পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] মহামায়া ○ケや নিরঞ্জন বলিলেন, “এই ধরণের অসুখে কোনে। চিরস্থায়ী অনিষ্ট হয়ে যেতে পারে কি ?” ডাক্তার মিত্র বলিলেন, “নার্ভাস অসুখ সম্বন্ধে কোনো কিছু ঠিক করে কি কলা যায় ? অনিষ্ট হতেও পারে, নাও হতে পারে । সেটা সাময়িক হতে পারে আবার förståg og offo Lady of Macnish-g: কেসে স্মরণশক্তি হারিয়ে ফেলা ছাড়া আর কোনো অনিষ্ট হয়নি, তবে ডাক্তার ওয়ার মিচেলে-এর বইয়ে মেরী রেণল্ডস বলে একটি মেয়ের কথা পাওয়া যায়, তার বছর আঠারো বয়সে হঠাৎ মৃচ্ছ। হয়। মৃচ্ছ। ভাঙবার পর দেখা গেল সে কালী এবং অন্ধ হয়ে গিয়েছে। অবশু এটা বেশী দিন থাকেনি ৷ পাচ ছয় সপ্তাহ পরে কানে শুনবার ক্ষমতাটা তার ফিরে এল, চোখে দেখার ক্ষমতাটাও আস্তে আস্তে ফিরতে লাগল। আর একবার বস্তৃক্ষণব্যাপী মৃচ্ছার পর তার যখন জ্ঞান হ’ল, তখন দেখা গেল, ইন্দ্রিয়গুলি তার সব ঠিক আছে, কিন্তু স্মৃতি লোপ পেয়েছে। আবার লেখাপড় সব তাকে শেথান হ’ল। চরিত্রের স্বভাবেরও কিছু কিছু পরিবর্তন দেখা গেল । অসুখের আগে সে ভারি চুপচাপ আর শাস্ত ছিল, এখন খুব ফুৰ্ত্তিবাজ হয়ে উঠল। কিছুদিন পরে ফের মুচ্ছ। হয়ে সে মিজের প্রথম অবস্থায় ফিরে গেল। আগের চেয়ে চুপচাপ এবং শাস্ত হয়ে গেল। এক অবস্থায় আর এক অবস্থার কোনো স্মৃতি তার থাকত না । এ রকম বার-বার হতে থাকে । বছর পয়ত্রিশ বয়সে আবার সেই হাসিখুসি, ফুষ্টির অবস্থাটা ফিরে আসে। তখন থেকে একইভাবে পচিশ বছর সে ছিল । জীবনের শেষের দিকে, এই দুটো অবস্থা মিশে গিয়ে কেমন গোলমাল হয়ে গিয়েছিল, কোনোটার থেকে কোনোটাকে আলাদা করা বেত না ।” নিরঞ্জন দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “কি যে হবে, কিছু ত বুঝতে পারছি না । এর কোনো চিকিৎসা নেই, আপনি বলছেন ?” ডাক্তার বলিলেন, “চিকিৎসা আর কি ? সাধারণ স্বাস্থ্য যাতে ভাল থাকে, মন যাতে ভাল থাকে, তারই চেষ্টা করতে হবে, আর কি ? তারপর অপেক্ষ করা చీ ఉ ఇe S ఫి ছাড়া আর কিছু করবার নেই। আশা করা যাক যে আপনার মেয়ে শীগগিরই সেরে উঠবেন।” নিরঞ্জন বলিলেন, “সারবার সম্ভাবনা যতখানি, ন সারবারও ততখানি যে ।” ডাক্তার বলিলেন, “তাই যদি হয় ত, তাহলেও একেবারে হাল ছেড়ে দেবার কারণ কি ? যতদূর দেখছি, মাঝের কটা বছর এর স্বতি থেকে মুছে গেছে । এ ছাড়া বুদ্ধি বা ইন্দ্রিয়ের কোনো ক্ষতি হয় নি। র্তাকে আবার লেখাপড় শেখাতে হবে, আবার যেভাবে আগে ট্রেন্ড হয়েছিলেন, তাই করতে হবে। মাহুষ করা মেয়েকে আবার ফিরে মানুষ করা, খুবই ট্রাবল্‌সাম ব্যাপার, তাহ’লেও উনি যদি না সারেন, তখন তাই করতেই হবে । জীবনটা তার অনেক বৎসর পিছিয়ে যাবে বটে।” নিরঞ্জন বলিলেন, “শুধু কি তাই ? কত সমস্যা যে এর থেকে স্বষ্টি হবে তার ঠিক-ঠিকানা নেই। ওর বাকদত্ত স্বামীকেও চিনতে পারল না, দেখলেন ত ? ছেলেটিকে কি যে বোঝাব ভেবে পাই না, মেয়ের জন্যে য়ত দুঃখ আমার, দেবকুমারের জন্তেও প্রায় ততখানি । ভারি চমৎকার ছেলে, ওর জীবনটা যদি এই রকম করে নষ্ট হয়, সেট প্রায় আমার মেয়ের অসুখের সমানই শোচনীয় ব্যাপার হবে।” ‘groß fü ofton, “sto, let's hope for the best. কিছু বেশী দিন ত ইয়নি ? আমি যতগুলো কেসের কথা জানি সবই কোনো-না-কোনো সময় সেরে গিয়েছিল, আবার রিল্যাপসও অবশ্ব করেছে । আপনার মেয়েও একসময় না একসময় লষ্ট মেমরি ফিরে পাবেন বলেই মনে হয় ।” নিরঞ্জন বলিলেন, “তাই আশা করা ছাড়া যখন উপায় নেই তখন অগত্য। তাই আশা করতে হবে । আচ্ছ, আপনি স্নানটান সারণ গিয়ে । খাওয়া-দাওয়ার পর একবার বেরতে চান কি ?” ডাক্তার মিত্র উঠিয়া পড়িয়া বলিলেন, “তা গেলেও হয়। বৃহস্পতিবারের আগে ত যাবার কোনো উপায় নেই, এই ক’টা দিন যেমন করে হোক কাটাতেই হবে ।”