পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] SAASAASAASAASAASAASAASAASA SAASAASAASAASAASAASAAAS কষ্টিপাথর—সূর্য্যের কোষ্ঠী నీససి SAASAASAASAASAAAS

| সূর্য্যের কোষ্ঠী সমস্ত পুখিৰী ব্যাপিয়া যে পরিমাণ সেীর-তেজ বিক্ষিপ্ত আছে, সমগ্র দৌর-শক্তির তাহ ২২• কোট ভাগের একভাগ মাত্র। ইহা হইতে সমগ্র সৌর-তেজের পরিমাণ কল্পনার আনা যাইতে পারে। সুৰ্য্যের এই অফুরন্ত ভীষণ তেজ কোথা হইতে আদিতেছে ? এক সময় মনে করা হইত, অগণিত উষ্কাপিও নিরস্তর সূৰ্য্য-পৃষ্ঠে ধাক্কা গাইতেছে এবং সেই সঙ্ঘাতে যে তাপ উদ্ভূত হইতেছে, তাঁহাই স্বর্ঘ্যের পুঞ্জি এবং তাহাতেই উহার এই বিপুল দানশক্তি বজায় রহিতেছে। পরবত্তীর্ণ বৈজ্ঞালিকের এই মতের অনেক গলদ কাহির করিলেন। উাহারা দেপাইলেন যে, এই উল্কাপিণ্ডের সংখ্যা এত অধিক হইতে পারে না যে, উহার সঙ্ঘাতজনিত তাপ এই ভীষণ বায় পূরণ করিতে পারে। উtহাদের মতে সূর্য্যে একটি প্রকাও বায়ুপিও বৰ্ত্তমান ; এই বায়ুপিণ্ড ক্রমেই সঙ্কুচিত হইতেছে ; এবং এই সঙ্কোচনের ফলে যে তাপের উৎপত্তি তাহাই সুৰ্য্যের পুঞ্জি ! এই হিসাবে দাড়ায় যে, আর ১৭০ লক্ষ, মোটামুটি প্রায় ২ কোটা বর্ষ পরে হুর্য্যের পুনঃ সঙ্কোচন অসম্ভব হইবে। তখন উহা হইতে আর তাপ উদ্ভূত হইবে না এবং তপন হইতে বরাবর ঠাণ্ড হইতে থাকিবে যতক্ষণ না একেবারে নিৰ্ব্বাপিত হইয়া যায় । সেই শেষের দিনের কথা স্মরণ করাইয়া প্রষন্ধকার বলিতেছেন —“এই দুই কোটা বৎসর পরে শয্য যে দিন অপস্থত হইবে, সেদিন সমস্ত গ্ৰহ-উপগ্রহ-সমন্বিত এই বিরাট দেীরজগতে প্রাণের স্পন্দন আর কোথাও অস্তুভূত হইবে না। নদী বহিবে ন, বায়ু প্রবাহিত হইবে না : উপরে অনন্ত আকাশ-মেধ নাই ; নীচে অসীম সমুদ্ৰ—ঢেউ নাই ; বৃক্ষ, লতা, তৃণ, গুল্ম নির্জীব , পশুপক্ষী, কীটপতঙ্গ প্রাণহীন ; সমস্ত নিম্পন্দ, সমস্ত অচল, সমস্ত অন্ধকার ; আর মানব-সভ্যতার এই শোচনীয় পরিণাম দর্শন করিবার জন্য কোন জীবিত সাক্ষীও থাকিবে না।” পরিশেষে পাঠকবর্গকে অভয় দিয়া প্রবন্ধলেখক পলিতেছেন “মাভৈঃ ; সে দিনের এখনও ঢের দেরী আছে, এবং চাই কি ততদিনে বিজ্ঞানের এ মতটাও বাউণ্টাইয়। যাইতে পারে।” প্রবন্ধকারের এই আশ্বাসবাণী সত্ত্বেও পাঠকবর্গের কেহ যদি এহ ভাবিয়া মুহমান হইয়া পড়িয়া থাকেন যে, এই ২ কোট বৎসর পরে "াকে ধরাধাম হইতে চলিয়া যাইতে হইবে, তবে বিজ্ঞানের এই "বাণী উপহাকে শুনাইতেছি, – তিনি শান্তিলাভ করুন। /য্যের সঙ্কোচন-ফলে তাহার তাপের উদ্ভব হেল্মহোলজ, এবং -ৰ ভিন যখন এই মত প্রকাশ করিলেন. তখন বৈজ্ঞানিক-মহলে তেমন একটা সাড়া পড়িল না। হুর্য্যের বয়স ২ কোট বৎসর, ভূতত্ত্ব ও প্রাণী-তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ এ কথা একেবারেই অগ্রাহ করিলেন । স্থা ছাড়া এই সঙ্কোচন-তত্ত্ব হইতে এই দ্বাড়ায় যে, পুব উজ্জ্বল নক্ষত্রণৈর বয়স একলক্ষ বৎসরের বেশী হইতে পারে না ; ইহা একেবারেই স্বিশ্বাস্ত । এমন সময় রেডিয়ম আবিষ্কৃত হইল । ইহার কার্য দেখিয় । বিজ্ঞানের বহুদিন-পোষিত অনেক বিষয়ে অনেক মতামত একেবারে উলেট-পালট খাইল । রেডিয়ম একটি মৌলিক পদার্থ, যাহ। আপনআপনি ভাঙিয়া সম্পূর্ণ বিভিন্ন আর একটা মৌলিক পদার্থে পরিণত হইতেছে। যে হারে রেডিয়ম ভাঙ্গিতেছে, পরীক্ষণয় তাহ নিরূপিত হইল। এই সব হিসাব হইতে এই দাড়ায় যে, পৃথিবীর উপরকার ছালটার বয়স ২• • কোট, ২• • • কোট নয়, অন্তত এক লঙ্ক কোট বৎসর—বেশীও হইতে পারে। সুৰ্য্যের উত্তাপ যে ইহাঁর সঙ্কাচনের ফলে, এ তত্ত্ব এতদিন টলমল্‌ করিতেছিল : এইবার একেবারে ধূলিসাৎ হইল। তাতে হইল! কিন্তু দাড়াইল কি ? যে ইলেকটুপতত্ত্ব আগেকার মতকে খণ্ডন করিল, তাহ শুধু ভাঙা শেয করিয়া নিশ্চিন্ত হইল না, নূতন কিছু গড়িয়াও তুলিল; এবং সোনায় সোহাগ হইল-আইনষ্টাইনের আপেক্ষিকতত্ত্ব ইহাতে সায় দিল --- শেষ অবধি স্থির হইল যে, পদার্থ ও শক্তি এ পরস্পর অদল-বদল হইতে পারে এক ফোটা গোলাপের আতরে যেমন এক বোতল গোলাপজলের নির্যাস আছে, তেমনি পদার্থ আর কিছুই নয়, উহ। শক্তিব নির্ষ্যাস মাত্র। একটুখানি পদার্থ যদি কোন রকমে লোপ পায়—এবং লোপ পাইতেও পারে-তে। তাহার পরিবর্তে বিপুল শক্তির উদ্ভব হইবে । মধু বিপুল বলিয়া আইনষ্টাইন ক্ষাস্ত হইলেন না, হিসাবে বলিয়া দিলেন যে, এইটুকু পদার্থের বিনিময়ে এতটা পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাইবে । কিন্তু একটা কথা -বিজ্ঞান এতদিন দুইটি তত্ত্বের উপর ভিত্তি করিয়া দাড়াইয়া ছিল : একটি—পদার্থ অবিনশ্বর ; ইহার হ্রাসও নাই বৃদ্ধিও নাই, রূপান্তর আছে মাত্র। সেইরূপ শক্তিরও রূপান্তর আছে মাত্র, শক্তিও অবিনশ্বর,—এই দ্বিতীয় । আইনষ্টাইনের কথায় এই দুইটি তত্ত্ব তো দাড়ায় ল । না দাড়ায়—চলিয়া যাক ; কিন্তু পদার্থ যে শক্তিতে রূপান্তরিত হইতে পারে, ইহা আইনষ্টাইনের আপেক্ষিক-তত্ত্বে তো দাড়াইবেই ; এবং আপেক্ষিক-তত্ত্ব যদি কোন দিন চলিয়া যায়, তো ইহাকে সঙ্গে লইয়। যাইবে না। এডিংটন হিসাব করিয়া দেখাইলেন যে, সূৰ্য্য যদি বৎসরে তাহার দেহ হইতে ২০ লক্ষ কোটা টন পদার্থ হারায়, তবে ইহার বর্তমান তাপ উদ্ভূত হয়। কিন্তু সৰ্ব্বনাশ ! প্রতি বৎসর যদি সুর্য হইতে এতটা করিয়া পদার্থ লোপ পায়, তাহা হইলে সুৰ্য্যের আর দেরী কি ? দেরী আছে-ঢের দেরী, এবং আগেকার হিসাব হইতেও বেশী দেরী । এই হারে দুষ্যের ক্ষয় হইতে চলিলেও ইহার ব্যবসা বন্ধ করিয়া দেউলিয়া হইতে এখনও আরো ২০ কোটী নয়, আশ্বস্ত হউন, ১৫ লক্ষ কোটা বৎসর বাকী । ( ভারতবর্ষ—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ ) শ্ৰীচারুচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য ു རེད།