পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 e AMMMASJAMAMAMMMASAMAAAA প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড করেচে। আগেকার কালের বড় বড় প্রাসাদ তারা এই কাজে লাগিয়েচে । সে-সব জায়গায় গিয়ে বিশ্রাম এবং আরোগ্য লাভ যেমন একটা লক্ষ্য তেমনি শিক্ষালাভ আর একটা । লোকহিতের প্রতি যাদের অতুরাগ আছে এই ভ্রমণ উপলক্ষ্যে তার নানাস্থানে নানা লোকের আহুকূল্য করবার অবকাশ পায়। জনসাধারণের দেশভ্রমণের উৎসাহ দেওয়া এবং তার সুবিধা করে দেওয়ার জন্যে পথের মাঝে মাঝে বিশেষ বিশেষ শিক্ষা বিতরণের উপযোগী প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েচে, সেখানে পথিকদের আহার নিদ্রার ব্যবস্থা আছে, তা ছাড়া সকল রকম দরকারী বিষয়ে তার পরামর্শ পেতে পারে । ককেশীয় প্রদেশ ভূতত্ত্ব আলোচনার উপযুক্ত স্থান । সেখানে এই রকম পান্থশিক্ষালয় থেকে ভূতত্ত্ব সম্বন্ধে বিশেষ উপদেশ পাবার আয়োজন আছে । যে-সব প্রদেশ বিশেষভাবে নৃতত্ত্ব আলোচনার উপযোগী সে-সব জায়গায় পথিকদের জন্যে নৃতত্ত্ববিৎ উপদেশক তৈরি করে নেওয়া হয়েচে । গ্রীষ্মের সময় হাজার হাজার ভ্রমণেচ্ছ আপিসে নাম রেজেষ্ট্রি করে । মে মাস থেকে আরম্ভ ক’রে দলে দলে নানা পথ বেয়ে প্রতিদিন যাত্র চলে—এক একটি দলে পচিশ ত্রিশটি ক’রে যাত্রী। ১৯২৮ খৃষ্টাব্দে এই যাত্রীসঙ্ঘের সভ্যসংখ্যা ছিল তিন হাজারের কাছাকাছি— ২৯শে হয়েছে বারে হাজারের উপর । এসম্বন্ধে যুরোপের অন্যত্র বা আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করা সঙ্গত হবে না ; সৰ্ব্বদাই মনে রাখা দরকার হবে যে রাশিয়ায় দশ বছর আগে শ্রমিকদের অবস্থা আমাদের মতোই ছিল—তারা শিক্ষা করবে, বিশ্রাম করবে বা আরোগ্য লাভ করবে সে জন্যে কারে কোনো খেয়াল ছিল না,—আজ এর যে-সমস্ত সুবিধা সহজেই পাচ্চে তা আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের আশাতীত এবং ধনীদের পক্ষেও সহজ নয় । তাছাড়া শিক্ষালাভের ধারা সমস্ত দেশ বেয়ে একসঙ্গে কত প্রণালীতেই প্রবাহিত তা আমাদের সিভিল সাধিসে পাওয়া দেশের লোকের পক্ষে ধারণ করাই কঠিন । যেমন শিক্ষার ব্যবস্থা তেমনি স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য তত্ত্ব সম্বন্ধে সোভিয়েট রাশিয়ার যে-রকম বৈজ্ঞানিক অনুশীলন চলচে তা দেখে যুরোপ আমেরিকার পণ্ডিতেরা প্রচুর প্রশংসা করচেন। শুধু মোটা বেতনের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পুথি স্বষ্টি করা নয়, সৰ্ব্বজনের মধ্যে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের প্রয়োগ যাতে পরিব্যাপ্ত হয়, এমন কি এদেশের চৌরঙ্গী থেকে যারা বহুদূরে থাকে তারাও যাতে অস্বাস্থ্যকর অবস্থার মধ্যে অযত্নে বা বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সেদিকে সম্পূর্ণ দৃষ্টি আছে। বাংলা দেশে ঘরে ঘরে যক্ষ্ম রোগ ছড়িয়ে পড়চে—রাশিয় দেখে অবধি এ প্রশ্ন মন থেকে তাড়াতে পারচি নে ধে, বাংলা দেশের এই সব অল্পবিত্ত (?) মুমূযুদের জন্তে কট আরোগ্যাশ্রম আছে ? এ প্রশ্ন আমার মনে সম্প্রতি আরো জেগেচে এই জন্যে যে, খৃষ্টান ধৰ্ম্মযাজক ভারতশাসনে অসাধারণ ডিফিকল্টিজ, নিয়ে আমেরিকার লোকের কাছে বিলাপ করচেন। ডিফিকন্টিঙ্গ আছে বই কি ! একদিকে সেই ডিফিকল্টিজের মূলে আছে ভারতীয়দের অশিক্ষা, অপরদিকে ভারতশাসনের ভূরিব্যয়িতা। সেজন্যে দোষ দেব কাকে { রাশিয়ায় অন্নবস্ত্রের স্বচ্ছলতা আজও হয়নি, রাশিয়াও বহুবিস্তৃত দেশ, সেখানেও বহু বিচিত্র জাতির বাস, সেখানেও অজ্ঞান এবং স্বাস্থ্যতত্ত্ব সম্বন্ধে অনাচার ছিল পৰ্ব্বতপ্রমাণ, কিন্তু শিক্ষাও বাধা পাচ্চে না, স্বাস্থ্য ও না । সেইজন্তেই প্রশ্ন না করে থাক যায় না, ডিফিকfন্টজটা ঠিক কোনখানে ? যারা থেটে খায় তারা সোভিয়েট স্বাস্থ্যনিবাসে বিনাব্যয়ে থাকৃতে পারে, তাছাড়া এই স্বাস্থ্যনিবাসের সঙ্গে সঙ্গে থাকে আরোগ্যালয় (Sanatorium)। সেথানে শুধু চিকিৎসা নয়, পথ্য ও শুশ্ৰুষার উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে। এই সমস্ত ব্যবস্থাই সৰ্ব্বসাধারণের জন্যে । সেই সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে এমন সব জাত আছে যারা যুরোপীয় নয় এবং যুরোপীয় আদর্শ অমুসারে যাদের অসভ্য বলা হয়ে থাকে । এই রকম পিছিয়ে-পড়া জাত, যার যুরোপীয় রাশিয়ার প্রাঙ্গণের ধারে বা বাইরে বাস করে তাদের শিক্ষার জন্ম ১৮২৮ খৃষ্টাব্দের বজেটে কত টাকা ধরে দেওয়া হয়েচে তা দেখলে শিক্ষার জন্তে কি উদার প্রয়াস তা বুঝতে পারবে। যুক্রেনিয়ান রিপরিকের জন্যে ৪০ কোটি ৩৯ লক্ষ, অতি