পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সজস্ব ? প্রতিদিন গ্র্যাগু হোটেলে ছুটিয়া গিয়া দেখিয়া আসে, যুদ্ধের ঋণ দানে কোন প্রদেশ অগ্রগামী হইতেছে। বাংলা পাচ কোট, বোম্বাই সাড়ে চার কোটী ! বাংলা জিতিতেছে । - এই সময়েই একদিন ইনষ্টিটিউটের লাইব্রেরীতে কাগজ খুলিয়া একটা সংবাদ দেখিয়া সে অবাকৃ হইয়া গেল, সঙ্গে সঙ্গে সে কি অপূৰ্ব্ব মনের ভাব, আনন্দ ! জোয়ান অফ আর্ককে রোমান ক্যাথলিক যাজকশক্তি র্তাহাদের ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের সাধুর তালিকাভূক্ত করিয়াছেন । তাহার শৈশবের আনন্দ মুহূৰ্ত্তের সঙ্গিনী সেই পল্লীবালিকা জোয়ান-ইছামতীর ধারে শান্ত বাবলা বনের ছায়ায় বসিয়া শৈশবের সে স্বপ্নভর দিনগুলিতে যাহার সঙ্গে প্রথম পরিচয় । বড় হইয় অবধি সে এই মেয়েটিকে কি শ্রদ্ধার চোখে ভক্তিব চোখে দেখিয়া আসিয়াছে এতদিন, সে-কথা জামিত এক অনিল—নতুবা কল্পনা যাহাদের পঙ্গু, মন মিনমিনে, পানসে—তাদের কাছে সে কথা তুলিয়া লাভ কি ? কলেজে পড়িবার সময় সে বড় ইতিহাসে জোয়ানের বিস্তৃত বিবরণ পড়িয়াছে—অতীত শতাব্দীর সেই অবুঝ নিষ্ঠুরত, ধৰ্ম্মমতের গোড়ামি, খুটিতে বাধিয়া হৃদয়হীন দাহন—স্বৰ্য্যদেবের রথচক্রের দ্রুত আবর্তনে অসীম আকাশে যেমন দুপুর হয় বৈকাল, বৈকাল হয় রাত্রি, রাত্রি হয় প্রভাত-মহাকালের রথচক্রের আবর্তনে এক শতাব্দীর অন্ধকারপুঞ্জ তেমনি পরের শতাব্দীতে দূরীভূত হইয়৷ যাইতেছে। সত্যের শুক তারা একদিন যে প্রকাশ হইবেই, জীবনের দুঃখদৈন্তের অন্ধকার শুধু যে প্রভাতেরই অগ্রদূত—কলকাকলীময়, ফুল-ফোটা, অযুত-ঝরা প্রভাত । অন্যমনস্ক মনে সিড়ি দিয়া নামিয়া সে বাদ্য-বিভাগের ধরে ঢুকিতে যাইতেছে, কে তাহাকে ডাকিল । ফিরিয়া চাহিয়া দেখিয় প্রথমটা চিনিতে পারিল ন-পরে বিস্ময়ের স্বরে বলিল—প্রতি, না ? এগজিধিশন দেখতে এসেছিলে বুঝি ? ভাল আছ ? পতি অনেক বড় হইয়াছে। দেখিয়া বুঝিল, বিবাহ eد حبی ب3b অপরাজিত AMMAAA AAAA AAAASAASAASAASAASAAMMSJJASAMMAMMA AMAMAMMMA S AMSJAS SMAMAMAAAA ৩৭৩ SAASASASEJSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSASASAMMMSAMAMMMAAAS SMMS MAMMAMMMMMMSSMMSMMMAMSAASAASAASAA سہ حمنہدم হইয়া গিয়াছে। সে সঙ্গিনী একটা প্রৌঢ় মহিলাকে ডাকিয়া বলিল—ম ? আমার মাষ্টার মশায় অপূৰ্ব্ব বাবু— সেই অপূৰ্ব্ব বাবু। । অপু প্ৰণাম করিল। প্রতি বলিল-আচ্ছা আপনার রাগ তো ? এক কথায় ছেড়ে দিয়ে চলে গেলেন । দেখুন, কত ছোট ছিলুম, বুঝতুম কি কিছু ? তারপর আপনাকে কত খোজ করেছিলুম, আর কোনো সন্ধানই কেউ বলতে পারলে না। আপনি আজকাল কি করচেন মাষ্টীর মশায় ? —ছেলেও পড়াই, রাত্রে খবরের কাগজের আপিসে চাকরীও করি— —আচ্ছা মাষ্টার মশার, আপনাকে যদি আমাদের বাড়ী কি আপনি আর যাবেন না ? অপুর মনে পূৰ্ব্বতন ছাত্রীর উপর কেমন একটা স্নেহ আসিল । কথা গুছাইয়া বলিতে জানিত না, কি বলিতে কি বলিয়া ফেলিয়াছিল সে-সময়— তাহারও অত সহজে রাগ করা ঠিক হয় নাই । সে বলিল—তুমি অত অপ্রতিভ ভাবে কথা বলছ কেন প্রতি ! দোষ আমারই, তুমি না হয় ছেলেমানুষ ছিলে, আমার রাগ করা উচিত হয়নি— ঠিকানা বিনিময়ের পর প্রতি পায়ের ধূলা লইয়া প্রণাম করিয়া বিদায় লইল । আবার অপুর এ-কথা মনে না হইয়া পারিল না— কাল, মহাকাল, সবারই মধ্যে পরিবর্তন আনিয়া দিবে ...তোমার বিচারের অধিকার কি ? আরও মাস দুই কোনো রকমে কাটাইয়া অপু পূজার সময় গেল বাড়ী । সে দিন ষষ্ঠী, বাড়ীর উঠানে পা দিয়া দেখিল পাড়ার একদল মেয়ে ঘরের দাওয়ায় মাদুর পাতিয়া বসিয়া হাসি কলরব করিতেছে-অপু উপস্থিত হইতে অপর্ণ ঘোমটা টানিয়া ঘরের মধ্যে ঢুকিল ! পড়ার মেয়েদের সে আজ ষষ্ঠ উপলক্ষে বৈকালিৰ জলযোগের নিমন্ত্ৰণ করিয়া নিজের হাতে সকলকে আলতা সিদুর পরাইয়াছে—হাসিয়া বলিল, ভাগিাস এলে ! ভাবছিলাম এমন কলার বড়াটা আজ ভজিলাম— —সত্যি, কৈ দেখি ? বলি,