পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৪ AAeeAMAMMASMAAA AAAASASASS JSASJAMMAAASAASAASAASAA AAAS AAAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA DS [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড SJJYSAASAASAASAASAASAASAA AAAA AAAASAMMABBSAAAAAAAS পর বাস করিতে হুইবে বলিয়া লতিকার মা ঢের আক্ষেপ ভার করিয়া থাকিত, ভাল করিয়া কথা বলিত না, कब्रिएक्लन । লতিকা একেবারে শয্যাগ্রহণ করিল। কালীমোহন স্ত্রীকে যথাসাধ্য সাত্বনা দিবার চেষ্টা করিতে লাগিল, কিন্তু শ্ৰেণী কিছু করিয়া উঠিতে পারিল না। স্ত্রীর পিঠে হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিল, “বাপ মা কারোই চিরদিন থাকেন না। তবে তোমার বাবা একটু বেশী অসময়ে গেলেন বটে। দুঃখ ক’রে কি করবে বল, জগতের নিয়মই এই।” - লতিক কাদিতে কঁাদিতে বলিল, “গেলেন যে আমায় একেবারে পথে বসিয়ে গেলেন।” কালীমোহনের কানে কথাটা বড় কটু শুনাইল । বাপের শোকের চেয়ে লতিকার টাকার শোকই বেশী হইল না কি ? আত্মাভিমানেও তাহার একটু আঘাত লাগিল। অন্ত সময় হইলে হয়ত শক্ত কথাই বলিয়া বসিত, কিন্তু লতিকা এখন শোকে কাতর, তাহাকে কড়া কথা বলা অমানুষের কাজ হুইবে । স্ত্রীর পিঠের উপর হইতে হাতখানা শুধু সে সরাইয়া লইল এবং বলিল, “পথে বস্তে যাবে তুমি কি দুঃখে । তোমার স্বামী ত এখনও মরেনি ?” কালীমোহনের অভিমানটা লতিকা ঠিক বুঝিল কি না সন্দেহ । বলিল, “তবু এর পর আর নিজের বলতে কিছু রইল না। এতদিন যাহোক একটা ভরসা ছিল যে তুমি দুর করে দিলেও খাবার পরবার ভাবনা থাকবে না। এখন ত তুমি ঝাটা মারলেও এইখানেই পড়ে থাকতে হবে।” এত দুঃখেও কালীমোহনের হাসি পাইল । লতিক তাহাকে ভাল চিনিয়াছে বটে। এতদিন যেন লতিকাকে কেবলমাত্র তাহার বাবার টাকার লোভে সে বাট মারিয়া তাড়ায় নাই। এখন যখন আর সে বাধা রহিল না, তখন ঝাটা মারিতে অবিলম্বেই সুরু করিবে । স্ত্রীকে আর কিছু না বলিয়া সে আস্তে আস্তে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল । - লতিকা কেমন যেন হইয়া গেল। টাকার শোকট তাহার বড় বেশী রকমই লাগিয়াছিল। সারাক্ষণ মুৰ্থ সংসারের কিছু দেখিত না । কালীমোহন একদিন বলিল, “টাকা পেলে না বলে এখন কোথায় আরও গুছিয়ে চলবে, না তুমি যে দেখছি আরো গা ঢেলে দিলে ?” লতিকা বলিল, “কিছু আর ভাল লাগে না । সংসারট যে আমার তা আর মনেই হয় না।” কালীমোহন বলিল, “বেশ আছ ভূমি। স্বামী, মেয়ে কিছু তোমার নিজের নয়, টাকাটাই খালি নিজের ছিল । সেটা যেতেই জগৎ সংসার শ্ব'ছয়ে গেল ?” লতিকা মুখ ভার করিয়া বলিল, “তা খানিকট হ’ল বৈকি ৷” কালীমোহনের আর সহ হইল না, বলিয়া উঠিল, “টাকা পেলে, আমাদের আর বোধ হয় তোমার কোনো দরকার থাকৃবে না ?” লতিকা স্বামীর কথার ঝাঝে বুঝিল সে রীতিমত চটিয়াছে। কোনো উত্তর না দিয়া সে তাড়াতাড়ি ঘর ছাড়িয়া চলিয়া গেল। কালীমোহন আশা করিয়াছিল স্ত্রী অস্ততঃ এত বড় অভিযোগ মানিয়া লইবে না। কিন্তু লতিক কিছু না বলাতে তাহার হৃদয়ে যেন একট। বিষাক্ত তাঁর ফুটিয়া গেল। মনে মনে ভাবিল, এতদিন সে ভুল বুঝিয়াছিল। লতিকা তাহাকে কোনোদিনও ভালবাসে নাই, ভালবাসিবার ক্ষমতাই তাহার নাই। কালীমোহনেরও পরিবর্তন আরম্ভ হইল। এতদিন স্ত্রীকে নিজের কাছে টানিবার তাহার একটা চেষ্টা ছিল, সকল দিক দিয়া স্ত্রীকে বুঝিবার এবং নিজেকে বুঝাইবার একটা প্রয়াস ছিল । এখন সে এ সবই যেন ত্যাগ করিল, অলক্ষিতে দূরে সরিয়া যাইতে লাগিল। লতিক এট। লক্ষ্য করিল, কিন্তু কারণটা বুঝিল উন্ট রকম। ব্যথিত মনে ভাবিল, “এখন ত হেলাফেলা করবেই ? রূপেগুণে ত যুগ্যি ছিলাম না, টাকার লোভে আমায় এনেছিল । সে টাকার আশাও যখন গেল, তখন আর আমার কি মান থাকূল ?” তাহার চালচলন আরও যেন বিগড়াইয় গেল। - এতদিন টাকা জমানো বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ষ্ট্র অর্থ উপার্জন করিবার দিকে কালীমোহনের কোনেী