পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৩৬ প্রকৃতির বিশেষত্ব সূচনা করে । ১৯২৬ সালে ভারতীয় দার্শনিক কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে কলিকাতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে অভিভাষণ পাঠ করেন, তাহাতে বলিয়াছিলেন, আমাদের দেশে দার্শনিকের কার্য্যক্ষেত্র ও কবির কাৰ্য্যক্ষেত্র সম্পূর্ণ আলাদা করা হয় নাই ; শঙ্করাচার্য্যের রচিত বলিয়া অনেক এমন শ্লোকের চলন আছে, তাহী কবিতা না হইতে পারে, কিন্তু দার্শনিককে কবি হইতে নাই এমন কেহ এদেশে মনে করে ন!—যেমন দার্শনিক প্লেটে। তাহার কল্পিত সাধারণতন্ত্র হইতে কবিদিগকে তাড়াইয়া দিয়াছেন। ###:tio of HIER, “According to our people, poetry naturally falls within the scope of a philosopher, when his reason is illumined into a vision,” ; “আমাদের দেশের লোকদের মতে, কবিত্ব স্বভাবতই দার্শনিকের কৰ্ম্মক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে যখন আত্মিক আলোকপাতে র্তাহার বোধ সত্যদর্শনে পরিণত হয়,” অর্থাৎ যখন র্তাহার ঋষিত্ব জন্মে । এই কারণে উপনিষৎকার ঋষির কবি ও দার্শনিক দুই-ই । রবীন্দ্রনাথ যেমন স্থল-বিশেষে দার্শনিক ও কবির অভিমত্বের সম্ভাবন দেখাইয়াছেন, ভারতীয় প্রকৃতিতে তদ্রুপ বৈজ্ঞানিক ও কবির অভিন্নত্বও তখন ঘটে যখন, ঋষির মত, বৈজ্ঞানিক সত্যভ্রষ্ট হন । আমাদের অনুমান, প্রাচীন ঋষিরা যেমন ধ্যাননেত্ৰে সৰ্ব্বভূতে একই সত্তার বিদ্যমানত দেখিয়াছিলেন, আচাৰ্য্য বস্থও তেমনি সকল উদ্ভিদে ও প্রাণীতে একবিধ প্রাণের সত্তা ও ক্রিয় মানস মেত্রে দেখিয়াছেন এবং বৈজ্ঞানিক বাহ্য যান্ত্রিক উপায়ে এই সত্য প্রতিষ্ঠিত করিতেছেন। ইহা তাহার বৈজ্ঞানিক অবদান-পরম্পরার নূতনত্ব এবং ভারতীয় বিশেষত্ব। কোন কোন পাশ্চাত্য সমালোচক যে তাহাকে ভাবুকতাপ্রবণ বলেন, তাহা তাহদের বুঝিবার ভুল এবং ভারতীয় প্রকৃতি সম্বন্ধে সত্য জ্ঞান না-থাকার ফল । একটি বাঙালী ছাত্রের গুণের আদর বাঙালী ছাত্র হুমায়ুন কবীর অক্সফর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ( ছাত্রদের ) য়ুনিয়নের সেক্রেটারী নির্বাচিত হইয়াছেন। প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড আমরা যতদূর জানি, ইতিপূৰ্ব্বে কোন ভারতীয় ছাত্র এই পদ ও সম্মান লাভ করেন নাই। হুমায়ুন কবীর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ কৃতী ছাত্র এবং বাঙালী যুবা কবিদের অন্যতম । লণ্ডনে চরখার কাজের ও চিত্রের প্রদর্শনী ভারতীয় ছাত্রদের যুনিয়নের শিক্ষা-সেক্রেটারীর উদ্যোগে লণ্ডনের ফ্রেণ্ডস্ হাউসে সাবরমতী আশ্রমের চরথার কাজের এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ও র্তাহার শান্তিনিকেতনস্থ ছাত্রদের রেখাচিত্র ও রঙীন চিত্রের একটি প্রদর্শনী খোলা হইয়াছে । গোল টেবিল বৈঠক লগুনের তথাকথিত গোল টেবিল বৈঠকে ভারতবর্ষের লোকদের আকাজিত প্রধান জিনিযfট ছাড়া আর নানা জিনিযের আলোচনা হইতেছে । যাহাদের মতি গতি নিতান্ত সাম্প্রদায়িক গোছের, সেইরূপ সংকীর্ণমন কতকগুলি লোকছাড়া, ভারতীয় যে-কেহ দেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রর ব্যবস্থার বিষয় চিস্ত করেন, তিনিই চান, যে, এদেশের সব ব্যাপারে ভারতীয়েরাই কৰ্ত্ত হইবে। ডোমীনিয়নত্বের মানে কাৰ্য্যত: ক্রমশ: যেরূপ প্রসারিত হইয়া চলিতেছে, তাহাতে অনেকে মনে করেন, ভারতবর্ষ কানাডা, দক্ষিণ-আফ্রিকা, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতির মত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত একটি ডোমীনিয়ন হইলে ভারতবর্ষীয় সমুদয় ব্যাপারে এই দেশের লোকদের যথেষ্ট কর্তৃত্ব স্থাপিত হুইবে । অন্যের মনে করেন, এইরূপ কর্তৃত্বের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা আবশ্বক। যাহা হউক, কোন ভারতীয় স্বজিাতিকই (nationalist) ডোমীনিয়নত্ব অপেক্ষ কম কিছু চান না । স্যার তেজ বাহাদুর সপ্র ও অন্য কোন কোন নেতা লণ্ডন যাইবার প্রাকৃকালে বলিয়াছিলেন, তাহার ডোমীনিয়নত্ব বাদ দিয়া কিছু লইতে রাজী হইবেন না। অথচ পূর্ণ বৈঠকের পর খণ্ড বৈঠকের গোড়াতেই যখন ডাক্তার মুঞ্জে বলেন, যে, ডোমীনিয়ন