পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nలిసిe AAA AASAAASAAAM ASJJ নিয়ঞ্জন বলিলেন, “আপনাকে আমি প্রতি মেলেই ওর অবস্থার কথা লিখব, যদি কিছু করবার থাকে আমায় জানাবেন । the যতদিন ওর কোনো পরিবর্তন না দেখা যায়, ততদিন কোথাও চেঞ্জে নিয়ে যাব কি ?” ডাক্তার বলিলেন, “তার বিশেষ কিছু দরকার নেই । বরং পরিচিত লোকজনের মধ্যে থাকলে কিছু লাভ হলেও হতে পারে। দেবকুমারকে রোজ যদি তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন, তাতে কিছু উপকার হতে পারে।’ নিরঞ্জন বলিলেন, “গোলমাল ত সব ঐখানেই । এখানে আসবার আগে মায়া ভারি গোড়া হিন্দু ছিল । আমার স্ত্রীর ইনফ্লুয়েন্স আর কি ? তারপর এখানে থাকার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে ক্রমে সেটা কেটে গিয়েছিল । এখন আবার সেই কনসারভেটিভ মুন্ড ফিরে এসেছে। দেবকুমারকে দেখলে ত সে উৰ্দ্ধশ্বাসে পালায়, তা তাকে দেখা করতে ব’লে আর লাভ কি ?” ডাক্তার মিত্র বলিলেন, “এসব মানসিক ব্যাধি নিয়ে বড় ভুগতে হয়। আচ্ছা দেখা যাক্ ।” ডাক্তার মিত্র নিজের ঘরে চলিয়া যাইবার পরও নিরঞ্জন আপিস-ঘরে অনেকক্ষণ একলাই বসিয়া রহিলেন । কতরকম চিন্তা যে র্তাহার মাথার ভিতর দিয়া বহিয়৷ যাইতে লাগিল, তাহার ঠিক-ঠিকানা নাই। একমাত্র সস্তান মায়া, বিধাত তাহারই অদৃষ্টে এ কি নিদারুণ অভিশাপ লিখিয়া দিলেন ? খাওয়ার সময় প্রভাস ফিরিয়া আসিল । ডাক্তার মিত্র উপস্থিত ছিলেন বলিয়া সে নিরঞ্জনকে কিছু জিজ্ঞাসা করিতে পারিল না, কিন্তু তাহার অভিমত জানিবার জন্ম তাহার মনটা ছট্‌ফটু করিতে লাগিল। অত বেশী আগ্রহ তাহার দেথানোও হয়ত শোভন হইবে না। মায়াকে অবশু সে বাল্যকাল হইতে জানে, কিন্তু সে এখন তরুণী এবং অন্তের বাগদত্ত বধূ। তাহার বিষয়ে প্রভাসের বেশী উৎসাহ প্রকাশ করা উচিত হইবে না। খাওয়াদাওয়ার পর ইন্দুর কাছে খোজ করিবে ঠিক করিয়া, সে তখনকার মত নীরবেই খাওয়া শেষ করিয়া ফেলিল । n meantime, 够 * প্রবাসী—পৌষ ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড নিরঞ্জন এবং ডাক্তার মিত্র উঠিয়া যাইবার পর প্রভাস কিছুক্ষণ ইতস্তত: করিয়া তাহার পর ইন্দুর সন্ধানে চলিল। ভাড়ার ঘর, রান্নাঘর, ইন্দুর পূজার ঘর, কোথাও তাহাকে পাওয়া গেল না । সে তখন উপরে মায়ার কাছে । প্রভাস অবশেষে সঙ্কোচ ত্যাগ করিয়া উপরেই চলিল । তাহাকে দেখিয়া মায়া অবশু আগের মত পিছন ফিরিয়া বসিতে পারে, সে সম্ভাবনা বেশ ছিল । কিন্তু প্রভাসকে সে ভোলে নাই, ইচ্ছা হইলে কথা বলিলেও বলিতে পারে। না-হয় ইন্দুর কাছে খোজ লইয়াই সে ফিরিয়া আসিবে । ইন্দু মায়ার ঘরেই ছিল, সিড়িতে জুতার শব্দ শুনিয়া মায়া বলিল, “পিসীম, দেখ ত, কে উপরে উঠছে। যে সে, যেখানে সেখানে এসে উপস্থিত হয়, এই বাড়ীর এই একটা বড় দোষ । সদর অন্দরের কোনো নেই।” ইন্দু দরজার কাছেই বসিয়া ছিল, গলা বাড়াইয়া তাকাইয়া দেখিয়া বলিল, “প্রভাস বুঝি হবে।” মায়ার মুখ লাল হইয়া উঠিল । মৃদুকণ্ঠে বলিল, “কি চান দেখ গিয়ে ।” মনে মনে প্রভাসের মুগুপাত করিতে করিতে ইন্দু উঠিয়া দাড়াইল, এবং সিড়ির কাছে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি প্রভাস, কিছু চাই কি ?” প্রভাস উঠিয়া আসিয়া বলিল, “চাই না বিশেষ কিছু । তবে মায়াকে দেখে ডাক্তার কি বললেন তাই একটু জানতে ইচ্ছে করছে ” * ইন্দু বলিল, “মেজদার সঙ্গে ভাল করে কথা বলবার সময় ত পাই নি ? একবার জিগ গেষ করেছিলাম, তাতে শুনলাম বলেছে , হিষ্টিরিয়া না কি। নিজের থেকেই সেরে যাবে, ওর কোনো চিকিৎসা নেই ।” প্রভাস জিজ্ঞাসা করিল, কতদিনে সারতে পারার সম্ভাবনা সে বিষয়ে কিছু বলেছেন কি ?” ইন্দু বলিল, “জানি না, বিকেলে চা খাবার সময় জিগ গেষ করব।” প্রভাস অল্পক্ষণ নীরবে দাডাইয়া থাকিয়া, জিজ্ঞাসা ভেদ