝগড়া হয় কেন ? উত্তর দিলুম, “যখন আমার বয়স অল্প ছিল কখনো এরকম বৰ্ব্বরতা দেখিনি । তখন গ্রামে এবং শহরে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্যের অভাব ছিল না । পরম্পরের ক্রিয়াকাণ্ডে পরস্পরের যোগ ছিল, জীবনযাত্রায় সুখে দুঃখে তারা ছিল এক । এসব কুৎসিত কাণ্ড দেখতে পাচ্চি যখন থেকে আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় আন্দোলন স্বরু হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশীদের মধ্যে এই রকম অমানুষিক দুৰ্ব্ব্যবহারের আশু কারণ যাই হোক, এর মূল কারণ হচ্চে আমাদের জনসাধারণের মধ্যে অশিক্ষা । কিন্তু যে-পরিমাণ শিক্ষার দ্বারা এই রকম দুৰ্ব্বদ্ধি দূর হয় আমাদের দেশে বিস্তৃতভাবে তার প্রচলন করা আজ পর্য্যম্ভ হয়নি । যা তোমাদের দেশে দেখলুম তাতে আমি বিস্মিত হয়েছি।” سمیہبہ سیہہ، প্রশ্ন। তুমি তো লেখক, তোমাদের চাষীদের কথা কি কিছু লিথেচ ? ভবিষ্যতে তাদের কি গতি হবে ? উত্তর। শুধু লেখা কেন তাদের জন্য আমি কাজ ফেঁদেচি । আমার একলার সাধ্যে যতটুকু সম্ভব তাদের শিক্ষার কাজ চালাই, পল্লীর উন্নতিসাধনে তাদের সাহায্য করি । কিন্তু তোমাদের এখানে যে প্রকাণ্ড শিক্ষাব্যাপার যে আশ্চৰ্য্য অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি হয়েচে তার তুলনায় আমার এ উদ্যোগ অতি যৎসামান্য । প্রশ্ন । আমাদের দেশে কৃষিক্ষেত্রের একত্রীকরণের যে চেষ্টা চলচে সে সম্বন্ধে তোমার মত কি ? উত্তর । মত দেবার মতো আমার অভিজ্ঞতা হয়নি, তোমাদেরই কাছ থেকে শুনতে চাই । আমার জানবার কথা এই যে, এতে তোমাদের ইচ্ছার উপর জবরদস্তি করা হচ্চে কি না ? প্রশ্ন। ভারতবর্ষে সবাই কি এই ঐকত্রিকতা এবং সাধারণভাবে এখানকার অন্য সমস্ত উদ্যোগের কথা কিছু জানে না ? উত্তর । জানবার মতো শিক্ষা অতি অল্প লোকেরই আছে । তা ছাড়া তোমাদের খবর নানা কারণে চাপ পড়ে যায় । এবং যা কিছু শোনা যায় তাও সব বিশ্বাস যোগ নয় । «r প্রশ্ন। আমাদের দেশে এই যে চাষীদের জন্যে আবাস ব্যবস্থ হয়েচে, এর অস্তিত্বও কি তুমি আগে জানতে না ? উত্তর । তোমাদের কল্যাণের জন্য কি করা হচ্চে মস্কে এসে তা প্রথম দেখলুম এবং জানলুম। যাই হোকৃ, এবার আমার প্রশ্নের উত্তর তোমরা দাও । চাষী প্রজার পক্ষে এই ঐকত্রিকতার ফলাফল সম্বন্ধে তোমাদের মত কি, তোমাদের ইচ্ছা কি ? একজন যুবক চাষী, যুক্রেন প্রদেশ থেকে এসেচে, সে বললে,“ছু বছর হ’ল একটি ঐকত্রিক কৃষিক্ষেত্র স্থাপিত হয়েছে আমি তাতে কাজ করি। এই ক্ষেত্রের মধ্যে ফল ফসলের বাগান আছে তার থেকে আমরা সবজির জোগান দিই সব কারখানা ঘরে । সেখানে সেগুলো টিনের কোঁটায় মোড়াই হয়। এছাড়া বড়ো বড়ে