পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*28b প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ [ ७०° छ", २न्न थe দাঙ্কাইয়াছিল ষে, যুদ্ধ-ব্যবসাটাও জাতিগত হইয়া গিয়াছিল। : ব্যবসা বংশগত হইলে অন্যত্র যেমন হয়, এখানেও ড়েমলি হইয়াছিল। পুরুষ-পরম্পরায় যোদ্ধারা অতিশয় যুদ্ধনিপুণ ও একান্ত নির্ভীক হইয়াছিল; কিন্তু যোদ্ধার জাতিতেই এই সকল গুণ আবদ্ধ হইয়া রহিয়াছিল। দেশের জন্য যুদ্ধ করা যে দেশবাসী সকলেরই কৰ্ত্তব্য, এই জাতীয় ভাব দেশের মধ্যে সঞ্চারিত হইতে পারে নাই। যোদ্ধার জাতিও আবার যুদ্ধে বত নিপুণ হইত, মস্তিম্ব-পরিচালনায় ততটা হইত না। ফলে যুদ্ধে সেনাপতিত্ব গুণের অভাব প্রায়ই পরিলক্ষিত হইত এবং বৈদেশিক আক্রমণকালে যোদ্ধার জাতি যুদ্ধে মারা গেলে বা পরাজিত হইলে শক্রকে বাধা দিতে পারে, দেশে এমন আর কেহ থাকিত না। বাধামুক্ত বন্যার মত তখন শত্রু আসিয়া দেশ ছাইয়া ফেলিত, শাস্ত্রগতপ্রাণ ব্রাহ্মণ অথবা বাণিজ্যগত প্রাণ বৈশ্বের এমন সাধ্য থাকিত ন৷ যে একবারও তাহাদের বিরুদ্ধে দাড়ায়। পৃথিবীতে কিছুই চিরস্থায়ী নহে। প্রবলতম সাম্রাজ্য সমূহেরও পতন হইয়াছে, বর্তমানে যে-সাম্রাজ্যের লোহার গাখুনি দেখিয়া মনে হয় উহা কিছুতেই ভাঙিতে পারে না, তাহাতেও কালক্রমে মহাকালের হস্তচিহ্ন সুস্পষ্ট হইয়া উঠে। তথাপি দেখা যায়, কোনো কোনো প্রাচীন সভ্যতা ও জাতি আজিও টিকিয়া আছে। চীন সভ্যতাও চীন জাতির কথা এই প্রসঙ্গে স্বতঃই মনে হয়। এই অতিবৃদ্ধ জাতির অঙ্গে আবার যেন যৌবনের জোয়ার আসিয়াছে। জাতি হিসাবে ভারতীয়গণও বৃদ্ধ হইয়াছে। বিরুদ্ধ মুসলমান সভ্যতার সংঘাতেও উহা কিছু কিছু নূতন জীবনের পরিচয় দিয়াছিল। পাশ্চাত্য সভ্যতার ংঘাতে উহ নানা দিকেই নবযৌবনচাঞ্চল্য প্রকাশিত করিতেছে। ইতিহাসের শিক্ষা ভারতীয়গণ যদি ভুলিয়া না যায়, তবে ভারতে নবীন জীবন ফিরিয়া আসিবেই আসিবে, ভারতের প্রাকৃতিক অবস্থা উহার প্রতিবন্ধক হইতে পরিবে না । সমাধান শ্রীসীতা দেবী .মিত্রদের সংসারটা ছিল সমস্তায় ভরপুর। কোনো ব্যাপারই সেখানে সোজাসুজিরূপে দেখা দিত না । খন্ধান্ত পরিবারে স্বাহা গতানুগতিকভাবে চলিয়া যাইত, মিত্ৰ-পরিবারে তাহাই হইয়া দাড়াইত গভীর সমস্ত। বাঙালীর ঘরে ছেলেমেয়ে জন্মাইলেই তাহাদের বিবাহ হয়। স্বতরাং রাধামোহন মিত্রের পুত্র কালীমোহনও যে সময় হইলেই বিবাহ করিবে এ বিষয়ে তাহার পিতামাতার সন্দেহ ছিল না। কিন্তু বিধাহের ৰাগ হইৰামাত্র মগ্ন গোলমাল বাধিয়ামিল। ছেলে প্রথমতঃ বলিল, সে বিবাহ করিবে না, বিলাত ধাইয়া ভাল ক্ষরিয় পড়াশুনা করিবে । *, -- রাধামোহন চটিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহাজের চতুৰ্দশ পুরুষ যখন বিলাত না নাইয়া विद्मश्. कब्रिुङ পারিয়াছেন, তখন কালীমোহন এমন কি ক্ষণজন্ম যে এই সামান্ত কাজটা করিতে পরিবে মা ? কালীমোহন বলিল, “সামান্য একটা বি-এ পাসের কি মূল্য ? পরিবার প্রতিপালন করবার মত উপার্জন কিসের গুণে করব ?” কথা হইতেছিল বাপের সঙ্গে নয়, মায়ের সঙ্গে । মা দুই চোখ কপালে তুলিয়া বলিলেন, “শোন ছেলের কথা। কৰ্ত্তারা কে কবে বিলেত গিয়েছেন ? তা ব’লে আমাদের সংসার কি চলেনি ? তুই ত এক ছেলে, ভুরুনি ত ছুদিন বাদে শ্বশুরঘর করতে যাবে, তখন সবই হবে তোর । এতে আর তোর সংসার চুন্নবে না?” কালীমোহন বলিল, “চোদ্বপুরুষ স্বা করেছেন, ৰি