পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ঝোকে হয়ত এমন কিছু করিয়া বসিবে, ইহজন্মে যাহার আর কোনো প্রতিকার সম্ভব হইবে না। খানিক ভাবিয়া ইন্দু বলিল,"ঝাটা আবার কাকে আমরা মারতে গেলাম, সবাইকেই ত আদর্যত্ব করছি। প্রভাস আর ক'দিনই বা আছে ? দেশে তার মা তার বিয়ের জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে, সে কি আর ছেলেকে চিরকাল এখানেই বসিয়ে রাখবে ?” মায়া যেন সামলাইতে না পারিয়াই বলিয়া উঠিল, “কেন ? বিয়ে কি আর দেশ ছাড়া আর কোথাও হ’তে পারে না ?” ইন্দু বিরক্ত হইয়া বলিল, “পারবে না কেন ? তা তারা যদি দেশেই দিতে চায়, অন্ত কোথাও না দিতে চায় ?” মায়ার মুখ আঁধার হইয় গেল, বলিল, “তা অবিহি, তবে ছেলে কোথায় বিয়ে করতে চায় তাও ত তাদের একটু দেখা উচিত ?” ইন্দু বলিল, “হিন্দু সমাজের ছেলে, বাপ মায়ে যেখানে দেবে সেখানে বিয়ে করবে । তাদের আবার মতামত কি ? এই যে প্রভাসের ছোট ভাই স্বভাষের বিয়ে হ’ল, কে তার মত নিতে গিয়েছিল ?” মায় জিজ্ঞাসা করিল, “হ্যা পিসিম, স্বভাষের বউ কেমন হয়েছে ?” ইন্দু বলিল, “হয়েছে মন্দ নয়, তবে মেয়ে তেমন খুব ফরসা নয়। তা দিয়েছে খুয়েছে বেশ ।” মায়। তখন আর কিছু না বিলয় চুপ করিয়া রহিল। ইন্দু একটু গড়াইয়া লইবার জন্য নিজের ঘরে চলিয়৷ গেল । বিকাল বেলা আবার মায়ার খোজ করিতে গিয়া দেখিল, সে উহারই মধ্যে চুল বাধিয়া, পাউডার মাখিয়া, দিব্য ভাল সাজসজ্জা করিয়া বসিয়া আছে । পিসীকে দেখিয়া বলিল, “বাগানে না বেড়াতে যাবে বলেছিলে, চল না এইবেলা ?” ভাইবীর উৎসাহ দেখিয় ইন্দু আর উচ্চবাচ্য না করিয়৷ তাহার সঙ্গে সঙ্গে চলিল। প্রায় একতলায় আসিয়া পৌছিয়াছে, এমন সময় কলেজ-ফেরৎ অজয় আসিয়া মহামায়া \ర్సిలి

  • --سم* سید مماسیہ --منہدم

উপস্থিত হইল। মায় তাহাকে দেখিয়া বলিল, “দেখছ পিসীমা, অজয় কি রকম হঠাৎ লম্বা হয়ে গেল ? ক’মাস আগে ও মাথায় আমার চেয়ে ছোট ছিল।” অজয় বলিল, “ক’মাসই বটে, বেশ কয়েক মাস না ? চৌষট্টি কি আশি মাস হবে বোধ হয় ?” মায় বলিল, “কেমন করে যে কথা বলে । চল ন৷ আমাদের সঙ্গে একটু বাগানে বেড়িয়ে আস্বি ।” অজয় বলিল, “আচ্ছা রোশ, বই খাতাগুলো অন্তত: রেখে আসি ।” মায়া এবং ইন্দু অগ্রসর হইয়া চলিল । বাগানের ভিতর আসিয়া পড়িয়া মায়া জিজ্ঞাস করিল, “সেই কলকাতার ডাক্তার আমায় দেখে কি বল্ল পিসীম ?” ইন্দু বলিল, “কিছু বিশেষ হয়নি বলেছে, এই নাইতে খেতে যাবে আর কি ?” মায়া বলিল, “তবে তখন যে তুমি ওর কাছে বলছিলে হিষ্টিরিয়া না কি হয়েছে ? ছাই জানে তোমাদের ডাক্তার । কক্ষনে আমার হিষ্টিরিয়া হয়নি। হিষ্টিরিয়৷ হ’লে ত হাত পা ছোড়ে, দাতে র্দাত লাগিয়ে পড়ে থাকে। আমি কি তাই করি নাকি ?” ইন্দু বলিল, “ডাক্তারের চেয়ে কি তুই বেশী বুঝিস ? হিষ্টিরিয়া কত রকম আছে।” এমন সময় অজয় আসিয়া জুটিল। বলিল, “বাগানটার আজ বড় সৌভাগ্য, তোমার শুভাগমন হয়েছে।” মায়। বলিল, “আর তোমার শুভাগমন বুঝি খুব ঘন ঘন হয় ? এতদিন যে এসেছি ত ছেলে বাড়ীতে আছে না নেই, তাই জানি না ।” অজয় বলিল, “জানবে কি ক’রে ? তোমার গাড়ীথানার সদ্ব্যবহার করতে ব্যস্ত ছিলাম যে । এখন ডা: মিত্র সেখান। নিয়ে সরে পড়ায় অগত্য তোমাদের সঙ্গদান করতে এসেছি।” মায়। বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আমার আবার গাড়ী আছে না কি ? কি গাড়ী ?” অজয়ের সব সময় মনে থাকিত না যে, মায়া আর সে भाब नई । cन “हे थप्भ निरचएक नाभ्णाहेब्बा जहेब्र বলিল, “মোটর গাড়ী গো, মোটর গাড়ী। তুমি ত ঘর i