পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

HA8 প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড -ാ.ബ്-്~~് क्लश्यांहरु उनिग्न शाश्छांश अऊारु अगड़हे श्लन । শাহজাদা সম্রাটের ক্রোধশান্তির জন্য মহম্মদ সুলতানকে দরবারে পাঠাইয়া দিলেন। বালকের মাথায় বুরহানপুরের জরোয় রঙীন লাল পাগড়ী দেথিয় শাহজাই পৌত্রকে ঠাট্টা করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ পাগড়ী কি জায়েজ ? শরিয়তে কি ইহার বিধি আছে ?” বাদশার দেখাদেথি দরবারী আমীর ও আলেম সম্প্রদায় শরিয়ত ভুলিয়। মুচকি হ’লিলেন এবং সাহেবজাদাকে লক্ষ্য করিয়া অনুচ্চস্বরে কিছু বলাবলি করিলেন। বালক পিতামহের প্রশ্ন ও দরবারীদের ঠাট্রার মৰ্ম্ম বুঝিতে ন পারিয়া ব্যাপারটি সংক্ষেপে পিতার কাছে লিখিয়াছিলেন । কিন্তু অন্য লোকের মারফৎ আওরংজেব সব কথা জানিতে পারিয়া পুত্রের কাছে লিখিলেন, “তোমার লাল পাগড়ীর বিষয়ে বাদশাহ তাহার আলেমদিগকে কি বলিলেন এবং তাহার মুখ দিয়া কি কি কথা বাহির হইয়াছিল, এ সমস্ত কথা বিস্তারিতভাবে আমাকে জানানো উচিত ছিল । এ কথা প্রকাশ হইয়াছে যে, মৌলানারা বলিয়াছেন, ‘এই এক বৎসর মাত্র ঐ রকমের পাগড়ী বুরহানপুরে শরিয়ং অমুসারী বলিয়া চলিয়া আসিতেছে। এই রেয়াজটাও এক বৎসর পূৰ্ব্বে ঐ দেশে পৌছিয়াছে; এ ব্যাপারের পর এই পাগড়ী সম্ভবডঃ শরিয়ৎ-বিরুদ্ধ বলিয়া বিবেচিত হইবে!’ আশ্চর্য্যের বিষয়, তুমি এ ঘটনার প্রকৃত অর্থ সম্যক না বুঝিয়া ইহাকে সামান্য কথা মনে করিয়াছ। যে সময় বাদশাহ মৌলানাদিগকে লাল পাগড়ী জাম্বেজ কি-না জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, তুমি তোমার ঠাকুরদাদাকে বলিতে পারিতে, "হুঁ, ইহা জায়েজ ; ইহার বিধি আমি আপনাকে দেখাইব ।” শেখ নিজাম তোমার সঙ্গে এইরূপ কাজের জন্যই গ্রেরিত হইয়াছেন। যদি এখনও সময় থাকে তাহাকে বুলিও মেন ক্ষেতাৰ হইতে প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়া এ রকম পাগড়ীর ব্যবহার যে শরিয়ৎ-বিরুদ্ধ নয়, এ কথা যেন ৰাদশাহকে নিবেদন করেন । আওরংজেবের হস্তাক্ষর শাহজাদারা সম্রাটের কাছে যে-সব চিঠিপত্র লিখিতেন সেগুলি তাহাদের নিজ হাতেই লিখিবার রীতি ছিল । একখানি চিঠিতে আওরংজেবের হস্তাক্ষর একটু খারাপ ও ভিন্ন রকমের লক্ষ্য করিয়া শাহজাহার সন্দেহ হইল, চিঠিখানি বোধ হয় শাহজাদা তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র মহম্মদ স্থলভানকে দিয়া লেখাইয়াছেন। আওরংজেব ইহার জবাবে লিখিলেন, “ইহার পূৰ্ব্বে যে নিবেদন-পত্র আপনার কাছে পৌছিয়াছে উহা আমি নিজ হাতেই লিখিয়াছিলাম। ঐ সময়ে আমার ডানহাতের বুড়ে আঙুলে ব্যথা থাকায় হস্তাক্ষর ভাল হয় নাই। যদিও আপনার পৌত্র মহম্মদ সুলতান বয়সের অনুপাতে খারাপ লেখে না, তবুও তাহার কিংবা অন্য কাহারও দ্বারা আপনার কাছে চিঠি লেখানে কি সম্ভবপর হইতে পারে ?” আর একবার শাহজাহ। আওরংজেবের চিঠিখান আগাগোড়া পড়িয়া স্থির করিলেন, চিঠির সবটা শাহজাদার হাতের লেখা বটে, কিন্তু তারিখটি বোধ হয় অন্য হাতের লেখা। মহম্মদ সুলতান এই সময় বাদশাহের কাছে ছিলেন । র্তাহাকে জিজ্ঞাসা করায় তিনিও বলিলেন, তারিথটি অন্ত হাতের লেখা হইতেও পারে । ছেলেমামুষের কোনো দোষ ছিল না, কেননা দিল্লীশ্বর যদি বলিতেন-যমুনার জল বর্ষায় উজান বহিতেছে, পৌত্র হউক আর গোলামই হউক কাহারও বলিবার সাধ্য ছিল না যে, ভাট যাইতেছে। চিঠির তারিখ অন্য হাতের লেখা কি না, ইহার জবাবে আওরংঞ্জেব লিখিতেছেন, “আমার হাতের লেখা আপনি বেশ চিনিতে পারেন এবং ইহাও জানেন যে দরবারে যত নিবেদন-পত্র পৌছিয়াছে, উহার কোনটিতেই অন্যের কলমের দাগ নাই।...এই চিঠির তিন ফর্দ আমি নিজের হাতে লিখিতে পারিলাম, শুধু এই দুইটি শস্ব অন্ত হাতের লেখা কেন হইবে ।" আওরংজেব দুগ্ধ পান করিয়া বিষোদগার করিয়া ছিলেন কি না পাঠক বিচার করিবেন।