পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ شیمیایی % تو ہیم |S বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ অগ্রহায়ণ মাসের প্রবাসীতে খ্ৰীযুক্ত মোহিতলাল মজুমদার মহাশয় আমার “বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক প্রবন্ধের যে আলোচনা করিয়াছেন তাহ অতিশয় যত্ন ও আগ্রহের সহিত পড়িলাম, কিন্তু আশ্বস্ত হইতে পরিলাম না। এ বিষয়ে আমার আলোচনা-পদ্ধতি ও মোহিত বাবুর আলোচনা-পদ্ধতিতে এত বড় একটা তফাৎ রহিয়াছে যে উপহার পক্ষে আমার কথা বোঝা এবং আমার পক্ষে তাহার কথা বোঝ৷ একেবারে অসম্ভব না হইলেও অনেকাংশে দুরূহ। পীড়িত শিশুকে মাত ও চিকিৎসক এক চক্ষে দেপিতে পারে না। বাংলা ভাষার বর্তমান অবস্থা যে সুস্থতা বা সবলত। কিছুরই পরিচায়ক নয়, একথা আমি যতটুকু জানি তাহার অপেক্ষাও তাল করিয়া জানেন মোহিতবাবু। তবুও যদি তিনি বাংলা ভাষার বর্তমান অবস্থার মধ্যে বাংল। ভাষার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে কোনও আশঙ্কার কারণ না দেখেন, তবে তাঙ্গার জন্য দায়ী করিব তাহার অকুতোভয় স্বভাষা-প্রেমকে, আমার উনবিংশশতাবী-সুলভ মাতৃভাষা বিদ্বেধকে নয়। কিন্তু এ-প্রসঙ্গে আমাদের স্বভাষী প্রেম বা স্বভাষী-বিদ্বেষের উল্লেখ কি নিতান্তই অবাস্তুর নয় ? স্পেন ও ফ্রান্সে আইবেরিয়ান ও সেপ্টদের স্বভাষা-প্রেম লাটিন গোষ্ঠীর ভাষাকে ঠেকাইল্লা রাথিতে পারে নাই, এ-যুগেও আইরিশ ফ্রি ষ্ট্রেটের অতুগ্র আইরিশ জাতীয়তা গেলিককে স্বস্থানে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিতে পারিবে কি না সে-বিষয়ে সন্দেহ আছে । কাজেই কথাটা আশা-আকাঙ্ক্ষার নয়—বাংলা ভাষার গতি ও ধারার বিচার-বিশ্লেষণের । জীবনের অস্তান্ত ক্ষেত্রে যেমন, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনি, একটা struggle for existence 5fmotto I go stol cofa wo পরাজিত হয়, আর একটি ভাষা কেনই বা জয় লাভ করে, তাহার একটা স্বনির্দিষ্ট কারণ আছে । এ-যুগে বাঙালী জাতি যে ভাষা-সঙ্কটে পড়িয়াছে, তাহার মধ্যে বাংলা গোষ্ঠীর ভাষাগুলির কোনও বিপদের সম্ভাবনা আছে কিনা, আমি তাহারই বৈজ্ঞানিক আলোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম। সে আলোচনায় আমার আশা-নিরাশার উল্লেখ করিবার কোনও স্থান ছিল না, তাই সেদিক হইতে আমি কিছু বলিতে পারি নাই ; নহিলে মোহিত বাবু বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এ-কথাটা বলিতে আমার কিছুমাত্র আপত্তি নাই, যে, ভাগীরথ সভ্যতার [?] সংস্পর্শবর্জিত, প্রত্যস্তবাসী এবং শকুন্তু-ভাষাভাষী বাঙ্গালী হইলেও বাংলা গোষ্ঠীর ভাষাগুলিকে অবলম্বন করিয়া একটা বাংলা ভাষা গড়িয়া উঠুক এবং দে-ভাষী সব দিক হইতে সুসমৃদ্ধ হউক, উচ্ছ। আমিও কামনা করি। আমার মূল প্রবন্ধে আমি বাংলা ভাষার সুযোগ-সুবিধা বাধা বিয়ের একটি খতিয়ান লইতে চাহিয়াছি । বিষয়টি এত বড় বে, উহার যে কোন একটি দিক লইয়া এক একটি বড় প্রবন্ধ, এমন কি গ্রন্থ, লেখা চলে। আমি শুধু স্বত্র নির্দেশ করিয়াছি মাত্র। উছার প্রত্যেকটি কথা ও খুঁটিনাটি উক্তি লইয়। উত্তরপ্রত্যুত্তর চলে ন-কারণ, তাহার জন্ত মাসিক-পত্রে স্থান সন্ধুলান হইবে না। মোহিতবাবুর আলোচনারও বিশদ প্রত্যুত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। আমি অতি সংক্ষেপে আমার বক্তব্য নির্দেশ করিতে চেষ্টা করিব মাত্র – ক] মূল আলোচনার অনেকটাই কথ্যভাষা,সাধুভাষ ও উপভাষার সম্বন্ধ লইয়া। এ-বিষয়ে মূল প্রবন্ধে বার বার ‘কথা’ ও সাধু এই শব্দ দুইটির ইচ্ছাপূর্বক পুনরাবৃত্তি না করায়, পাঠক-সাধারণের ধাধা থাকিয়া যাইতে পারে। তাই আমি আমার বক্তব্য স্পষ্ট করিয়া বলিতেছি ঃ— (১) কথ্য ভাষা মানুষের প্রাণের ভাষা, সাহিত্য মানুষের প্রাণের বা মনের স্বষ্টি, তাই সাহিত্যের ভাষা শেখা ভাষা হয় না, তাহ স্বাভাবিক কথ্যভাষা হয়। ভাষাকে প্রাকৃত ব্যাপারের জন্ত দূরে সরাইয়। রাখিয়া সাহিত্যিক কাজে সংস্কৃত’ অর্থাৎ সাধুভাষ প্রয়োগ করার একটা সনাতন রীতি আমাদের জাতের প্রায় মজ্জাগত হইয়া গিয়াছে । সেই কারণেই আমরা ভাবি, যে, সাহিত্যিক ভাষার সঙ্গে কথ্য ভাষার তফাৎ স্বাভাবিক। অস্ত কোনও বড় ভাষা ও বড় সাহিত্যের সম্পর্কে এই কথা থাটে কিনা তাহ আমার জানা নাই । বলা <ifza I, 'sm't, don't, c<s is not, do not careti «qq: “Corğ[×i”, শুনেছিলুমকে গিয়াছিলাম’ ‘শুনিয়াছিলাম লেখা এক জাতীয় বৈষম্য নয়। প্রথমে শ্রেণীতে তফাৎ বর্ণ-সঙ্কোচের, দ্বিতীয় শ্রেণীতে তফাৎ ব্যাকরণগত রূপের । মোহিতবাবু যে বলিয়াছেন, বাংলা গোষ্ঠীর কোনও একটি উপভাষার কথ্য রূপটিই সাহিত্যিক রূপে বিবৰ্ত্তিত হইয়াছে’-এ কথ। এখনও বলা চলে না। সত্যই কি ‘সমগ্র বাংল। দেশের শিক্ষিত বাঙ্গালী তাহদের আশা-আকাঙ্ক, বাদ-বিসম্বাদ, রাগ-দ্বেষ প্রকাশ করিবার একটি ভয় জাতীয় ভাষা লাভ করিয়াছেন ?" মোহিতবাবুর কথাতেই উহার উত্তর পাইতেছি—‘এখনও ঠিক তাহ। হইতেছে না।’ (২) শকুন্তু ভাষার আক্রমণ যে কত প্রচণ্ড তাহ 'ভাগীরথকৃষ্টির কর্ষক সাহিত্যিকদের বাংলা লেখা হইতে উদ্ধার করিতে পারি— এখানে স্থানাভাব। শকুন্ত-ভাষা-ভাৰীগণ যে কত গোড়া তাহ। মোহিতবাবু স্বয়ং জানেন, এবং তাহীদের এ গোড়ামি যে কত জীযন্ত কালীঘাট অঞ্চলে পদার্পণ করিলেই তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রার অর্ধশতাব্দীকাল ভাগীরথীর কুলে বসবাসের পরেও অতিশয় কৃষ্টিশালী পরিবার কখার টানে, জোরে ও ভাষার রূপে পদ্মাপায়ের উপভাষাকে বাচাইয়া রাখিতেছেন-ইহ। নিতান্তু সাধারণ ङ्क्षिनिश्च । (৩) কেন ভাগীরথী কুলের ভাষা বাংলাদেশের উপভাষা-ভাষীদের সম্পূর্ণ জয় করিতে পারিল না ? তাহার অন্যতম কারণ--