পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা শিক্ষার যে অভাব হবে সে অভাব সকলকেই লাগবে। কেন-ন সম্মিলিত শিক্ষারই যোগে এর সম্মিলিত মনকে বিশ্বসাধারণের কাজে সফল করতে চায় । এর ‘বিশ্বকৰ্ম্ম।' ; অতএব এদের বিশ্বমনা হওয়া চাই, অতএব এদের জন্যেই যথার্থ বিশ্ববিদ্যালয় । শিক্ষা ব্যাপারকে এর নানা প্রণালী দিয়ে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্চে । তার মধ্যে একটা হচ্চে মুজিয়ম । নানাপ্রকার মুজিয়মের জালে এরা সমস্ত গ্রাম শহরকে জড়িয়ে ফেলেচে । সে মুজিয়ম আমাদের শান্তি-নিকেতনের লাইব্রেরীর মতো আকারী নয় (passive) — Hist? (active ) I afforty Region Study offs ztofoo তথ্যসন্ধানের উদ্যোগ সৰ্ব্বত্র পরিব্যাপ্ত। এরকম শিক্ষণকেন্দ্র প্রায় ২০ ০০ আছে, তার সদস্য-সংখ্যা সত্তর হাজার পেরিয়ে গেছে। এইসব কেন্দ্রে তত্তং প্রদেশের অতীত ইতিহাস এবং অতীত ও বর্তমানের আর্থিক অবস্থার অসুসন্ধান হয়। তা ছাড়া সে-সব gtofta čo offizi off (productive forces) কি কি আছে, কিম্বা কোনো খনিজ পদার্থ প্রচ্ছন্ন আছে কি না তার খোজ হয়ে থাকে। এই সব কেন্দ্রের সঙ্গে যে-সব মুজিয়ম আছে তারই যোগে সাধারণের শিক্ষাবিস্তার একটা গুরুতর কর্তব্য । সোভিয়েট রাষ্ট্রে সৰ্ব্বসাধারণের জ্ঞানোন্নতির যে নবযুগ এসেচে, এই প্রাদেশিক তথ্যসন্ধানের ব্যাপক চর্চা এবং তৎসংশ্লিষ্ট মু্যজিয়ম তার একটা প্রধান প্রণালী । এই রকম নিকটবৰ্ত্তী প্রদেশের তথ্যাকুসন্ধান শাস্তিনিকেতনের কালীমোহন কিছু পরিমাণে করেছেন— কিন্তু এই কাজের সঙ্গে আমাদের ছাত্র ও শিক্ষকেরা যুক্ত না থাকাতে তাদের এতে কোনো উপকার হয়নি। সন্ধান করবার ফল পাওয়ার চেয়ে সন্ধান করার মন তৈরি করা কম কথা নয়। কলেজ-বিভাগের ইকনমিক ক্লাসের ছাত্রদের নিয়ে প্রভাত এই রকম চর্চার পত্তন করচেন শুনেছিলুম ; কিন্তু একাজটা আরও বেশি সাধারণভাবে করা দরকার, পাঠভবনের ছেলেদেরও এই কাজে দীক্ষিত করা চাই আর এই সঙ্গে সমস্ত প্রাদেশিক সামগ্রীর মুজিয়ম স্থাপন করা আবশ্বক। সোভিয়েট রাশিয়ার শিক্ষা-ব্যবস্থা 88ፃ এখানে ছবির মুজিয়মের কাজ কি রকম চলে তার বিবরণ শুনলে নিশ্চয় তোমার ভাল লাগবে। মস্কেী শহরে ট্রেটিয়াকভ গ্যালারি নামে ( Tretyakov Gallery ) এক বিখ্যাত চিত্রভাণ্ডার অাছে। সেখানে ১৯২৮ থেকে ১৯২৯ পর্য্যস্ত এক বছরের মধ্যে প্রায় তিনলক্ষ লোক ছবি দেখতে এসেচে। যত দর্শক আসতে চায় তাদের ধরানো শক্ত হয়ে উঠেচে । সেইজন্যে ছুটির দিনে আগে থাকতে দর্শকদের নাম রেজেক্টি করানে দরকার কয়েচে । ১৯১৭ খৃষ্টাব্দে সোভিয়েট-শাসন প্রবর্তিত হবার পূৰ্ব্বে যে-সব দর্শক এই রকম গ্যালারিতে আস্ত তারা ধনী মানী জ্ঞানী দলের লোক এবং তারা, যাদের এর বলে অর্থাৎ পরশ্রমজীবী । এখন আসে অসংখ্য কৰ্ম্মিকের দল, যথা রাজমিস্ত্রি, লোহার, মুদী, দর্জি ইত্যাদি । আর আসে সোভিয়েট সৈনিক, সেনানায়ক, ছাত্র এবং চাষী সম্প্রদায় । আর্টের বোধ ক্রমে ক্রমে এদের মনে জাগিয়ে তোলা আবখ্যক । এদের মতো আনাড়িদের পক্ষে চিত্রকলার রহস্য প্রথম দৃষ্টিতে ঠিকমতো বোঝা অসাধ্য। দেয়ালে দেয়ালে ছবি দেখে দেখে এর ঘুরে ঘুরে বেড়ায়, বুদ্ধি যায় পথ হারিয়ে। এই কারণে প্রায় সব মুজিয়মেই উপযুক্ত পরিচায়ক রেখে দেওয়া হয়েচে । মুজিয়মের শিক্ষাবিভাগে কিম্বা অন্যত্র তদনুরূপ রাষ্ট্ৰকৰ্ম্মশালায় যেসমস্ত বৈজ্ঞানিক কৰ্ম্মী আছে তাদেরই মধ্যে থেকে পরিচায়ক বাছাই করে নেওয়া হয় । যারা দেখতে আসে তাদের সঙ্গে এদের দেনাপাওনার কোনো কারবার থাকে না। ছবিতে যে-বিষয়টা প্রকাশ করচে সেইটে দেখলেই যে ছবি দেখা হয়, দর্শকেরা যাতে সেই ভুল ন করে পরিদর্শয়িতার সেটা জান চাই । চিত্রবস্তুর সংস্থান (composition ), তার বর্ণকল্পন (colour scheme), of awa, of: www.to (space) তার উজ্জলতা ( illumination), যাতে করে তার বিশেষ সম্প্রদায় ধরা পড়ে সেই তার বিশেষ আঙ্গিব (technique ), E * FF fITTF witwe wir (otz F. জানা আছে। এই জন্তে পরিচায়কের বেশ দস্তুর মতে bourgeoisie,