পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*O3 o SAASAASAASAASAAASJAMMMMMMS ۔ مہ۔ انہ۔s.بسم .r..م দুঃখ । এ জ্যোংস্কার গান কি কালবোশেৰ্থীর দিনে মানাবে, বিকুদা।” বিনয় বেদনা-করুণ মুখে পরিমলের অস্ফুট শীর্ণ মুখের পানে চাহিয়া রহিল। নিজের কবিতার কত বড় যে একটা দাম দিয়া তাহারই প্রকাশ হওয়ার আশায় সে বসিয়া রহিয়াছে তাহ ভাবিয়া তখন আর বিনয়ের একটু হাসিও পাইল না। মনের ভিতর কোথায় যেন বেদনা বাজিতেছে । পরিমল কহিল, ‘তুমি বলছিলে কেন আমি ছাপাতে গেলাম, তাই না ? তবে তোমাকে আমার মনের গোপন অভিলাষটুকু বলি, বিমুদ৷ ” —‘বলে ।” পরিমল একটু চুপ করিয়া কি ভাবিল। তারপর কহিল, "ঐ কাগজটা ষে বনজ্যোৎস্ব পড়ে ।” –*NS: ” —“তইতেই তো শুধু ওতেই আমার লিখতে যাওয়া। ভাব চি আমার কবিতা লেখা কাগজখানি যখন ওর হাতে পড়বে, বিমুদ, তখন জ্যোৎস্ন' উঠেছে, হাওয়া জেগেছে। জানলার ধারে বসে বসে সে পড়ছে আমার কবিতাটি, দুপাশ দিয়ে চুল এসে বইয়ের পাতার উপর লুটিয়ে পড়ে, সোনার চুড়িটি লাগে ছাপার আখরের উপর তেত্বছা করে। মুখখানা তার আনন্দের আভায় উজ্জল, চক্ষু জলে ভর-ভর, মনের ভেতরটা রুম্ ঝুম্ করে বাজছে ? পরিমল এক মিনিট চুপ করিয়া যেন দম্ সংগ্ৰহ করিয়া লইল । বিনয় একেবারে চিন্তিত উৎকর্ণ হইয়া চেয়ারে ভাল করিয়া উঠিয়া বসিয়াছে। কবি ষে সত্যিকারেরই কবি হইয়া উঠিল । স্থর করিয়াই যেন কথাগুলি স্বলিতেছে । পরিমল গল। পৰ্য্যস্ত রাগটা টানিয়া লইয়া কহিল, *আমার কবিতা তবেই সার্থক হয়, বিকুদা । ছন্দ দিয়ে, রঙ দিয়ে আমার সমস্ত ভাললাগা দিয়ে সে কল্পনার রাজ্যটি আমি সৃষ্টি করেছি, স্বর করে পড়তে পড়তে বনজ্যোৎস্নার কল্পনা যদি আমার গড়া কল্পনাকে এক নিমিষের জগু ছুয়ে যায় তবেই আমি ধন্ত হয়ে যাব ' '

  1. * *

[ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড -്.--ാക്കു. -l.അസ് বিনয় কিছুই বলিবার পাইল না। এমনিতর কথা যে কাব্যের পুথিতে ছাড়া আর কোথায়ও আত্মপ্রকাশ করিতে পারে তাহা তাহার কল্পনায়ও ছিল না । কিন্তু এই মধ্যযাম নিশায় জ্যোৎস্নারূপান্তরিত ঘরে একটি শীর্ণ রুগ্ন কিশোর যথন হয়ত জরেরই ঘোরে এই সব কথা তাহাকে বলিয় গেল তখন তাহার মনের ভিতরটা বেদনায় টনটন করিয়া উঠিল । এতক্ষণ পরে পরিমলের কবিতাটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার করুণ দিকটা মৰ্ম্মণস্তিক হইয় প্রকাশ পাইল । কতখানি আশা যে পরিমলের ব্যর্থ হইয়া গেল তাহা ভাবিতে বিনয়ের কষ্ট হইতেছিল। কবি হয়ত সারারাত ধরিয়া এমনই করিয়া প্রলাপের পর প্রলাপ বকিয়া যাইত ; কিন্তু আর একটি ছেলে বিনয়কে রিলিভ, করিতে আসিলে কথাটা সেইখানেই থামিয়া গেল । অবসল্পের মত পরিমল তখন পাশ ফিরিয়া শুইল ; শুধু একটি দীর্ঘশ্বাস আসিয়া বিনয়কে এই খবরটি জানাইয়া গেল যে, পরিমলের অনেক কথাই না বলা রহিয়া গেল । বিষঃ মনে ধীরে ধীরে বিনয় উঠিয়া চলিয়া আসিল । যে কবিতাটি তাহার চোখেও পড়ে নাই তাহার অনুপ্রাসগুলি মনের ভিতর ঝঙ্কত হইয়া উঠিতেছে, কেমন একট করুণ-ছন্দে মনটা ব্যথিয়; উঠিল । কবিতাটি যখন পরিমলের সমস্ত অনুভূতি দিয়া রচিত, তখন এ কবিতার অমর্য্যাদা সে করিবে কি করিয় ! পরিমলের কৈশোর-স্বপ্নের রঙের আভায় তাহা যে উষার আকাশের মত রাণ্ডিয়া আছে । হয়ত উচ্ছ্বাসের স্রোতে ছন্দ উচ্চস্থল, ভাষা হয়ত স্বরের মোহে উদাম, কল্পনা হয়ত অসংযত, কিন্তু সকল ত্রুটি সত্ত্বেও পরিমলের ঐ প্রত্যাখ্যাত রচনাটিকে সে কবিতা বলিয়া একান্তভাবে মানিয়া লইল । ঘরে গিয়া বিনয় দেখিল, অসমাপ্ত বইট টেবিলের উপর পড়িয়া আছে। কিন্তু তথন মন আর ইহাতে নাই। পরদিন বিনয় চঞ্চলকে ডাকিয়া কহিল, ‘পরিমলের সেই কবিতাটি কইরে ? —‘পড়বেন ? -श। ' f: