পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংবাদপত্রের অপরটি তাহার অপরাধ তখনই অপরাধ দুইটি—একটি তাহার স্বরুত, পক্ষে অপরিহার্য্য। তাহার স্বরুত হয়, যখন সত্যকে সে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বলিয়া প্রচার করে, যখন বৃহৎকে সে ক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্রকে সে বৃহৎ বলিয়া দেখায়, অথবা যখন কোনো ঘটনা প্রকাশ করা সুবিধাজনক হইবে না মনে করিয়া সযতু ঔদাসীন্যে সে তাহার উপর একটা নিৰ্ম্মম নীরবতার যবনিকা টানিয়া দেয় । কংগ্রেসাতুসরণকারীদের সংখ্যা কমাইয়া, তাহদের প্রভাবকে অস্বীকার করিয়া, অস্পৃষ্ঠ বা মুসলমান-নেতারা কংগ্রেসকে সম্পূর্ণ বর্জন করিয়াছেন এবং কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ দুইয়েরই প্রভাব ভারতবর্ষে সমান, ইত্যাদি প্রচার করিয়া সংবাদপত্রসমূহ যখন এদেশীয় নরনারীর মনে ভারতীয় আন্দোলনের গুরুত্ব সম্বন্ধে একটা ভুল ধারণা জন্মাইয়া দেয়, আমাজনীয় । তখন তাহার অপরাধ স্বকৃত এবং আর তাহার অপরিহার্য্য ক্রটি এই যে, অধিকাংশ ফিল্মের মতই সংবাদপত্রেরও কারবার অদ্ভুতকে লইয়াই । যাহা স্বাভাবিক, সাধারণ, তাহা সে অনায়াসেই অবহেলা করিয়া যায় ; অস্তৃত, অসাধারণ, অস্বাভাবিক, ইত্যাদিকে প্রচার করাই তাহার ব্যবসা । এ দেশীয় নরনারী যে-দেশকে কোনোদিন দেখিবার বা জানিবার সুযোগ পায় নাই, সে-দেশ সম্বন্ধে দিনের পর দিন যখন তাহার কেবল মারামারি, খুনোখুনি, বোমা আবিষ্কার, ইত্যাদি সংবাদই পায় তখন সে দেশের প্রতি তাহাদের মনোভাব কিরূপ হইবে, তাহা অনুমান করিবার জন্য মনস্তত্ববিশারদ হইবার প্রয়োজন হয় না । ংবাদপত্রের কথা বাদ দিলেও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করিবার বহিজগতের আরও দুই একটি পথ আছে। যথ-প্রথমতঃ সাইমন কমিশানের রিপোর্ট । সমস্ত পশ্চিম এই রিপোর্টকে ভারতবর্ষ সম্বন্ধে একটি অভিনব বাইবেল মনে করিয়া বসিয়াছে। সাইমন কমিশনে ইংলণ্ডের তিনটি রাজনৈতিক দলের লোকই বৰ্ত্তমান ছিল এবং রিপোটেও সকলেই একমত, সুতরাং এ রিপোর্ট অভ্রাস্ত না হইয়া পারে না, এই ছইল পশ্চিমের ধারণা। কিন্তু পশ্চিম ইংলণ্ড ও বর্তমান ভারতীয় আন্দোলন AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAMAM MAMSMMAMMS 8(?Q。 ASMSMSAMMSAMMAeS AMMAAAA SASAASAAAS এ কথা অনায়াসেই ভুলিয়া যায় যে, এ কমিশনে একজনও ভারতবাসী ছিল না, এ রিপোর্ট গভর্ণমেণ্টের দলিলপত্রের উপরই প্রতিষ্ঠিত এবং যদিও কয়েকজন ভারতবাসী কমিশনের সম্মুখে নিজেদের রাজনৈতিক মত ব্যক্ত করিয়াছিলেন, তবু দেশের সব চেয়ে বড় যে রাজনৈতিক দল এবং সে দলের সব চেয়ে প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ র্যাহারা তাহারাই এই কমিশনের সঙ্গে সকল প্রকার সম্বন্ধ অস্বীকার করিয়াছিলেন । দ্বিতীয়তঃ–লীগ, অব মেশুনসের কথা। এই আস্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ভারতবর্ষের প্রতিনিধি প্রেরণের ব্যবস্থা করা হইয়াছে সত্য, কিন্তু সে প্রতিনিধি নির্বাচন করে কে ? ভারতুবুর্যের জনসাধারণকে কি এই জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধি নির্বাচন করিবার স্বযোগ কখনও দেওয়া হইয়াছে ? সে স্বযোগ পাইলেও একজন ভারতীয় প্রতিনিধির উক্তি এই জাতিসঙ্ঘে হয়ত অরণ্যরোদনের মতই প্রতিভাত হইত। সে যাহা হউক, প্রতিনিধি র্যাহাদিগকে বলা হয়, তাহারা প্রতিনিধি নন, কারণ র্তাহাদের নির্বাচনে ভারতীয় জনসঙ্ঘের কোনো হাত নাই । সত্যই এতক্ষণ যাহা বলা হইল তাহা হইতে পাঠকপাঠিকার অনায়াসেই বুঝিতে পারিবেন যে, ভারতীয় আন্দোলন সম্বন্ধে পশ্চিমের নরনারী অতি সামান্য সংবাদই পাইয়া থাকে । সমস্ত পশ্চিমকে ভারতবর্ষ সম্বন্ধে অজ্ঞতার অন্ধকারে রাখিবার যে বিরাট ষড়যন্ত্র এতদিন ধরিয়া চলিয়। আসিয়াছে, ইতিহাসে তাহার তুলন পাওয়া কঠিন । এই নীরবতার যড়যন্ত্র আরও ভীষণ এইজন্য যে, আজ ইংলণ্ডের শাসন প্রণালী গণতান্ত্রিক এবং এদেশের জনসাধারণই আজ আমাদের প্রভূ । অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এমন কি উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্দ্ধেও পাৰ্লিয়ামেণ্ট জনসাধারণের উপর এমন একান্তভাবে নির্ভর কৃরিত না, কাজেই তখন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের স্বাধীনতা ছিল ঢের বেশী । কিন্তু গত একশত বৎসরের মধ্যে প্রায় প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নরনারী এখানে ভোটের অধিকারী অর্থাৎ আমাদিগকে শাসন করিবার উপযোগী হইয়াছে । কিন্তু যাহার আমাদিগকে শাসন করে তাহারাই আমাদের অভাব