পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা] সমাধান , ৩৪৯ তাই করতে হবে ? তার বেশীও কিছু করবার জে৷ নেই, কমও না ? তোমাদের সংসার যেমন করে চলেছে, আমার বদি তার চেয়ে ভাল ক'রে চালাবার ইচ্ছে থাকে ঐ দেশে ত মেয়ের মড়ক উপস্থিত হয়নি যে, চারটে বছর লবুর করলেই আর বিয়ে হবে না ?” মা ছেলের নবাবী মেজাজ, সাহেবী পছন্দ ইত্যাদিকে প্রচুর পরিমাণে গাল পাড়িয়া, তখনকার মত তাহাকে বিদায় করিয়া দিলেন । কিন্তু সমস্যাট থাকিয়াই গেল । মায়ের শরীর দিন দিন ভাঙিয়া পড়িতেছে, কন্যা ভূবন এখন অনেক সাহায্য করে বটে, কিন্তু তাহার ত বিবাহের বয়স ছাড়াইয়। যাইতেছে, তার ক'দিন তাহাকে ঘরে রাখা যাইবে ? তাহার পর একলা হাতে ংসার চালাইবেন কি করিয়া ? ছেলে এই যুক্তির উত্তরে বলিল, “একট। ঝি রাথ।” মা বলিলেন, “ঝি-চাকর রাখার রেওয়াজ আমাদের নেই বাছা । ঘরের কাজ চিরকাল আমাদের মেয়ে ীেয়েই করেছে। মোটা ভাত, মোট কাপড়, গতর থাটিয়ে খাওয়া, এই আমাদের নিয়ম । চাকর-ঝির মাইনে গুনতে আমরা পারি না ।” কালীমোহন বলিল, “ঝির মাইনে দেবার ক্ষমতা নেই ত বউ পুষবে কি ক’রে ?” - ཡཱ། বলিলেন, “তোর মত বেহায়া সাতজন্মে দেখিনি। একটু লাজসরম নেই, নিজের বিয়ের কথা নিয়ে সারাক্ষণ কোমর বেঁধে ঝগড়া করছে। তুই বউ নিয়েই আয়, তারপর পুষতে পারি কি না দেখা যাবে।” কালীমোহন চুপ করিয়া রহিল । মা একটু ভরস পাইয়া বলিলেন, “বোসদের সেজ-কৰ্ত্তার মেয়ে লক্ষ্মীর বিয়ের বয়স হয়েছে । মেয়ে নামেও লক্ষ্মী, কাজেও লক্ষ্মী । এমন সুন্দরী, ঠিক যেন পটের ছবিটি । তা ব’লে স্বধৰ্মা যে কিছু তা নয়, মাত্র বারে বছর বয়স, এরই মধ্যে রান্নাবার সব কেমন চমৎকার শিখেছে। বললে তার এখ খুনি দেয় ।” কালীমোহন রূপসী কষ্ঠিী বধু সম্বন্ধে কোনও উৎসাহ না দেখাইয়া চলিয়া গেল। দিনরাত একই কথার আলোচনায় তাহার হাড়-জালাতল ধরিয়। 3..ேடல் গিয়াস্থিল। মাকে গুৰু বস্তৃতা করিয়া কোনো মতে দমাইয় দেওয়া ষায়, বাপের কাছে চুপ করিয়া থাক ছাড়া উপায় ছিল না। হাজার সাহেবী মেজাজের হইলেও, কালীমোহন এখন পর্য্যস্ত বাপের মুখের উপর কথা ধলিতে সাহস পাইত না । রাধামোহন ছেলের মতামতের অপেক্ষ না করিয়াই পাত্রীর খোজ স্বরু করিয়াছিলেন, এ খবর সে পাইতেছিল, কিন্তু নিফল আক্ৰোশে গর্জন করা ছাড়া তাহার উপায় ছিল না । পাত্রী, ঠিক হইয়া গেল, রসময় দত্তের মেয়ে। মস্ত কারবার, শহরে পাকা বাড়ী, গ্রামে পাক বাড়ী, ঐ এক মেয়ে । ছেলে অবহু আছে, তবু মেয়ের নামে দত্তবাবু বেশ-কিছু লিখিয়া দিয়াছেন বলিয়া শোনা যাইত। কথাটা সম্ভবতঃ সত্য, কারণ ছেলেটি তাহার প্রথম পক্ষের, মেয়েটি দ্বিতীয় পক্ষের । দ্বিতীয়া পত্নী বাচিয়াই আছেন, তিনি কি আর মেয়ের জন্য বেশকিছু গুছাইয়া না লইয়া ছাড়িয়াছেন ? তাহার উপর মেয়েটির চেহারা স্বত্র নয়, এবং মেজাজটাও কিছু উগ্র বলিয়া বদনাম আছে। স্থতরাং বেশ-কিছু স্থাতে না পাইলে এমন মেয়েকে কে ঘরে বরণ করিয়া আনিৰে ? মেয়ের মা কোনো এক নিমন্ত্রণ-বাড়ীতে কালীমোহনকে দেখিয়া পছন্দ করিয়াছেন, ঐ ছেলেটিকে তাহার জামাই করিয়া দিতেই হইবে। স্থয়োরাণীর আবদার, কাজেই রাধামোহন মিত্রের কাছে ঘটক জাসিয়া জুটিতে বেশী দেরি হয় নাই । এবার কিন্তু কালীমোহন মাকে দলে পাইল। গৃহিণী কৰ্ত্তার কাছে গিয়া কাদিয়া পড়িলেন, “কোথাকার এক বড়মানুষের কালো পেত্নী মেয়ে নিয়ে আসছ, আমার হাড় জালাতে ? সে কি কুটে ভেঙে দুখান করবে ? আমি কি বুড়ে বয়সে বউয়ের বান্ধীগিরি করব ? লক্ষ্মীকে হ’লে কেমন মানাত আমার ছেলের পাশে । একে ত সে বিয়ে করতে চায় না, তার উপর খুঁচ্ছিত ধউ হ’লে, ঘরেই নিতে চাইবে ন! * : রাধামোহন চটিয়া বলিলেন, "ক্ষ্মী শুনাঁৱেই, বাপের ট্যাক হাতড়ালে ত একটা পাই-পখল পাওয়া ৰাম না! 3. বউয়ের রূপ নিয়ে কি ধুয়ে থাৰে "লক ধরে বউ,