8\',ჯ) তবে অন্য ধরণে, তাহার মাতা লিখিয়াছেন, "ছুরির খোচা লাগিয়া রামহরি মাষ্টারের মেয়ের ডান চোখট। একেবারে কানা হইয়া গিয়াছে।” প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৭ AASAASAASAASAASAAASJAMAMAAASAASAASAASAAASMSMSMSMMA AMMAMMAMAMMMAMAMMMA SAMMAMAMAAASAAAS [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড মুকুমার দাড়ি কামানো বন্ধ রাখিয়া সংবাদপত্রপাঠে রত নৃপেন দত্তের দিকে চিঠিখান ফেলিয়া দিয়া কহিল, “দেখ লি নৃপেন্, ভাগ্যিসূ—” o AASAASAASAASAAAS কুমার-সম্ভবে সমাজতত্ত্ব শ্ৰীফণীভূষণ রায় কাব্যের প্রকৃষ্ট শ্রোতা হইলেন মহাকাল, কারণ কাব্য কোনো বিশেষ কালের সামগ্ৰী নহে—চিরকালের । তবুও সকল কাব্যই একটা বিশেষ কালে রচিত হয় এবং সেই বিশেষ কালকে না বুঝিলে কাব্য বুঝিবার পক্ষে কোনো গুরুতর ক্ষতি না হইলেও কবিকে বুঝিবার পক্ষে অনেক অস্তরায় ঘটে । এই হিসাবে ংস্কৃত কবিরা আমাদের অবোধ্য। কোন কালকে আশ্রয় করিয়া যে র্তাহারা চিরকালের সামগ্ৰী হইয়া উঠিয়াছেন তাহা আমরা জানি না ; কারণ আমাদের দেশের কোনো ধারাবাহিক ইতিহাস নাই রাজনৈতিক ইতিহাসও নাই, সংস্কৃতির ইতিহাসও নাই। এই অবস্থায় কাব্য-কথা হইতে, কাব্যের গুঢ় নিবেদন হইতে কবিকে বুঝিবার চেষ্টা করা ছাড়া গত্যন্তর নাই। আমি এই উপায় অবলম্বন করিয়া কুমার-সম্ভব কাব্য এবং সেই কাব্যের কবিকে বুঝিবার চেষ্টা করিব। আগেই বলিয়া রাখা ভাল -আজ ১৩৩৭ সনে হিন্দু সভ্যতা বলিলে বুঝি বৈদিক সভ্যতা ও বৌদ্ধ সভ্যতার গঙ্গা-যমুনা মিলন। কিন্তু এককালে এই দুই সভ্যতা পাশাপাশি চলিয়াছিল, পরস্পরকে আক্রমণ * করিয়া । এখন প্রশ্ন, মহাকবি কালিদাস এই প্রতিযোগী সভ্যতাদ্বয়ের কোনটিকে আশ্রয় করিয়া তাহার কাব্যজগতকে স্বষ্টি করিয়া তুলিয়াছেন । এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পাইলে মহাকবির ঘুগনির্ণয় করা সহজসাধ্য হইবে। দেখা যাক, কুমার কাব্য হইতে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব কি না। মহাকবি কালিদাসের কুমার-সম্ভব কাব্য বিবাহ ও বধের কাব্য। হরগেীরীর পরিণয় এবং তারকাসুরের বধ-ইহাই কুমার কাব্যের কথাবস্তু । সুতরাং কোনো কিছু না ভাবিয়া চিন্তিয়াই বলা চলে-কুমার কাব্য হিন্দু কাব্য, কারণ বিবাহ ও বধের ( হিংসার ) উপর বৌদ্ধবিদ্বেষ বিশ্ববিশ্রত। তবুও প্রমাণ উপস্থিত করিতেছি - কাব্যনিহিত প্রমাণ- মদনভস্ম ও গৌরীর তপস্যা । কুমার-সম্ভষে মহাকবি শিবকে প্রথমে দেখাইয়াছেন বুদ্ধের মত ধ্যানস্থ, শেষে দেখাইয়াছেন বশিষ্ঠের মত গৃহিণী-সহায় ( সাপত্ন্যো মূল কারণম্ )। বুদ্ধের ও বশিষ্ঠের মধ্যে যে বৈষম্য আছে, কুমার কাব্যে তাহ তিনি দূর করিয়াছেন । কেন ? কুমার-সম্ভবের তত্ব বুঝিলে এই প্রশ্নের উত্তর পাইব—ধানী শিব কেন যে অৰ্দ্ধ-নারীশ্বর হইলেন বুঝিতে পারিব। আমরা পুরাণাদিতে পড়ি, কোনো ঋষি উগ্র তপস্য৷ আরম্ভ করিলে স্বর্গাধিপ ইন্দ্র সেই কৃচ্ছসাধনে সচকিত হইতেন এবং সেই উগ্রতপস্বীর তপস্যা বিয়ের আণ্ড ব্যবস্থা করিতেন । আর ব্যবস্থাও ছিল উত্তম। ঘন ঘোর আকাশতলে সর্পিল বিদ্যুতে আমরা ইন্দ্রের শক্তির পরিচয় পাই, ইন্দ্ৰ বজ্ৰধর ; কিন্তু ইন্দ্রের হাতে আর এক রকমের বজ্র আছে। মহাকবি বলেন, উৰ্ব্বশী স্বকুমারং প্রহরণং মহেন্দ্রস্ত । উৰ্ব্বশী হইল ইন্দ্রের হাতে স্বকুমারং প্রহরণং পেলব বজ্র । দৈত্যের বুকে ইন্দ্র করিতেন বজ্ৰাঘাত, কিন্তু তপস্বীর বুকে করিতেন-উৰ্ব্বশী-আঘাত ।