পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] বলিয়। সহজবোধ্য ও সাদবে গৃহীত হইয়াছিল । হুসেন সাহের রাজসভা তাহার প্রমাণ ! আবার হুসেন সাহের দৃষ্টাস্তে অনুপ্রাণিত হইয় তাহার অনুচরগণও ঐ ভাষায় রচনায় - উৎসাহ দিতেন । এদিকে উচ্চবর্ণের হিন্দু, র্যাহারা সে যুগের সাহিত্য হুষ্টি করিতেন তাহার, বিশেষ ত ব্রাহ্মণগণ, প্রায় সকলেই রাঢ়ভূমিকে মাতৃভূমি বলিয়া জানিতেন, এবং যত না পূৰ্ব্বাঞ্চলে বসবাস করুন, অন্তত লিখিবার কালে যথাসাধ্য রাঢ়ীয় ভাষা ব্যবহার করিতেন । তাহা ছাড়া একটি বিশিষ্ট সংস্কৃতির স্থত্রে বাঙালী জাতি চিরদিন পরস্পর আত্মীয়তা বোধ করিয়াছে, আর সেই সংস্কৃতির ধারা যেখানে উৎসারিত হইয়াছিল, মধ্য রাঢ়ের ভাগীরথী উীরবত্তী সেই স্থানটুকুর মাহাত্মা ও নেতৃত্ব মানিতে কোন ও গ্ল ত্যস্তবাসী বাঙালীর কোনও দিন দ্বিধা হয় নাই। তাই শ্ৰগটবাসী জগন্নাথ মিশ্রের পুত্র বাঙ্গালদের উচ্চারণ ইয়। পরিহাস করিতে সঙ্কোচ বোধ করেন নাই । আর তাহার পরে ? দূর-দূরাস্থ সীমায় নদীয়ার চাদের নীল রশ্মি যখন অতৃপ্ত বঙ্গবাসী চকোরের মত পান ভাষা সৰ্ব্বত্র আরও তিন শতাব্দী পরে এক }তন সংস্কৃতি এই ঐক্যমুখীন বাংলা ভাষাকে এই দিকে iাহায্য করিতে অগ্রসর হইল । তাহার আসন ৪ চাগীরথীর তীরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বাংলা ভাষার }রা তন গতি বাধাপ্রাপ্ত হইল না, বরং বলশালী হইল । যমন করিয়ু ইংরাজের ইস্পাতমণ্ডিত শাসনপদ্ধতি মস্ত দেশকে একই শৃঙ্খলার শৃঙ্খলে নিয়ন্ত্রিত করিয়া £. . . . , তখন নদীয়াব অমিয়মাখ। রিব্যাপ্ত ই ভয় পড়িল । তাহার ঐক্যসাধন করিয়াছে, তেমনি ফোট উইলিয়মের দ্রিত পুস্তকের প্রচলনে ও মৃতন শিক্ষার প্রসারে বাংলা উপভাষাগুলি একটি মাত্র ভযার বন্ধনে আবদ্ধ ইয়া আজিকার ‘বাংলা ভাষায়’ ঐক্য লাভ কবিতে লিয়াছে। কিন্তু সেই ঐক্য আজিও সম্পূর্ণ হয় নাই। বর্তমান মুহূৰ্ত্তেও বাঙলা ভাষা ঠিক জাতীয় ভাষা ইয়াছে, একথা বলা যায় না। কেন্দ্রীভূত ও একীভূত Ifংলাভাষ আজও কৃত্রিম ভায । উহার প্রয়োগ আজ ৪ fস্তকেই আবদ্ধ। সমগ্র বাঙালী জাতির চিন্তার ও বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ ويني ভাববিনিয়মের ভয। এ যুগেও একীভূত হয় নষ্ট । কবে হইবে তাহাও সুনিশ্চিত বলিবার উপায় নাই । ভাষার একীকরণের দুইটি উপায় আছে । এক, তাহার বিচ্ছিন্নতৃত্র উপভাষাগুলির উপর সংস্কৃতের মত একটা অৰ্দ্ধকত্রিম "সিনথেটিক’ ভাষা চাপাইয়া দে ও ; অপর, ষ্ট্যাণ্ডার্ড হইবার যোগ্যতা অথবা শক্তি রাখে এরূপ একটি উপভাষার সাহায্যে অন্য সকল উপভাষাকে উনবিংশ শতাব্দীর বাংল। বড় বেশী ংলা ভাষার পরাভূত করা। সংস্কৃতের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিতেছিল। পক্ষে তাহা খুব মঙ্গলজনক হইত না । সৌভাগ্যক্রমে এযুগের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপ্লবের ফলে সে মোড়ট ঘুরিতে বসিয়াছে। সমস্ত বাংলাদেশের মুখ আজ কলিকাতার দিকে ; তাহার ভদ্রভাষা সমস্ত বাংলা দেশের ভদ্রভাষা বলিয়। গৃহীত হইতেছে । মুঞ্জিত পুস্তকের প্রচারে সেই ভাষার রূপ সুনিৰ্দ্ধারিত হইয়া আসিতেছে ; ( কথ্য ও লিখিতভম্বর 空円 প্রভেদ ভুলিবার নয় ; কিন্তু তাহাকে বেশ বড়, করিয়া লাভ নাই ! এই প্রভেদ প্রধানত ক্রিাপদের রূপ লইয়| ) একই রূপ শিক্ষা সমস্ত বাংল। দেশে প্রসারিত হওয়ায় ভাষার এই কেন্দ্রমুখীনতা দিনে দিনে বাড়িতেছে । তাহ ছাড়, একই শাসনপদ্ধতি ৪ এই যুগের যানবাহনাদি-বহল সভ্যতা বাংলা দেশের মনের ঐক্যবোধকে সুদৃঢ় করিতে চেষ্টা করিয়া বাংলভাষার ঐক্যকেও দৃঢ়তর করিতে চাহিতেছে। কেন্দ্রমুখীন শক্তি ; কিন্তু বাংলা ভাষার জীবনে আবার কতকগুলি বিপরীত শক্তিও জটিয়াছে, যথা, লিখিত : কথ্য ভাষার দ্বন্দ্ব, উপভাযা মুসলমানী বাংলা, হিন্দু স্থান ? ইংরেজীর আক্রমণ । তাহদেরও গণনা করা উচিত । 、ジ翌T* ঐকো বাধ৷ ভাগিরথী তীরের কথ্য ভাষার প্রসার সূৰ্ব্বত্র বাড়িতেছে । কিন্তু এই ভাষার ভিতর এমন একট। জন্য উহা সাহিত্যক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে অধিকার দুৰ্ব্বলতা আছে, যাহার বাংলা লিখিত ভাষার স্থান