পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] S AAAAAA SAAAAASA SAASAASAAAS A SAS SSAS SSASASA AAA AAAA AAAA AAASS ബ.'. বিশেষ করিয়া বলিয়া দিলেন । রামহরিবাবু হুকুমারের সম্মুখেই কহিলেন, “তুমি ব্যস্ত হ’য়ে না, স্বকুমার যখন কথা দিয়েছে, তখন কাজ কৰ্ব্বেই । ওরা অসাধ্য সাধন করতে পারে।” 8 মুকুমার চলিয়। যাইবার পর হইতেই বীণ যেন একট। স্বতন্ত্র মানুষে রূপান্তরিত হইয়া গেল। পূৰ্ব্বে মায়ের ভৎসন শুনিয়া পিতার কাছে মাঝে মাঝে সে নালিশ করিত, আজকাল গালাগালি শুনিলে পড়ার ঘুরে গিয়া দ্বার বন্ধ করে । জবাব না পাইলে গৃহিণীর বকুন্নী ভাল জমিত না । ক্রমাগত বকিতে না পারিলে উত্তেজনায় তাহার মাথ। ধরিত, কাজেই একদিন বীণার অকারণ ঔদাসীন্যে বিরক্ত হইয়া তিনি রামহরিবাবুকে বলিলেন, “ওগে। শুন্‌ছ ? মেয়ের যে আর একটা গুণ বাড়ল ৷ ছিল ট্যার, হ’ল বোব। গালাগাল দিলেও কথা বলে ন৷ আর ” রামহরিবাবু বীণার এ আকস্মিক পরিবর্তন লক্ষ্য করিয়াছিলেন, হেতুও প্রায় অনুমান করিয়াছিলেন ; সেই সঙ্গে কয়েক দিন হইতে কন্যার একটা চমৎকার দাম্পত্য জীবনের চিত্র তাহার মনে উজ্জল হুইয়া উঠিতেছিল ; তিনি গৃহিণীর অভিযোগের উত্তরে মৃদু হাসিয়া কহিলেন, “মেয়ে বড় হ’য়েছে, এখন আর রূপের থোট দি ও না । তোমার অদৃষ্টে ভাল জামাই আছে, ব’লে দিচ্ছি।” গৃহিণীর হঠাৎ রামহরি বাবুর কথা কয়টি কেন যেন অত্যন্ত ভাল লাগিল, বলিলেন, “তোমার মুখে ফুল-চন্নন পড়ুক । রামহরিবাবু আশ্চৰ্য্য হইলেন, গত তিন বৎসরের মধ্যে গৃহিণীর মুখে এমন মধুর কথা তিনি শোনেন নাই ; নিবন্ত কলিকাটি স্থকার মাথায় বসাইয়া তিনি প্রাণপণে ক্রমাগত টানিতে লাগিলেন । স্বকুমার নিজের নাম ও ঠিকানা লেখা কয়েকখানা খাম রাখিয়া গিয়াছিল। আদেশ ছিল, বীণা যেন সপ্তাহে দুখানি করিয়া চিঠি লেখে।

    • .६ تضم فة

ট্যার যাইবার সময়ে গৃহিণী সুকুমারকে একটি পাত্র দেখিতে 8કડ ASAAAS A SAAMAMMAAA AAAASASASS مرمر. «مسی ... بر ر» -ه কয়েক দিন তুচ্ছ খুটিনাটি লইয়া কোনমতে हिन কাটাইয়া সেদিন বীণা হুকুমারকে চিঠি লিখিতে বসিল। ঘরের দরজা বন্ধ করিয়া সমস্ত প্রাতঃকাল ধরিয়া বীণা চিঠি লিখিল এবং চিঠিখান ডাকে পাঠাইয়। বীণার মন অনেকটা লঘু হইয়া গেল । t টেবিলের উপরে বড় আয়না রাখিয়া সুকুমার মুখে ‘স্বে মাখিতেছিল। তাহার চৌকীতে বসিয় তাহাদের সমিতির ভাইস-প্রেসিডেন্ট নৃপেন দত্ত একখানি বৃহদাকার ডিক্সনারী বাজাইয়া গজল গাহিতেছিল । এই সময় দারোয়ান ডাকের চিঠি আনিয়া উপস্থিত করিল । নৃপেন চিঠির উপরে চোখ বুলাইয়া কহিল, “এ কি হে স্বকুমার, তোমারই হাতের লেখা ঠিকানা দেখছি যে ।” কাহার চিঠি সুকুমার বুঝিল । তাড়াতাড়ি ‘স্বো’র শিশিট টেবিলে নামাইয়া রাখিয়া হাত বাড়াইল । নৃপেন চিঠিখান মুঠ করিয়া ধরিয়া কহিল, “কার চিঠি আগে বল ?” মুকুমার কহিল, “দাও আগে পড়েনি, তারপর দেখাব ।” বল বাহুল্য, চিঠিখানি বীণার । সুদীর্ঘ পত্র । স্বকুমার একবার চিঠিখান তাড়াতাড়ি শেষ করিয়া মুখে ‘মো মাখিতে মাখিতে বলিল, “তুমি একবার ভাল ক’রে জোরে পড় নৃপেন, আমি শুনছি। নৃপেন পড়িল । বীণা লিখিয়াছে— “তুমি চলিয়া গিয়াছ, আমার কিছু ভালো লাগিতেছে ন। লেখাপড়া করিতে ইচ্ছা করে না, তুমি রাগ করিবে বলিয়া জোর করিয়া পড়িতে বসি । যে পথ দিম্ব তুমি আসিতে সেই পথের দিকে জানল। দিয়া চাহিয়া থাকি, তুমি শীঘ্ৰ আলিবে । না আসিলে লেখাপড়া সমস্ত ভুলিয়া যাইব, ইত্যাদি ” এইকথা কয়টিই ঘুরাইয়া ফিয়াইয়া বীণ। পাচ পাভা চিঠি লিথিয়াছে। নৃপেন চিঠি পড়িম্বা কছিল, “খুব গেণ্ডেছ ষ হোক ! কে ইনি?” - “. . . স্বকুমার তোয়ালে দিয়া মুখ মুষিতে জুৰিতে কহিল,